সনাতন ধর্মীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক বিষয়ঃ

নিজের ধর্ম সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানুন এবং অন্যকেও জানতে উৎসাহিত করুন।

আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন। আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন ।
Krishna vs Arjun @ Gita



Bhogoban Krishner Picture
  • For Ad Contact
    0191 22 086 22









  • Bhogoban Krishner Picture
  • For Ad Contact
    0185 977 97 98



  • হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ-কীর্তন কেন করবেন ?
    জপ-কীর্তন কিভাবে করা উচিৎ ?

    জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
    শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ।। (১বার)
    হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।
    হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।। (১০৮ বার)

    শ্রীমদ্ভগব্দগীতা, শ্রীমদ্ভাগবত ও অন্যান্য বৈদিকশাস্ত্র অনুসারে শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান এবং আমরা তাঁর অতি ক্ষুদ্র সনাতন বিভিন্নাংশ। আমি চিন্ময় আত্মা এবং অনুচৈতন্য, নিত্য কৃষ্ণদাস; কৃষ্ণ বিভুচৈতন্য, আমার একমাত্র প্রভু, আর এ জড়জগৎ আমার প্রবৃত্তিশোধক কারাগার- এটিই সম্বন্ধজ্ঞান।
    . . . . . . . . . . . . . .

    হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রই কলিযুগে জীবোদ্ধারের একমাত্র উপায়

    হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।
    হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।।
    ইতি ষোড়শকং নাম্নাং কলিকল্মষ-নাশনম্।
    নাতঃ পরতরোপায়ঃ সর্ববেদেষু দৃশ্যতে ।।

    অর্থাৎ, “ষোল নাম বিশিষ্ট হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র সমস্ত পাপ ও কলুষ বিদূরিত করে। দিব্য ভগবদনাম-কীর্তন ব্যতীত কলিযুগের কলুষ থেকে মুক্ত হওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই। সর্ববেদে এই সিদ্ধান্তই ঘোষিত হয়েছে।” (কলিসন্তরণ উপনিষদ)। এছাড়া, পদ্মপুরাণ, পাতালখণ্ড ৪৯/২-৩ ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ এবং উত্তরখণ্ড ৬/৫৫-৫৬ – সেখানেও এই মহামন্ত্রকেই কলিযুগে জীবোদ্ধারের একমাত্র উপায়স্বরূপ বলা হয়েছে। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে (উত্তরখণ্ড ৬/৫৬) বলা হয়েছে- “এই মহামন্ত্র হরিনাম একশত আটবার ত্রিকাল জপে সর্বপ্রকার পাপ অপহরণ হয়। এছাড়া ভবনিস্তারের আর উপায় নেই। তা-ই সর্ববেদে কথিত আছে ।”
    . . . . . . . . . . . . . .

    হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের অর্থ

    কৃষ্ণ- অর্থ সর্বাকর্ষক। নিরুক্তি অভিধানে বলা হয়েছে, ‘কৃষ’ শব্দের অর্থ আকর্ষণ করা এবং ‘ণ’ শব্দের অর্থ নাশ করা। কৃষ্ণ অর্থ যিনি বদ্ধজীবদের জড়বন্ধন নাশ করে নিজের প্রতি আকর্ষণ করেন। ‘রাম’ শব্দের অর্থ পরমানন্দদায়ক। রাধারমণ কৃষ্ণই রাম। শ্রীকৃষ্ণের মন হরণ করেন শ্রীকৃষ্ণের অন্তরঙ্গা হ্লাদিনী শক্তি শ্রীমতি রাধারাণীর আরেক নাম ‘হরা’। ‘হরা’ শব্দের সম্বোধন পদ ‘হরে’। তাই ‘হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র’- হরে, কৃষ্ণ ও রাম এই তিন নামের সমষ্টি। তাই এই মহামন্ত্র দ্বারা প্রার্থনা নির্দেশ করে- “হে হরা (রাধারাণী), হে সর্বাকর্ষক শ্রীকৃষ্ণ, হে পরমানন্দদায়ক রাধারমণ শ্রীকৃষ্ণ, দয়া করে আমাকে আপনাদের প্রেমময়ী সেবায় যুক্ত করুন।” ‘মহা’ অর্থ সর্ববৃহৎ এবং মন্ত্র শব্দের অর্থ- ‘যা মনকে জড়বন্ধন থেকে বা অজ্ঞানতা থেকে ত্রাণ করে’। [মন্ + ত্র]

    শ্রীকৃষ্ণ নাম, শ্রীকৃষ্ণ থেকেও অধিক কৃপালু

    কলিকালে নামরূপে কৃষ্ণ অবতার।
    নাম হৈতে হয়-সর্ব জগৎ নিস্তার ।। (চৈ.চ. আ. ১৭/২২)

    অর্থাৎ, এ জড়জগতে কলিহত জীবের দুর্দশা দর্শন করে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণই কলিযুগে নামরূপে অবতীর্ণ হয়েছেন। আমরা যত এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের কাছে দৈন্য ও পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করব, ততই এই নাম আমাদের কাছে তাঁর রূপ, গুণ, লীলা প্রকাশ করবেন।
    . . . . . . . . . . . . . .

    যুগধর্ম হরিনাম সংকীর্তন

    শ্রীমদ্ভাগবতে (১/১/১০) বলা হয়েছে, “কলিযুগের মানুষেরা প্রায় সকলেই অল্প আয়ু, কলহপ্রিয়, অলস, মন্দমতি, ভাগ্যহীন এবং সর্বোপরি নিরন্তর রোগাদির দ্বারা উপদ্রুত।” প্রত্যেক যুগে আত্মোপলব্ধি লাভের একটি নির্দিষ্ট পন্থা থাকে, যাকে বলা হয় যুগধর্ম। মহামন্ত্র নাম-সংকীর্তন হচ্ছে কলি যুগের যুগধর্ম । সংকীর্তন মানে সকলে মিলিত হয়ে কীর্তন অথবা কৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করার জন্য ‘সম্যক কীর্তন’।
    . . . . . . . . . . . . . .

    কলিযুগে ধর্ম হয় নাম-সংকীর্তন।

    চারিযুগে চারি ধর্ম জীবের কারণ।। (চৈ.ভা.আদি ১৪.১৩৭)
    পূর্ববর্তী যুগসমূহে, যেমন সত্যযুগে ধ্যান, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ, দ্বাপরযুগে অর্চন এবং কলিযুগে শুধুমাত্র এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র সংকীর্তনই যুগধর্ম (ভা.১২/৩/৫২)। এজন্য বৃহন্নারদীয় পুরাণে (৩৮/১২৬) বলা হয়েছে
    হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্ ।
    কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা ।।
    কলিযুগে হরিনামই যে উদ্ধার পাওয়ার একমাত্র উপায় এবং এছাড়া যে আর কোনো গতি নেই, তা সাধারণ মানুষকে বোঝানোর জন্যই হরের্নাম ও নাস্ত্যেব শব্দ দুটো তিনবার করে ব্যবহার করা হয়েছে। এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র নাম সংকীর্তন করার মাধ্যমে কৃষ্ণপ্রেম এবং বা গোলোক-বৃন্দাবন ধাম প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই সুযোগ ব্রহ্মার একদিন বা একহাজার চতুর্যুগের এই বিশেষ কলিযুগের মানুষ প্রাপ্ত হয়।
    . . . . . . . . . . . . . .

    হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র সম্বন্ধে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা

    শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং কলিযুগে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হয়ে অবতরন করে সারাবিশ্বের মানুষকে প্রতিদিন মহামন্ত্র জপ করার উপদেশ প্রদান করেছেন। প্রভু বলে, কহিলাম এই মহামন্ত্র ।
    ইহা জপ গিয়া সবে করিয়া নির্বন্ধ ।। চৈ.ভা. ২৩/৭৭ ।

    ‘নির্বন্ধ’ শব্দে বিধিমত সংখ্যানাম গ্রহণকেই বোঝায়। যেমন, জপমালার গুটি ধরে সংখ্যা সহকারে হিসাব করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মহামন্ত্র উচ্চারণ করি। সর্বক্ষণ বলতে এই মহামন্ত্র জপ-কীর্তনের ক্ষেত্রে সময়, যোগ্যতা, স্থান বা দীক্ষার কোনো বিধি নিয়ম নেই। এজন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যা নাম জপ অবশ্যই করা উচিত। প্রথম অবস্থায় ২ মালা থেকে অভ্যাস শুরু করে ধীরে ধীরে সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৪, ৮, ১৬ মালা জপ করার অভ্যাস করতে পারি। শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন, ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও প্রতিদিন আমরা ১৬ মালা জপ করতে পারি।
    . . . . . . . . . . . . . .

    উচ্চৈঃস্বরে জপে অধিক ফল লাভ

    প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন, উচ্চৈঃস্বরে জপে শতগুণ ফল লাভ হয়। শ্রীমদ্ভাগবতে (১০/৩৪/১৭) বলা হয়েছে, “হে অচ্যুত, তোমার নাম উচ্চারণকারী নিজের সাথে সাথে সেই নামধ্বনি যারা শ্রবণ করেছে, তাদেরও পবিত্র করেন।” শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন, “বর্তমান যুগে জপে মনঃসংযোগ করা খুব কঠিন। তাই যদি তুমি উচ্চৈঃস্বরে জপ করো, তবে অন্তত ‘কৃষ্ণ’ ধ্বনিটি শুনতে পাবে, তখন কৃষ্ণস্মরণ করা সহজ হবে।”
    . . . . . . . . . . . . . .

    পঞ্চতত্ত্ব গৌরভক্তের কৃপা আশীর্বাদ লাভের উপায়

    আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের শুধু নিজের চেষ্টায় আমরা হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র নিরপরাধে উচ্চারণ করতে পারি না, এজন্য পঞ্চতত্ত্বের প্রণাম ভালো মতো উচ্চারণ করা উচিত। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু, শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, শ্রীগদাধর, শ্রীবাস ঠাকুর ও অন্য ভক্তগণের আশীর্বাদে নামজপের মাধ্যমে কেউ তাৎক্ষণিকভাবে তার পারমার্থিক উন্নতি ঘটাতে পারেন।
    . . . . . . . . . . . . . .

    শ্রীকৃষ্ণ নামের শ্রেষ্ঠত্ব

    মহাদেব পার্বতীকে বলেছেন, “এক রামনামই সহস্র (এক হাজার) বিষ্ণুনামের সমতুল্য” (বৃহৎবিষ্ণু সহস্রনামস্তোত্র-৭২/৩৩৫)। আবার ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে বলা হয়েছে- “শ্রীবিষ্ণুর পবিত্র সহস্রনাম তিনবার পাঠ করলে যে ফল লাভ হয়, মাত্র একবার কৃষ্ণনাম উচ্চারণ করলেই সে ফল লাভ হয়ে থাকে।” সুতরাং, এক কৃষ্ণনাম তিন রামনামের সমান অথবা তিনসহস্র (তিন হাজার ) বিষ্ণু নামের সমান। শ্রীহরিনামচিন্তামণি গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে ‘হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র’ উচ্চারণের ফলে আমরা অনায়াসেই নিম্ন উল্লেখিত ফলগুলো লাভ করতে পারি; বিশ্বাস, পাপকর্মের ফল নাশ, কলির প্রভাব নাশ, মুক্তিলাভ, সর্বরোগের নিরাময় হয়, সমস্ত শঙ্কা ও ভয় দূর করে শান্তি নিয়ে আসে, ভূত-প্রেত দানব-পিশাচসহ গ্রহের কুপ্রভাব থেকে মুক্তি, অনর্থ নাশ ও চতুর্বর্গ লাভ, প্রারব্ধ কর্ম নাশ ও নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি ও দিব্যানন্দ লাভ। সুতরাং, আমাদের বুঝতে হবে, নিষ্ঠা ও একাগ্রচিত্তে সেবা মনোভাব নিয়ে এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র উচ্চারণ করলে এ জগতের যা দরকার তা অনায়াসেই লাভ হবে এবাং নামের কৃপায় অন্তিমে আমরা শ্রীকৃষ্ণের নিত্যধামে ফিরে যেতে পারব।
    . . . . . . . . . . . . . .

    শিব-ব্রহ্মাদি দেবগণ কর্তৃক হরিনামের আশ্রয় গ্রহণ

    এই দিব্যনামের এমনই মহিমা যে, স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা নিজে নামাচার্য হরিদাসরূপে এসে জপমালায় প্রতিদিন তিন লক্ষ নাম জপ করতেন। চৈতন্য চরিতামৃত (অন্ত্য ৩য় অধ্যায়ে) উল্লেখ আছে যে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অবতরণে শুধু ব্রহ্মাই নয়- শিব, চতুঃসন, নারদ, প্রহ্লাদ, দেবরাজ ইন্দ্র প্রমুখ মহাজনগণ সকলেই কৃষ্ণপ্রেম পাওয়ার জন্য এই পৃথিবীতে মনুষ্যরূপে জন্মগ্রহণ করে কৃষ্ণনাম কীর্তন করেছিলেন। এমনকি মায়াদেবী দুর্গা পর্যন্ত ক্রন্দন করতে করতে এই কলিযুগে হরিদাস ঠাকুরের কাছে কৃষ্ণনাম পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। তখন হরিদাস ঠাকুর দুর্গাদেবীকে ‘হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র’ জপ করার নির্দেশ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দীক্ষা দান করেন। অন্যদের কি কথা, এমনকি ব্রজেন্দ্রনন্দন শ্রীকৃষ্ণ নিজেও ভক্তভাব অঙ্গীকার করে গৌরাঙ্গরূপে এ জগতে অবতীর্ণ হয়ে নামপ্রেম-রস আস্বাদন করেছিলেন। এভাবে তাঁরা সকলকে নিষ্ঠাসহকারে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করার শিক্ষা দিয়েছেন।
    . . . . . . . . . . . . . .

    শ্রীহরিনামের মহিমা

    এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ সম্পূর্ণভাবে চিন্ময়। হরিভক্তিবিলাস (১১/১৮৬) উল্লেখ আছে, যদি কেউ সূর্যগ্রহণের সময় কোটি গাভী দান করেন, গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গমস্থলে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বাস করেন, অথবা যজ্ঞে ব্রাহ্মণদের পর্বতসমান স্বর্ণ দান করেন, তবুও তিনি হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করার এক শতাংশ ফলও অর্জন করতে পারেন না। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের শব্দবিগ্রহ ও শব্দাবতার। হরিনাম জপ শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করার সবচেয়ে সহজ সাধ্য উপায়। এটি হচ্ছে নিত্যপ্রভুর কাছে নিত্যদাসের সমস্ত দুঃখের পরিত্রাণ ও সেবা লাভের সবচেয়ে সহজ, সরল ও ঐকান্তিক প্রার্থনা। একটি শিশু যেভাবে তার মায়ের জন্য ব্যাকুল ভাবে ক্রন্দন করে ঠিক সেই ভাব নিয়ে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করলে খুব সহজে আমরা কৃষ্ণের উপস্থিতি অনুভব করতে পারব। প্রাথমিক অবস্থায় বিষয়চিন্তা আসতেই পারে, তাই নিরাশ না হয়ে অধ্যাবসায় ও নিষ্ঠার সাথে নাম গ্রহণের অভ্যাস করতে হবে। এ সম্বন্ধে শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন, - “এ হরেকৃষ্ণ জপের অর্থ হল, তৎক্ষণাৎ সাক্ষাৎ কৃষ্ণসঙ্গ লাভ করা। যদি তুমি অপরাধ শুন্য হয়ে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করতে থাক, তবে কৃষ্ণের প্রত্যক্ষ সঙ্গ লাভ করবে ।” শ্রীমদ্ভাগবতে (১২/৩/৫১) শ্রীল শুকদেব গোস্বামী পরীক্ষিত মহারাজকে বলেছেন “হে রাজন কলির সীমাহীন দোষ সত্ত্বেও এর একটি মহান গুণ দেখতে পাওয়া যায় যে, শুধু ‘হরেকৃষ্ণ’ মহামন্ত্র জপ করার মাধ্যমে মানুষ জড়বন্ধন থেকে মুক্তু হয়ে পরমধামে উন্নীত হবেন।” – হরেকৃষ্ণ
    এর পর দেখুনঃ ধর্ম কি বিজ্ঞান ছাড়া ? ভোগবাদীদের কতিপয় যুক্তি!

    আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

    প্রাসঙ্গিক বিষয়ঃ

    * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।