স্বপ্নিল হৃদয়ের স্বপ্নপুরী

সাধারণ জনতার প্রাণের দাবী

এটা সম্পূর্ণ লেখকের ব্যক্তিগত অভিমত, চাইলে এব্যাপারে আপনিও আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়ে সুন্দর স্বপ্নপুরী বিনির্মাণে সহযোগিতা করতে পারেন ।


*

হৃদয়ের সাথে আমার পরিচয় সেই ছোট থেকেই। আমরা পরস্পরের বন্ধু। দুজনই খুবই সাধারণমানের জীবন যাপনে অভ্যস্ত। তবে আমার থেকে ওর কিছুটা পার্থক্য আছে; যেমন- আমি সবকিছু মেনে নিয়ে / মানিয়ে নিয়ে সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে, বলতে পারেন তেলাপোকার মত যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকতে চাই; যতটা সম্ভব গা বাঁচিয়ে, ঝামেলা এড়িয়ে চলাই আমার নীতি। আর ‘ও’ কিঞ্চিৎ প্রতিবাদী এবং সে সুবাদে বেশ আশাবাদী তথা স্বপ্নপ্রবণ।


তাছাড়া যেমন ধরুন আমার কাছে মনে হয় বা আমি বিশ্বাস করি- যেকোন কাজ করতে গেলে একটু আধটু ভুলত্রুটি হতেই পারে; এক্ষেত্রে ওতো নিখুঁত বা নির্ভুল হওয়ার কি আছে ? কিন্তু না, তাতে ওর মন ভরে না; বলতে পারেন বেশ খুঁতখুঁতে স্বভাবের। যেকোন কাজ যতটা সম্ভব নিখুঁত ও নির্ভুলভাবে করার কী আপ্রাণ প্রচেষ্টা ওর! সত্যি বলতে কী ‘ওর’ রুচী এমন স্তরের যা তার সাধ্যের সীমা অতিক্রম করেছে সেই ছোট বেলায়। এখন দিন যত যায়- রুচী আর সাধ্যের মধ্যে ব্যবধান তত বাড়তে থাকে। তবুও যতটা সম্ভব মেনে নিয়ে, মানিয়ে নিয়ে- এদু’য়ের মধ্যে এক প্রকার সমঝোতা করেই জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যেতে থাকে।


হৃদয় স্বপ্ন দেখতে খুবই ভালবাসে। মাঝে মধ্যে যেকোন বিষয়ে এমন অদ্ভুত ধরনের সব কথা বলে, এমনভাবে সবকিছু ভাবতে থাকে যা সত্যিই স্বপ্নের মতোই মনে হয়। ইদানিং আমিও- কেন জানিনা ওর সুহৃদ, শুভাকাঙ্ক্ষী হতে চলেছি। ওর কথাগুলো আমারও কেন জানিনা ভাল লাগতে শুরু করেছে। প্রায়ই আমাদের মধ্যে আলাপ হয়, গল্পও হয় বিভিন্ন প্রসঙ্গে। ওর নিকট থেকেই শোনা এমনই এক বলতে পারেন অদ্ভুত, রোমাঞ্চকর স্বপ্নদৃষ্ট গল্পকথা আজ আপনাদেরকে বলছি।




তবে, এপ্রসঙ্গে আরও একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কথা একটু বলা দরকার; ওর নাম স্বপ্নিল।‘ও’-ই নাকি হৃদয়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু; থাকে সুদূর দেশে। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব এতটা ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণ- দু’জনের চিন্তা-ভাবনা, চাওয়া-পাওয়া, মতামতের নাকি অদ্ভুত মিল! তবে যতদূর শুনেছি সব ব্যাপারে স্বপ্নিল খানিকটা এগিয়ে। বিষয়টা এমন- যেন হৃদয়ের যত কথা, চিন্তা-ভাবনা, স্বপ্নগুলো স্বপ্নিলের নিকট নতুন কোন ব্যাপার নয়; সমস্ত ব্যাপারে স্বপ্নিল পূর্ব থেকেই পরিচিত।

সে যা-ই হোক, এবার আসল কথায় আসি। এইতো কিছুদিন হল, প্রাতঃভ্রমণকালে হৃদয়ের সাথে স্বপ্নিলের হঠাৎ দেখা হয়, বলতে পারেন তার পর থেকেই হৃদয়ের মধ্যে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করি। সর্বক্ষণ কী-যেন ভাবতে থাকে। মনে হয় কোন অন্য ভূবনের বাসিন্দা হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে বলে ওঠে ‘ সত্যি যদি এমনটি হ’তো ! সেদিন সুযোগ বুঝে জানতে চেয়েছিলাম এমন অদ্ভুত আচরণের কারণ। উত্তরে যা বলল- তা শুনে, আমি তো রীতিমতো বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই !


তবে একটা কথা স্বীকার করতেই হয় যে, কথাগুলো শুনে আর কিছু না হোক- আমার মত (বাস্তববাদী/ হতাশাবাদীও বলতে পারেন) মানুষের মনের গহীনেও একটা স্বপ্নের বীজ অন্ততঃ প্রোথিত হয়েছে। কথাগুলো যদিও অদ্ভুত, অবাস্তব, ভিত্তিহীন তবুও কেন জানিনা হৃদয়ের ঐ বাক্যটাই মাঝে মধ্যে আমারও মনের মাঝে অজান্তে উঁকি দিচ্ছে, ‘সত্যিই যদি এমনটি হ’তো!’ এক অদ্ভুত ভাললাগা, একটা স্বস্তি বা শান্তির আভাস পাচ্ছি। সেই অদ্ভুত, অবাস্তব কথাগুলো, বলতে পারেন ওদের দুজনের কথোপকথোন যতটা সম্ভব হুবহু আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সুধিজন তথা বন্ধুবর (হৃদয়) ভুলত্রুটি মার্জনীয় যদি কোন কিছু অতিরঞ্জিত বলে থাকি অথবা কোন কিছু বাদ পড়ে থাকে।

হৃদয়- আরে স্বপ্নিল! কতদিন পর দেখা; কেমন আছ বন্ধু? সব কুশল তো? মনে মনে তোমাকেই খুঁজছিলাম, এতদিন কোথায় ছিলে?

[কথাগুলো হৃদয় এক প্রকার একদমে, দ্রুতলয়ে বলে গেল। কাংক্ষিত মনের মানুষকে দীর্ঘদিন পর কাছে পেলেই হয়তো বাক্য এমন বাধাহীন, অসংযত হয়ে পড়ে।]

পৃষ্ঠা নং- ১ ,  পরবর্তী বিবরণ

* * * স্বপ্নিল হৃদয়ের স্বপ্নপুরীতে আপনাকে স্বাগতম। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা পরামর্শ প্রদান করে পাশে থাকুন। ধন্যবাদ * * *

জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।