সনাতন ধর্মের সুনির্বাচিত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু শ্লোকঃ-

জ্ঞান-ই শক্তি ! নিজের ধর্ম সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানুন এবং অন্যকেও জানতে উৎসাহিত করুন।

আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত অন্ত্য ১৬, শ্রীকৃষ্ণের অধরামৃত

  • শ্লোক: 26
    বিপ্রাদ্ দ্বিষড়্ গুণযুতাদরবিন্দনাভ-
    পাদারবিন্দবিমুখাৎ শ্বপচং বরিষ্ঠম্ ।
    মন্যে তদর্পিতমনোবচনেহিতার্থ-
    প্রাণং পুনাতি স কুলং ন তু ভূরিমানঃ ।। ২৬।।
  • অনুবাদঃ- অনুবাদ- “যার মন, বচন, চেষ্টা, অর্থ ও প্রাণ শ্রীকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মে অর্পিত হয়েছে, তিনি যদি চণ্ডাল কুলেও জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তাহলেও তিনি কৃষ্ণপাদপদ্ম বিমুখ দ্বাদশ গুণ বিশিষ্ট ব্রাহ্মণের থেকেও শ্রেষ্ঠ বলে আমি মনে করি। কেননা, তিনি ( শ্বপচ কুলোদ্ভূত) স্বীয় কুল পবিত্র করেন। কিন্তু অতি গর্বিত অভক্ত ব্রাহ্মণ তা করতে পারেন না। ” তাৎপর্য- এই শ্লোকটি এবং পরবর্তী শ্লোকটি শ্রীমদ্ভাগবত (৭/৯/১০) এবং (৩/৩৩/৭) থেকে উদ্ধৃত।

  • শ্লোক: 27
    অহো বত শ্বপচোহতো গরীয়ান্
    যজ্জিহ্বাগ্রে বর্ততে নাম তুভ্যম্ ।
    তেপুস্তপস্তে জুহুবুঃ সস্নুরার্যাঃ
    ব্রহ্মানূচুর্নাম গৃহন্তি যে তে ।। ২৭।।
  • অনুবাদঃ- অনুবাদ- “ ‘হে ভগবান, যাঁদের জিহ্বায় আপনার নাম বিরাজ করে, তাঁরা যদি অত্যন্ত নীচকুলেও জন্মগ্রহণ করেন, তাহলেও তাঁরা শ্রেষ্ঠ। যাঁরা আপানার নাম কীর্তন করেন, তাঁরা সবরকম তপস্যা করেছেন, সমস্ত যজ্ঞ করেছেন, সর্বতীর্থে স্নান করেছেন, সমস্ত বেদ পাঠ করেছেন, সুতরাং তাঁরা আর্য মধ্যে পরিগণিত।’ ”

  • শ্লোক: 28
    শুনি’ ঠাকুর কহে, -- “শাস্ত্র এই সত্য কয় ।
    সেই শ্রেষ্ঠ, ঐছে যাতে কৃষ্ণভক্তি হয় ।। ২৮।।
  • অনুবাদঃ- শ্রীমদ্ভাগবতের এই শ্লোকগুলি শুনে ঝড়ু ঠাকুর বললেন, “হ্যাঁ, এই শাস্ত্র-বাণী সত্য। কিন্তু, যিনি ঐ প্রকার কৃষ্ণভক্তি লাভ করেছেন তিনিই শ্রেষ্ঠ।

  • শ্লোক: 29
    আমি –নীচজাতি, আমার নাহি কৃষ্ণভক্তি ।
    অন্য ঐছে হয়, আমার নাহি ঐছে শক্তি ।।” ২৯।।
  • অনুবাদঃ- "“আমি নীচজাতি এবং আমি কৃষ্ণভক্তি লাভ করতে পারিনি। অন্য যাঁরা যথার্থ কৃষ্ণভক্ত তাঁদের বেলায়ই এই শ্লোক প্রযোজ্য, আমার সেরকম শক্তি নেই। ” তাৎপর্য- এখানে ঝড়ু ঠাকুর তাঁর নীচকুলে জন্মগ্রহণ করার এবং কৃষ্ণভক্তি লাভের অযোগ্যতার কথা বলেছেন। নীচকুলোদ্ভূত ব্যক্তিও বৈষ্ণবে পরিণত হলে সর্বোত্তম হন সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন, কিন্তু তিনি অনুভব করেছিলেন যে শ্রীমদ্ভগবতের এই বর্ণনাগুলি অন্যদের বেলায় প্রযোজ্য, কিন্তু তাঁর বেলায় নয়। ঝড়ু ঠাকুরের এই মনোভাব আদর্শ বৈষ্ণবোচিত, কেননা, বৈষ্ণব অতি উত্তম হলেও, কখনও নিজেকে উত্তম বলে মনে না। তিনি সর্বদাই অত্যন্ত দীন ও বিনীত, এবং তিনি কখনও নিজেকে উত্তম ভক্ত বলে মনে না। তিনি অত্যন্ত দীনতা অবলম্বন করেন, কিন্তু অর্থ এই নয় যে তিনি অধঃপতিত। শ্রীল সনাতন গোস্বামী এক সময় বলেছিলেন যে তিনি অত্যন্ত নীচজাতি, কেননা ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হলেও তিনি রাজমন্ত্রীরূপে ম্লেচ্ছ এবং যবনদের সঙ্গ করেছিলেন। তেমনই, ঝড়ু ঠাকুরও নীচকুলোদ্ভূত বলে দীনতা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণ কুলোদ্ভূত বহু ব্যক্তির থেকে অনেক উন্নত। ২৬ এং ২৭ শ্লোকে শ্রীমদ্ভাগবত থেকে কালিদাসের উদ্ধৃত প্রমাণ ব্যতীত শাস্ত্রে আরও বহু প্রমাণ রয়েছে। যেমন, মহাভারতে (বনপর্ব, ১৭৭ পরিচ্ছেদের ২০ শ্লোকে) বর্ণনা করা হয়েছে—
    শূদ্রে তু যদ্ভবেল্লক্ষং দ্বিজে তচ্চ ন বিদ্যতে ।
    ন বৈ শূদ্রো ভবেচ্ছূদ্রো ব্রাহ্মণো ন চ ব্রাহ্মণঃ ।।
    “ব্রাহ্মণোচিত গুণাবলী যদি শূদ্রের মধ্যে দেখা যায় তাহলে তিনি শূদ্র নন; এবং ব্রাহ্মণোচিত গুণাবলী যদি কোন ব্রাহ্মণে না দেখা যায় তাহলে তিনি ব্রাহ্মণ নন।”

    তেমনই, বনপর্বের ২১১ পরিচ্ছেদের ১-১২ শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে—
    শূদ্রযোনৌ হি জাতস্য সদ্ গুণানুপতিষ্ঠতঃ ।
    আর্জবে বর্তমানস্য ব্রাহ্মণ্যমভিজায়তে ।।
    “শূদ্রকুলে জাত ব্যক্তির মধ্যে যদি ব্রাহ্মণের গুণাবলী প্রকাশ হয়, যথা সত্য, শম (প্রশান্ততা), দম (ইন্দ্রিয় সংযম), এবং আর্জব (সরলতা), তাহলে তাঁকে ব্রাহ্মণ বলেই স্বীকার করতে হবে।”

    মহাভারতের অনুশাসন পর্বে, ১৬৩ শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে—
    স্থিসো ব্রাহ্মণধর্মেণ ব্রাহ্মণ্যমুপজীবতি ।
    ক্ষত্রিয়ো বাথ বৈশ্যো বা ব্রহ্মভূয়ঃ স গচ্ছতি ।।
    এভিস্তু কর্মভির্দেবি শুভৈরাচরিতৈস্তথা ।
    শূদ্রো ব্রাহ্মণতাং যাতি বৈশ্যঃ ক্ষত্রিয়তাং ব্রজেৎ ।।
    ন যোনির্নাপি সংস্কারো ন শ্রুতং ন চ সন্ততিঃ ।
    কারণানি দ্বিজত্বস্য বৃত্তমেব তু কারণম্ ।।
    “কেউ যদি ব্রাহ্মণ ধর্মে স্থিত হন, তাহলে ক্ষত্রিয় অথবা বৈশ্য কুলে জন্ম হওয়া সত্ত্বেও তাকে ব্রাহ্মণ বলে বিবেচনা করতে হবে।
    “হে দেবি, শূদ্র যদি ব্রাহ্মণের মতো শুদ্ধ আচার-আচরণের যুক্ত হয় তাহলে তিনিও ব্রাহ্মণত্ব প্রাপ্ত হন। তেমনই ক্ষত্রিয়োচিত গুণাবলী অর্জন করার মাধ্যমে বৈশ্য ক্ষত্রিয়ত্ব লাভ করতে পারেন।
    “তাই, জন্ম, সংস্কার অথবা বেদ পাঠের দ্বারা কেবল কেউ ব্রাহ্মণত্ব লাভ করে না। বৃত্তির দ্বারাই ব্রাহ্মণ চেনা যায় ।”

    আমরা অনেক সময় দেখি যে ডাক্তারের পুত্র না হলেও এবং মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা না করলেও কখনও কখনও অনেকে চিকিৎসকের বৃত্তি গ্রহণ করতে সমর্থ হন। ব্যবহারিক ভাবে ঔষধ তৈরি করার বিদ্যা, বিভিন্ন রোগে ঔষধ দেওয়ার বিদ্যা এবং শল্য চিকিৎসা শিক্ষা লাভ করে ব্যবহারিকভাবে চিকিৎসক হওয়ার স্বীকৃতি লাভ করেন। তিনি চিকিৎসকের কার্য করতে পারেন এবং চিকিৎসক রূপে পরিচিত হন। শিক্ষিত চিকিৎসকেরা তাঁকে হাতুড়ে ডাক্তার বলে মনে করলেও, সরকার তার চিকিৎসার স্বীকৃতি দেন। বিশেষ করে ভারতবর্ষে এই রকম বহু ডাক্তার রয়েছেন যাঁরা অত্যন্ত সুদক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসা করেন। সরকার পর্যন্ত তাঁদের স্বীকার করেন। তেমনই, কেউ যদি ব্রাহ্মণের বৃত্তি অনুশীলন করেন, নীচকুলে জন্ম হলেও তাঁকে ব্রাহ্মণ বলে স্বীকৃতি দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। সেইটিই সমস্ত শাস্ত্রের নির্দেশ। শ্রীমদ্ভাগবতে (৭/১১/৩৫) বলা হয়েছে—
    যস্য যল্লক্ষণং প্রোক্তং পুংসো বর্ণাভিব্যঞ্জকম্ ।
    যদন্যত্রাপি দৃশ্যেত তত্তেনৈব বিনির্দিশেৎ ।।
    এটি মহারাজ যুধিষ্ঠিরের প্রতি নারদ মুনির উক্তি। এখানে নারদ মুনি বলছেন যে শাস্ত্র ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যের লক্ষণ বর্ণিত হয়েছে। তাই, কারোর মধ্যে যদি ব্রাহ্মণের গুণাবলী ও লক্ষণগুলি দেখা যায় এবং ব্রাহ্মণের বৃত্তিতে আচরণ করতে দেখা যায়, তাহলে ব্রাহ্মণ অথবা ক্ষত্রিয়কুলে জন্মগ্রহণ না করলেও তাঁকে গুণ এবং কর্ম অনুসারে ব্রাহ্মণ বলে বিবেচনা করা উচিত।
    তেমনই পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে—
    ন শূদ্রা ভগবদ্ভক্তাস্তে তু ভাগবতা মতাঃ ।
    সর্ববর্ণেষু তে শূদ্রা যে ন ভক্তা জনার্দনে ।।
    “ভগবদ্ভক্ত বৈষ্ণবকে কখনও শূদ্র বলে মনে করা উচিত নয়। পরমেশ্বর ভগবানের সমস্ত ভক্তদের ‘ভাগবত’ বলে চেনা উচিত। যদি সে ভগবানের ভক্ত না হয়, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় অথাবা বৈশ্য কুলে জন্ম হলেও তাকে শূদ্র বলে বিবেচনা করতে হবে।”

    পদ্ম-পুরাণেও বলা হয়েছে—
    শ্বপাকমিব নেক্ষেত লোকে বিপ্রমবৈষ্ণবম্ ।
    বৈষ্ণবো বর্ণবাহ্যোহপি পুনাতি ভুবনত্রয়ম্ ।।
    “ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও কেউ যদি অবৈষ্ণব হয়, তাহলে তার মুখ দর্শন পর্যন্ত করা উচিত নয়, ঠিক যেভাবে কুকুর-ভোজী চণ্ডালের মুখ দর্শন করা উচিত নয়। কিন্তু ব্রাহ্মণোত্তর কুলে জাত বৈষ্ণব ত্রিভুবন পবিত্র করতে পারেন।”

    পদ্ম-পুরাণে আরও বলা হয়েছে –
    শূদ্রং বা ভগবদ্ভক্তং নিষাদং শ্বপচং তথা ।
    বীক্ষ্যতে জাতিসামান্যাৎ স যাতি নরকং ধ্রুবম্ ।।
    “শূদ্র, নিষাদ অথবা চণ্ডাল কুলজাত ভগবদ্ভক্ত বৈষ্ণবকে সেই সেই বর্ণ বলে যে মনে করে, সে অবশ্যই নরকগামী হয়।”

    ব্রাহ্মণকে অবশ্যই বৈষ্ণব এবং শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত হতে হবে। তাই ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণকে পণ্ডিত বলে সম্বোধন করার প্রথা প্রচলিত আছে। ব্রহ্মজ্ঞান ব্যতীত পরমেশ্বর ভগবানকে জানা যায় না। তাই বৈষ্ণব অবশ্যই ব্রাহ্মণ, কিন্তু সব ব্রাহ্মণই বৈষ্ণব নন।
    গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে—
    ভক্তিরষ্টবিধা হ্যেষা যস্মিন্ ম্লেচ্ছহপি বর্ততে ।
    স বিপ্রেন্দ্রো মুনিশ্রেষ্ঠঃ স জ্ঞানী স চ পণ্ডিতঃ ।।
    “ম্লেচ্ছও যদি ভগবদ্ভক্ত হন, তাহলে তাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ এবং পণ্ডিত বলে স্বীকার করতে হবে।”
    তেমনই, তত্ত্বসাগরে বলা হয়েছে—
    যথা কাঞ্চনতাং যাতি কাংস্যং রসবিধানতঃ ।
    তথা দীক্ষাবিধানেন দ্বিজত্বং জায়তে নৃণাম্ ।।
    “পারদের মিশ্রণে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাঁসা যেমন সোনায় পরিণত হয়, তেমনই সদ্ গুরুর কাছ থেকে উপযুক্ত শিক্ষা এবং দীক্ষা লাভ করার মাধ্যমে মানুষ ব্রাহ্মণত্ব প্রাপ্ত হন।” সমস্ত শাস্ত্রে প্রমাণিত হয়ে যে বেদের সিদ্ধান্ত অনুসারে বৈষ্ণবকে কখনও অব্রাহ্মণ বলে মনে করা উচিত নয়। ম্লেচ্ছ অথবা যবন কুলে জন্মগ্রহণ করলেও বৈষ্ণবকে কখনও নীচজাতি বলে মনে করা উচিত নয়। যেহেতু তিনি শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত হয়েছেন, তাই তিনি সম্পূর্ণভাবে পবিত্র হয়েছেন এবং ব্রাহ্মণত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন (দ্বিজত্বং জায়তে নৃণাম্ )।

  • শ্লোক: 30
    তাঁরে নমস্করি’ কালিদাস বিদায় মাগিলা ।
    ঝড়ু –ঠাকুর তবে তাঁর অনুব্রজি’ আইলা ।। ৩০।।
  • অনুবাদঃ- তাঁকে পুনরায় নমস্কার করে কালিদাস তাঁর কাছ থেকে বিদায় নিলেন, এবং ঝড়ু ঠাকুর তখন তাঁর পিছনে পিছনে বাইরে এলেন।

  • শ্লোক: 31 -32
    তাঁরে বিদায় দিয়া ঠাকুর যদি ঘরে আইল ।
    তাঁর চরণ-চিহ্ন যেই ঠাঞি পড়িল ।।৩১।। সেই ধুলি লঞা কালিদাস সর্বাঙ্গে লেপিলা । তাঁর নিকট একস্থানে লুকাঞা রহিলা ।।৩২।।
  • অনুবাদঃ- কালিদাসকে বিদায় দিয়ে ঝড়ু ঠাকুর যখন তাঁর ঘরে ফিরে গেলেন, তখন যে যে স্থানে তাঁর চরণ চিহ্ন পড়েছিল, সেই স্থানের ধুলি নিয়ে কালিদাস তাঁর সর্বাঙ্গে লেপন করলেন, এবং তাঁর বাড়ির কাছেই একজায়গায় লুকিয়ে রইলেন।

  • শ্লোক: 33
    ঝড়ু –ঠাকুর ঘর যাই’ দেখি’ আম্রফল ।
    মানসেই কৃষ্ণচন্দ্রে অর্পিলা সকল ।।৩৩।।
  • অনুবাদঃ- ঘরে ফিরে গিয়ে সেই আমগুলি দেখে ঝড়ু ঠাকুর মানসে সেগুলি শ্রীকৃষ্ণচন্দ্রকে অর্পণ করলেন।

  • শ্লোক: 34
    কলার পাটুয়া-খোলা হৈতে আম্র নিকাশিয়া ।
    তাঁর পত্নী তাঁরে দেন, খায়েন চুষিয়া ।।৩৪।।
  • অনুবাদঃ- ঝড়ু ঠাকুরের পত্নী তখন কলার পাতা এবং খোলার মোড়ক থেকে আম বার করে ঝড়ু ঠাকুরকে নিবেদন করলেন, এবং ঝড়ু ঠাকুর সেগুলি চুষে চুষে খেতে লাগলেন।

  • শ্লোক: 35
    চুষি’ চুষি চোষা আঁঠি ফেলিলা পাটুয়াতে ।
    তারে খাওয়াঞা তাঁর পত্নী খায় পশ্চাতে ।। ৩৫ ।।
  • অনুবাদঃ- আমগুলি খেয়ে সেই আমের আঁঠিগুলি তিনি কলার পাতায় ফেললেন, এবং তাঁকে প্রথমে খাইয়ে তারপার তাঁর স্ত্রী আম খেতে লাগলেন।

  • এরপর দেখুন= চৈতন্য চরিতামৃত থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক

  • Add_6

    আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

    সুনির্বাচিত শ্লোকঃ-

    * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।