আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা হতেপারে সেটা কোন হাসির ঘটনা (মজার কোন স্মৃতি /কৌতুক) , শিক্ষণীয় কোন ঘটনা, কবিতা , এই সাইটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে কোন লেখা বা মতামত ইত্যাদি পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে পাবলিশ করা হয়। | |||||
---|---|---|---|---|---|
আইডি নং- | সনাতন ধর্মীয় প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্বন্ধে | প্রেরকের নামঃ- | |||
80 | আমাদের ভিতর কতোটা অহংকার আমরা কিভাবে জানবো? তোমার মধ্যে কতোটা অহংকার তুমি কিভাবে জানবে? আর অহংকারই বাধা, অহংকার আগে যেতে দেয়না। এর সহজ একটা পরীক্ষার দ্বারা আমি বলে দিচ্ছি। যদি তোমাকে কেউ প্রশংসা করে এবং যদি তোমার এতে ভালো লাগে তো বুঝে নাও এ তোমার অহংকার, আর যদি কেউ তোমাকে নিন্দা করে এবং এর জন্য তোমার মন মলিন হয়ে যায়, ক্ষীন্ন হয়ে যায়, তো বুঝে নাও এ তোমার অজ্ঞানজাত অহংকার। যার ভিতরে যতোটা অহংকার আছে ওর নিন্দা-প্রশংসা ততোটাই প্রবল হয়ে থাকে। নিন্দায় অতোটাই সংকুচিত হয়ে যায়, এবং প্রশংসায় অতোটাই ফুলে যায়। এতো সম্মান দিয়েছে, মালা পরিয়েছে, ওহ একদম ফুলে যায়। আরে আমার কতোটা সম্মান হয়েছে। আর যে ভক্ত ও লজ্জিত হয়ে যায়, হায় হায় হায়, ভগবান কখনো আসবে না, রাম রাম, অনর্থ হয়েগেছে। আমার কোন যোগ্যতা নেই, অধিকার নেই, আমাকে এরকম সম্মান করতেছে। ও লজ্জিত হয়ে যায়। তো যতক্ষণ ভগবত কৃপা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এরকম হওয়া সম্ভব নয়। এ কৃপারই লক্ষণ। কৃপা হয়েছে কি না আমি কিভাবে জানবো? এরকম কাজকর্মের দ্বারা তুমি জানতে পারবে। তো অমোঘ এখন ভগবত কৃপা হয়ে গেছে এখন দেখতেছে নিজের অবগুণ। হায় হায় আমি ভগবানকে এইভাবে নিন্দা করেছি, এইরকম জীবনের আমার কি দরকার? থাপ্পড় মেরে মেরে নিজের গাল ফুলিয়ে ফেলেছে। মহাপ্রভু হাত ধরে বলে, আরে তুমি কি করছ? না প্রভু আমার জীবিত থাকার কোন অধিকার নেই। আমি আপনাকে এইপ্রকার বদনাম করেছি, নিন্দা করেছি। আমাদের মতো পাপী দুরাত্মাকে আপনি কেন বাঁচালেন, আমারতো মরাই উচিৎ ছিলো। এমন পাপী জীবন। এতে মহাপ্রভু খুব প্রসন্ন হলেন। এমন কৃপা করলেন অশ্রু, কম্প, পুলোক, স্বেদ, বৈবর্ণ আদি সেই অষ্ট স্বাত্মিক বিকার- কৃষ্ণপ্রেমে বিভাবিত হয়ে গেছে, দেখে সার্বভৌম ভট্টাচার্য এবং শাশুড়িমা বড়ই প্রসন্ন হলেন, জামাই আমাদের শুধরে গেছে। পরম ভক্ত হয়ে গেছে, আর মহাপ্রভুর একান্ত ভক্ত হয়ে গেছে, বড়ো প্রিয় ভক্ত হয়ে গেছে অমোঘ। কৃপার দ্বারা, এইভাবেই হয়ে থাকে, এ কৃপা সাপেক্ষ, তাই না। | শ্রী শ্রী ১০৮ বিনোদ বাবাজী মহারাজের আলোচনা থেকে। | |||
85 | আমাদের আলোচ্য বিষয় চলছে, কলিযুগ পাবন অবতার, ভুবন মঙ্গল, অখিল রসামৃত সিন্ধু, প্রেম পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভুর পাবনি জীবন গাঁথা সম্বন্ধে কিঞ্চিত দিগদর্শন করার প্রয়াস করছি মাত্র। ভগবান আসেন, জীব জগত উনারই সত্ত্বা। ভগবানের সাথে আমাদের নিত্য সম্বন্ধ। এ সম্বন্ধ কোন তৈরি করা সম্বন্ধ নয়, এ সম্বন্ধ বানানো যায়না, এ ছিলো, আছে, থাকবে। বানানো সম্বন্ধ সংসারে, সাংসারিক দৃশ্যমান জাগতিক বস্তু পদার্থের প্রতি আমাদের যে আত্মীয়তাবোধ এটা হলো কল্পনা, এর কোন সত্যতা নেই। সম্পূর্ণ ভুল, স্বপ্নের মতো। তো ভগবান তো জানেন সবই তাঁরই স্বত্বা, ওতোপ্রতো ভাবে ভগবান সমস্ত জগতে পরিব্যপ্ত। মত্ত …।। আমার ছাড়া আর কোন তত্ত্ব নেই। কিন্তু জীব ভুলে গেছে ভগবানের সাথে আমাদের নিত্য সম্বন্ধ ছিলো, আছে, থাকবে। জাগতিক দৃশ্যমান বস্তু পদার্থের সাথে আমাদের সম্বন্ধ ছিলোনা, নেই, হবে না, হতেই পারে না। কিন্তু তবুও মিথ্যা প্রকৃতির সাথে এক একাত্মতার কারণে, স্বরূপ ভুলে যাওয়ার কারণে, আমরা জড়িও এক শরীর পঞ্চভৌতিক শরীরকে আমি মেনে নিয়েছি আমি শরীর। ব্যস এই বিস্মৃতি এ স্বপ্নের মতো মিথ্যা, এ শরীরের সাথে যে এক তদাত্মতা, শরীরই আমি এটাই হচ্ছে মূল মায়ারই জড়। না দৃশ্যমান জগত মায়া, না কামিনী মায়া, না কাঞ্চন মায়া, মায়া কি? কায়া মানে শরীর ই মায়া। মায়ারই জড় হচ্ছে কায়া। কায়া মানে শরীর-ই আমি। যেদিন গুরু কৃপায় ওর বোধ হয় যে, আমি শরীর নই, শরীর সম্বন্ধীয় বস্তু আমার নয়, এ বোধ দৃঢ় হয় তখনই ওর চেতন সত্ত্বা জাগরিত হয়, ও তখন ভাবতে শুরু করে, নিজের স্বরূপ চিন্তা করতে শুরু করে। তো ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে জড়ীয় বন্ধন মুক্ত হতে শুরু করে, আর স্বরূপ চিন্তার দ্বারা ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে জড়ীয় যে বন্ধন আছে, গ্রন্থি আছে তা ঢিলা হতে শুরু করে, এটাই প্রক্রিয়া। এইজন্য বলা হয়ে থাকে যেন তেন প্রকারে কৃষ্ণে মনোনিবেশ করতে হবে। যেভাবে হোক মনকে নিযুক্ত করো। মনকে নিযুক্ত করাই সাধনা। ভজন কোন ক্রিয়া নয়, ভজন অন্তকরন বৃত্তি। আমরা সবাই ভাবি ক্রিয়াই ভজন, যে ক্রিয়া আমরা যা করি- জপ-তপ উপাসনা পূজা-পাঠ ধ্যান-ধারণা যা কিছু আমরা করি এগুলো ক্রিয়া। ক্রিয়া হয়ে গেছে তো আমাদের ভজন হয়ে গেছে। আমরা ভাবি আজকের ভজন হয়ে গেছে। কিছুই হয়নি, ভজনই হয়নি। যে স্থিতিতে মন ভগবত চরণে সংলগ্ন হয়ে যায়, জানতে পারি আমি ভুলে গিয়ে ভগবত চরণ বিস্মৃতির কারণে, স্বরূপ বিস্মৃতির কারণে আমি সংসার চক্রে ঘুরে বেড়াচ্ছি, এ বোধ হয় তখনই ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে অন্তর জগতের যে জাগরণ ও শুরু হয়ে যায়। তখনই ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে সাধক সংসার চক্র থেকে মুক্ত হওয়ার মার্গ খুঁজে পায়। নয়তো ক্রিয়ার দ্বারা যতক্ষণ ক্রিয়া আছে এটা করা সেটা করা তীর্থ পর্যটন আদি সৎসঙ্গ, সাধু সঙ্গ সবই করে, কিন্তু আমাদের মনোবৃত্তি, অন্তঃকরণের যে স্থিতি ও যে ভৌতিক পদার্থ আছে, খাওয়া-দাওয়া, দেখা-শোনা, দৃশ্যমান জাগতিক যত বস্তু পদার্থ আছে তার প্রতি আমাদের রুচি, আর এর মধ্যেই সুখ আছে জেনে জড়ীয় বস্তু পদার্থ এর প্রতি আসক্তির কারণে ভৌতিক পদার্থ প্রাপ্তির আশা নিয়ে আমাদের ক্রিয়া কর্ম যা কিছু আছে, এক হচ্ছে আমাদের ইন্দ্রিয় তৃপ্তি। ইন্দ্রিয় তৃপ্তিই আমাদের কর্মচেষ্টার প্রধান কারণ। বাস্তবে এসব ভুল। তো এ চেতনা সত্ত্বাকে জাগানোর জন্যই ভগবান যুগে যুগে আসেন। কখনও তাঁর ভক্তকে পাঠান, কখনও তাঁর পার্শদকে পাঠান। কখনও অবতার, কখনও স্বয়ং অবতার, কখনও পূর্ণ অবতার, কখনও অংশ অবতার, কখনও কলা অবতার, কখনও আবেশ অবতার। এইভাবে ভগবান তাঁর সৃষ্টি জীবকে চৈতন্য সত্ত্বা জাগরিত করার জন্য এইভাবে নরলীলার মতো আচরণ করেন। এসে এক সাধারণ মানুষের মতো লীলা করেন। যে লীলা চিন্তা করে জীব ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে সংসার বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার মার্গ খুঁজে পায়। এরকমই মহাপ্রভু এসেছেন এই কলিযুগে, ও গোলোকের যে প্রেম, যুগোল প্রেম নির্যাস মঞ্জুরি স্বরূপ উপাসনা পদ্ধতি ভাবোল্লা সারথি। যে সাধন পদ্ধতি প্রথমে কোন অবতার প্রদান করেননি, ও বস্তু প্রদান করার জন্য মহাপ্রভু এসেছেন এই কলিযুগে। এইজন্য এই কলিযুগকে ধন্যবাদ দিয়ে থাকেন সব মহাপুরুষগণ। কলিযুগ ধন্য। অনেক, অশেষ দোষ থাকা সত্ত্বেও এর এক মহতি গুণ আছে, যে দেখো একমাত্র হরিনাম সংকীর্তন এর দ্বারা ও পরম মঙ্গল সাধন করতে সমর্থ হতে পারে। আর প্রভুর কৃপা প্রাপ্ত হয়ে ধন্যঅতি ধন্য হতে পারে। …… কলিযুগে কেবল হরিনাম। কেবল হরিনাম। কেবল হরিনাম। |
শ্রী শ্রী ১০৮ বিনোদ বাবাজী মহারাজের আলোচনা থেকে। | |||
87 | হরে কৃষ্ণ।খুব ভালো লাগলো পেইজটি | Sylhet - Tamabil Hwy, সিলেট, Bangladesh | |||
| |||||
লক্ষ্য করুন=> সবার লেখাগুলো সরাসরি আমাদের ডাটাবেজে জমা হবে, এবং পাবলিশ হয়ে যাবে তাই আপত্তিকর কোন লেখা চোখে পড়লে সাথে সাথে এডমিনকে জানাতে বা মেইল করতে ভুলবেন না। যে কোন লেখা বা মতামত পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন । অনলাইন ইউজার কর্তৃক আপলোডকৃত বিভিন্ন লেখা বা কৌতুকগুলো => সনাতন ধর্মীয়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ , দেব-দেবী , সাম্প্রতিক বিষয় , আপনার পছন্দ , প্রেমের কবিতা , প্রার্থনা, সাম্প্রতিক ঘটনা , বিবিধ বিষয়ে , হাসির ঘটনা, স্বামী - স্ত্রী , বিখ্যাতদের নিয়ে, বোকা ও বুদ্ধিমান , ডাক্তার ও রোগী , শিক্ষক ও ছাত্র , অলসতা , কৃপণতা , চাপাবাজি , প্রেমিক-প্রেমিকা , মাতাল-পাগল , বন্ধুদেরকে নিয় , বিবিধ কৌতুক | |||||