স্বপ্নিল- হ্যাঁ বলছি, মন দিয়ে শোন। যে কোন পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ এবং তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমাদের দেশের পণ্যমান সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অতি প্রসংশনীয়। এব্যাপারে তাঁদের ব্যতিক্রমধর্মী কাজের মধ্যে দু’একটির বিবরণ তোমায় আমি দিচ্ছি।
যেমনঃ- প্রথমতঃ যেকোন পণ্যের প্যাকেট দেখেই আমরা বুঝতে পারি সেটি কতটা মানসম্মত; সেটা কীভাবে সম্ভব? সম্ভব এইভাবে যে-
আমাদের দেশের যত প্যাকেট বা বোতলজাত পণ্য যা আমরা ব্যবহার করি, তার প্রতিটি পণ্যের প্যাকেটের গায়ে উক্ত পণ্যের গ্রেড বা Category এবং MRP সেই সাথে মেয়াদ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। আর তা দেখে আমরা সহজেই উক্ত পণ্যের মান সম্পর্কে বেশ ভাল একটা ধারণা পেয়ে থাকি।
হৃদয়--আচ্ছা পণ্যের গ্রেডের কথা যেটা বললে সেটি কিভাবে নির্ধারণ করা হয় সে ব্যাপারে কোন ধারণা আছে তোমার?
স্বপ্নিল-- হ্যাঁ আছে, আমার এক নিকট আত্মীয় উক্ত পণ্যমান সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে, ওর নিকট থেকে শোনা। তুমিও মন দিয়ে শোন; যেকোন পণ্যের ক্ষেত্রে উক্ত পণ্যের সকল উপাদান যেটা মানব শরীর এবং পরিবেশের জন্য উপকারী অথবা ক্ষতিকারক ইত্যাদি দিক বিচার বিশ্লেষণ করে সর্বমোট ৬টি গ্রেড বা Category তে ভাগ করে থাকে।
এক্ষেত্রে ৮০% বা তার বেশি গুরুত্ব তথা পয়েন্ট বা নম্বর প্রাপ্ত পণ্যের জন্য A++ গ্রেড, এমনিভাবে ৭০%, ৬০%, ৫০%, ৪০%, ৩০% এবং (-৩০%) গুরুত্ব বা পয়েন্ট-এর ক্ষেত্রে যথাক্রমে A+, A, B, C, D এবং F গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। বুঝতেই পারছ A++ হলো সবচেয়ে ভালো মানের পণ্য তবে F গ্রেড হলো নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত পণ্য।
এসংক্রান্ত একটি খসড়া হিসাব পদ্ধতি আমার নিকট আছে, তুমি দেখতে পারো। দেখ। এছাড়া তুমি চাইলে এই লিংকে ক্লিক করে
যেকোন সময় যেকোন যায়গা থেকে দেখে নিতে পারো। পণ্যের গ্রেডিং নির্ণয় পদ্ধতির (খসড়া হিসাব)
পণ্যের গ্রেডিং নির্ণয়ের খসড়া হিসাবটি প্রায় এরকম; বিশেষজ্ঞ প্রোগ্রামাররা হয়ত এখন আরও একটু আপগ্রেড করতে পারে। এখানে তোমার বুঝার সুবিধার্থে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। যেমন- বাম পার্শ্বে নীচে সকল ক্ষতিকারক উপাদানের নাম লিখতে হয়।
এবং উক্ত পণ্যে অর্থাৎ এক ইউনিট পণ্যে বা একটি নির্দিস্ট পরিমাণে বা একটি নির্দিস্ট এককে উক্ত ক্ষতিকারক উপাদান কত মাত্রায় উপস্থিত আছে- ল্যাবে পরীক্ষার পর তার হার পূরণ করতে হয়। উল্লেখ্য এখানে ১ থেকে ৩ অর্থাৎ লাল দাগ এর নীচ পর্যন্ত সাধারণ অনুমোদিত সীমা বা মানদন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থাৎ উক্ত উপাদান মানব শরীরের উপর সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা(৩) এবং সর্বোচ্চ ক্ষতিকারক (মৃত্যু ঘটতে পারে এমন) এর মাত্রা ১০ ধরা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন পণ্যের এরূপ সহনীয় মাত্রা বা ১ থেকে ১০ মাত্রা নির্ধারণে একটা স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলা যেতে পারে। অনুরূপভাবে ডান পার্শ্বে নীচে সকল উপকারী উপাদানের নাম লিখতে হয়।
এবং উক্ত পণ্যে অর্থাৎ এক ইউনিট পণ্যে বা একটি নির্দিস্ট পরিমাণে বা একটি নির্দিস্ট এককে কত মাত্রায় উপস্থিত আছে- ল্যাবে পরীক্ষার পর তার হার পূরণ করতে হয়। উল্লেখ্য এখানেও উপর থেকে (১০ থেকে ৪ পর্যন্ত) লাল দাগ এর উপর পর্যন্ত সাধারণ অনুমোদিত সীমা বা মানদন্ড ধরা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণ ...