1) শিশু মার্ক টোয়েন
মার্ক টোয়েন একবার ট্রেনে চড়েছেন। একে তো ট্রেন এসেছিল দেরি করে, তার ওপর ট্রেনটি চলছিলও খুব ধীরগতিতে। এমন সময় কন্ডাক্টর ভাড়া চাইতে এলেন। টোয়েন তাঁর হাতে অর্ধেক ভাড়া ধরিয়ে দিলেন।
কন্ডাক্টর রাগতস্বরে বললেন, ‘অর্ধেক ভাড়া দিলেন কেন মশাই? অর্ধেক ভাড়া তো শিশুদের জন্য। আপনি কি শিশু?’
টোয়েন উত্তর করলেন, ‘না, শিশু নই। তবে তোমার ট্রেনে যখন উঠেছিলাম, তখন মনে হয় শিশুই ছিলাম।’
2) আমার রূপ আর আপনার মতো মেধা পায়
বিখ্যাত নর্তকী ইসাডোনা ডানকান একবার জর্জ বার্নার্ডশকে লিখলেন, ‘ভাবুন তো, আপনি আর আমি যদি একটা শিশুর জন্ম দিই, ব্যাপারটা কী চমৎকারই না হবে! সে পাবে আমার রূপ, আর আপনার মতো মেধা।’
বার্নাড শ’ জবাবে লিখলেন, ‘যদি আমার রূপ আর আপনার মতো মেধা পায়, তবে?’
3) ভুলবশত মৃত্যুসংবাদ ছাপা হলো
একবার ভুলবশত একটি পত্রিকায় প্রখ্যাত লেখক রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের মৃত্যুসংবাদ ছাপা হলো।
পরদিন রুডইয়ার্ড পত্রিকা অফিসে ফোন করে বললেন, ‘আপনাদের পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম, আমার মৃত্যু হয়েছে। অতএব দয়া করা আগামীকাল থেকে আপনাদের পত্রিকার গ্রাহক-তালিকা থেকে আমার নামটা বাদ দেবেন।’
4) মহাত্মা গান্ধীর পায়ের এক পাটি জুতো
একবার ট্রেনে ওঠার সময় মহাত্মা গান্ধীর পায়ের এক পাটি জুতো খুলে পড়ে গেল। ট্রেন ততক্ষণে চলতে শুরু করেছে। নেমে জুতোটা তুলে নেওয়ার উপায়ও নেই।
গান্ধী চটজলদি তাঁর আরেক পায়ের জুতোও খুলে ফেলে দিলেন।
সহযাত্রীরা অবাক হয়ে এর কারণ জানতে চাইলেন।
গান্ধী বললেন, ‘কোনো গরিব লোক হয়তো জুতোটা খুঁজে পাবে। এক পায়ের জুতো পেয়ে তো তাঁর কোনো লাভ নেই। তাই দুই পায়েরটাই দিয়ে গেলাম।’
5) আমি সত্যি সত্যিই মারা গেছি
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে একবার রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন নাটকের মহড়া চলছিল। নাটকে রঘুপতি সেজেছিলেন দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর জয়সিংহের ভূমিকায় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। একটা দৃশ্য ছিল এমন, জয়সিংহের মৃতদেহের ওপর আছড়ে পড়ে শোকবিহ্বল রঘুপতি।
দৃশ্যটার মহড়া চলছিল বারবার। দীনেন্দ্রনাথ বাবু ছিলেন কিছুটা স্থূলকায়। বারবার তাঁর ভার বহন করা কবিগুরুর জন্য কঠিন হয়ে পড়ছিল। একবার দীনেন্দ্রনাথ একটু বেকায়দায় রবিঠাকুরের ওপর আছড়ে পড়লেন। রবীন্দ্রনাথ কঁকিয়ে উঠে বললেন, ‘ওহে দিনু, মনে করিস নে আমি সত্যি সত্যিই মারা গেছি!’
6) কত টাকা লোন দরকার
স্টিভ জবস ও বিল গেটসের মধ্যে কথা হচ্ছিল।
বিল গেটস: গতকাল একটু ব্যাংকে গিয়েছিলাম।
স্টিভ জবস: কেন?
বিল গেটস: একটা লোনের ব্যাপারে কথা বলতে।
স্টিভ জবস: তাই নাকি? তা কত টাকা লোন দরকার তোমার।
বিল গেটস: আমার না। ব্যাংকের দরকার!
7) ফেসবুকের পেছনে সময় নষ্ট
১ম বন্ধু: মার্ক জাকারবার্গ কোটিপতি হতে পেরেছেন কেন জানিস?
২য় বন্ধু: কেন?
১ম বন্ধু: কারণ, তাঁর মা কখনো তাঁকে বলেননি, ‘সারা দিন খালি ফেসবুক, ফেসবুক আর ফেসবুক! তুই কিন্তু ফেসবুকের পেছনে অনেক সময় নষ্ট করছিস!’
8) মার্ক টোয়েন একবার শেভ করতে সেলুনে গেছেন
মার্ক টোয়েন একবার শেভ করতে সেলুনে গেছেন। শেভ করানোর ফাঁকে ফাঁকে নাপিতের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তিনি।
‘আপনাদের শহরে এবারই প্রথম বেড়াতে এলাম।’
‘ভালো সময়ে এসেছেন। আজ রাতে আমাদের এখানে মার্ক টোয়েন বক্তৃতা করবেন। আপনি সেখানে যাচ্ছেন তো?’
‘হুম… আশা করছি যাব।’
‘টিকিট কিনেছেন?’
‘না তো!’
‘মনে হয় আর টিকিট পাবেন না। পেলেও আপনাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।’
‘আমার ভাগ্যটাই আসলে খারাপ। ভদ্রলোক যখনই বক্তৃতা করেন, তখনই আমাকে সব সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়!’ বললেন মার্ক টোয়েন।
9) প্যান্টের ওপর একটা সই দিয়ে দিন
পাবলো পিকাসো তখন দারুণ জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী। একদিন চার্লি চ্যাপলিন গেলেন পিকাসোর সঙ্গে দেখা করতে। বললেন, ‘আপনি কি করে ছবি আঁকেন, দেখতে এলাম।’
পিকাসো সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে গেলেন তাঁর স্টুডিওর মধ্যে। সেখানে তিনি একটা ছবি আঁকতে ব্যস্ত ছিলেন। চ্যাপলিন দাঁড়িয়ে আছেন আর পিকাসো নিমগ্ন হয়ে ছবি আঁকছেন। হঠাৎ তুলি থেকে খানিকটা রং ছিটকে গিয়ে পড়ল চার্লি চ্যাপলিনের সাদা জামায়। পিকাসো আঁতকে উঠে বললেন, ‘ওহ্, আমি খুবই দুঃখিত চার্লি! দাঁড়াও, আমি এক্ষুনি স্পিরিট নিয়ে এসে রংটা মুছে দিচ্ছি।’
চ্যাপলিন একবার তাঁর জামাটার দিকে তাকান, তারপর হাসতে হাসতে বলেন, ‘কোনো দরকার নেই, তার চেয়ে আপনি বরং আমার প্যান্টের ওপর একটা সই দিয়ে দিন।’