অনুবাদ:- সংসার-দাবানল-সন্তপ্ত লোক সকলের পরিত্রাণের জন্য যিনি কারুণ্য-বারিবাহ তরলত্ব প্রাপ্ত হয়ে কৃপাবারি বর্ষণ করেন, আমি সেই কল্যাণ গুণনিধি শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম বন্দনা করি।
অনুবাদ:-সংকীর্তন, নৃত্য, গীত ও বাদ্যাদি দ্বারা শ্রীমন্মহাপ্রভুর প্রেমরসে উন্মত্ত-চিত্ত যাঁর রোমাঞ্চ, কম্প-অশ্রু-তরঙ্গ উদ্গত হয়, সেই শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম আমি বন্দনা করি।
অনুবাদ:- যিনি শ্রীবিগ্রহের বেশ-রচনা ও শ্রীমন্দির-মার্জন প্রভৃতি নানাবিধ সেবায় স্বয়ং নিযুক্ত থাকেন এবং (অনুগত) ভক্তগণকে নিযুক্ত করেন, সেই শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম আমি বন্দনা করি।
অনুবাদ:- যিনি শ্রীকৃষ্ণভক্তবৃন্দকে চর্ব্য, দূষ্য, লেহ্য ও পেয়- এ চতুর্বিধ রসসমন্বিত সুস্বাদু প্রসাদান্ন দ্বারা পরিতৃপ্ত করে (অর্থাৎ প্রসাদ-সেবন জনিত প্রপঞ্চ-নাশ ও প্রেমানন্দের উদয় করিয়ে) স্বয়ং তৃপ্তি লাভ করেন, সেই শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম আমি বন্দনা করি।
অনুবাদ:- যিনি শ্রীশ্রী রাধামাধবের অনন্ত মাধুর্যময় নাম, রূপ, গুণ ও লীলাসমূহ আস্বাদন করার নিমিত্ত সর্বদা লুব্ধচিত্ত, সেই শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম আমি বন্দনা করি।
অনুবাদ:- নিকুঞ্জবিহারী ব্রজযুবযুগলের রতিক্রিড়া সাধনের নিমিত্ত সখীগণ যে যে যুক্তির অপেক্ষা করে থাকেন, সেই সমস্ত বিষয়ে অতি নিপুণতা প্রযুক্ত যিনি তাঁদের অতিশয় প্রিয়, সেই শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম আমি বন্দনা করি।
অনুবাদ:- নিখিলশাস্ত্র যাঁকে সাক্ষাৎ শ্রীহরির অভিন্ন-বিগ্রহরূপে কীর্তন করেছেন এবং সাধুগণও যাঁকে সেইরূপেই চিন্তা করে থাকেন, কিন্তু যিনি ভগবানের একান্ত প্রেষ্ঠ, সেই (ভগবানের অচিন্ত্য-ভেদাভেদ-প্রকাশ-বিগ্রহ) শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম আমি বন্দনা করি।
অনুবাদ:- একমাত্র যাঁর কৃপাতেই ভগবদ্-অনুগ্রহ লাভ হয় এবং যিনি অপ্রসন্ন হলে জীবের আর কোথাও গতি থাকে নাম, আমি ত্রিসন্ধ্যা সেই শ্রীগুরুদেবের কীর্তিসমূহ স্তব ও ধ্যান করতে করতে তাঁর পাদপদ্ম বন্দনা করি।
অনুবাদ:-যে ব্যক্তি এ গুরুদেবাষ্টক ব্রাহ্মমুহূর্তে অতিশয় যত্নের সঙ্গে উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করেন, তিনি বস্তুসিদ্ধিকালে বৃন্দাবননাথের সাক্ষাৎ সেবাধিকার প্রাপ্ত হন।