ঈশ্বর সম্বন্ধীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক বিষয়ঃ- দেখতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ক্লিক করুন-
সত্যিই কি ঈশ্বর আছেন?
-শ্রী পতিত উদ্ধারণ গৌর দাস ব্রহ্মচারী
মানুষ যা সৃষ্টি করেনি তা কে সৃষ্টি করেছে?
কোনো পেইন্টিং অথবা শিল্পকর্মের দিকে তাকালে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় যে, কেউ এটা তৈরি করেছে। যেমন ‘মোনালিসা’ ছবিটি এঁকেছেন ভিঞ্চি। আবার গাড়ি, মোবাইল, উড়োজাহাজ, কম্পিউটার, তাজমহল ইত্যাদি অসংখ্য আশ্চর্যজনক জিনিস মানুষ তৈরি করেছে। নিশ্চয়ই এসবের পেছেনে রয়েছে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং সেই সাথে বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তাহলে মানুষ যা সৃষ্টি করেনি, তা কে সৃষ্টি করেছে? যেমন- মানব দেহের মধ্যে সবচেয়ে জটিল যন্ত্র হচ্ছে চোখ। এটি সেকেন্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগ সময়ের মধ্যে ৭ থেকে ১০ লক্ষ রঙের স্ন্যাপ নিতে পারে। এরূপ আশ্চর্য ক্যামেরার ডিজাইনার কে? প্রকৃতিতে এরকম আরো অনেক আশ্চর্যজনক জিনিস রয়েছে যা সংখ্যায় গণনা করা যায় না।
যেকোনো প্রকার সৃষ্টি ও তার পরিচালনার জন্য তিনটি সত্ত্বা প্রয়োজন-
১. ডিজাইনার (Designer)
২. সংগঠক (Organizer)
৩. আইন প্রণেতা (Law Maker)
১. ডিজাইনার (Designer)
একটি জটিল ডিজাইন একজন দক্ষ ডিজাইনারের নির্দেশ করে। সুবিন্যস্ত মহাবিশ্ব ইঙ্গিত করে যে, এর পেছনে রয়েছেন একজন সুদক্ষ ডিজাইনার। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায় যে, এই মহাবিশ্বে এমন সুবিন্যস্ত বহু বিষয় রয়েছে যা সত্যিই সবাইকে বিস্মিত করে। পৃথিবীর কথাই ধরা যাক-
পৃথিবীর ঘুর্ণন গতিঃ পৃথিবীর ঘুর্ণন গতি যদি সামান্যতম বেশি হতো, তাহলে টর্নেডো, হারিকেন ইত্যাদি দ্বারা সবকিছু তছনছ হয়ে যেত। আর সামান্যতম কম হলে রাতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং দিনে প্রচণ্ড গরম হতো।
পৃথিবী কি আপনা থেকেই সঠিক গতিতে ঘুরছে, যেখানে একটি স্যাটেলাইট পরিচালনা করতে শতশত লোককে কাজ করতে হয়?
পৃথিবীর আকৃতিঃ
পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ মাইল ওপরে নাইট্রজেন এবং অক্সিজেনের আবরণ আছে। পৃথিবী তার নির্দিষ্ট আকৃতি থেকে ছোট হলে তাতে আমাদের বসবাস করা অসম্ভব হতো; আবার বড় হলে এর বায়ুমণ্ডল নাইট্রজেন শূন্য হতো, তখনও পৃথিবীতে জীবন ধারণ অসম্ভব হতো। একে সঠিক আকৃতি কে দিয়েছে?
পৃথিবীর অবস্থানঃ
পৃথিবী ঘণ্টায় প্রায় ৬৭,০০০ মাইল গতিতে ঘুরছে। যদি তা সূর্য থেকে আর একটু দূরে থাকত, তবে পৃথিবী বরফে পরিণত হতো। আর কাছে হলে সূর্যের তাপে পুড়ে ছাই হয়ে যেত। পৃথিবীকে সঠিক তাপমাত্রায় অবস্থানের দূরত্ব কে নির্ধারণ করেছেন।
এ তো গেল একটি গ্রহের কথা, বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুসারে মহাবিশ্বে এরকম অসংখ্য গ্রহমণ্ডলী রয়েছে। এই সমগ্র মহাবিশ্ব এত নিখুঁতভাবে কে ডিজাইন করেছে?
কোনো কোনো বিজ্ঞানী বলতে পারেন যে, এটা আকস্মিকভাবে বা আপনা থেকেই হয়েছে। তবে বুদ্ধিমান ব্যক্তি কোনো বস্তু দেখে স্বাভাবিকভাবেই বুঝতে পারবেন যে, এর একজন ডিজাইনার আছেন।
এর পর দেখুনঃ মহাবিশ্বের এই আশ্চর্য ব্যবস্থাপনার সংগঠক কে?
আপনার পছন্দমত
যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
আপনাদের পোস্টকরা লেখাগুলো দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন ।