শ্রীশ্রীযুগল-আরতি
-------------------------------
জয় জয় রাধাকৃষ্ণ যুগল-মিলন ।
আরতি করয়ে ললিতাদি সখীগণ ।।১।।
মদনমোহন রূপ ত্রিভঙ্গসুন্দর।
পিতাম্বর শিখিপুচ্ছ চূড়া-মনোহর ।।২।।
ললিতমাধব-বামে বৃষভানু-কন্যা ।
সুনীলবসনা গৌরী রূপে গুণে ধন্যা ।।৩।।
নানাবিধ অলঙ্কার করে ঝলমল ।
হরিমনোবিমোহন বদন উজ্জ্বল ।।৪।।
বিশাখাদি সখীগণ নানা রাগে গায় ।
প্রিয়নর্মসখী যত চামর ঢুলায় ।।৫।।
শ্রীরাধামাধব-পদ-সরসিজ-আশে ।
ভকতিবিনোদ সখীপদে সুখে ভাসে ।।৬।।
শ্রীশ্রীযুগল-আরতি
-------------------------------
🤔জন্মাষ্টমী কবে পালন করবেন?
শুক্রবার না শনিবার?
😍আগামী ২৪ আগষ্ট ২০১৯ রোজ শনিবার পরমেশ্বর ভগবান "শ্রীকৃষ্ণের" শুভ আবির্ভাব তিথি তথা জন্মাষ্টমী। অনেকের মনে প্রশ্ন, উপবাস শুক্রবারে থাকব না শনিবারে? আর কি প্রকার নিয়মে থাকব?
কেউ শুক্রবারে থাকবে বলছে আবার অনেকে শনিবারে ব্রত থাকবে।
শ্রীজন্মাষ্টমী ব্রতদিন নির্ণয় করতে গিয়ে শাস্ত্রে বলা হয়েছে,
❤কৃষ্ণোপাস্যাষ্টমী ভাদ্রে রোহিণ্যাঢ্যা মহাফলা।
নিশীথেহত্রাপি কিঞ্চেন্দৌজ্ঞে বাপি নবমীযুতা॥
অর্থাৎ"
❤ভাদ্রমাসে কৃষ্ণাষ্টমী উপবাস যোগ্যা।
রোহিণী নক্ষত্রযুক্তা হলে আরও অধিক ফলপ্রদা। আর নবমী তিথি সংযুক্তা হলে আরও অধিক ফলপ্রদা হয়।
. 👉অর্থাৎ নবমী তিথি যুক্ত জন্মাষ্টমী অধিক শ্রেষ্ঠ।অন্যদিকে পূর্বতিথি সপ্তমী যা বিদ্ধা জন্মাষ্টমী বলে সর্বদা ত্যজ্য।
. ❤পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে,,
পঞ্চগব্যং যথা শুদ্ধং ন গ্রাহ্যং মদ্যসঙযুক্তম্।
রবিবিদ্ধা তথা ত্যজ্যা রোহিণী সহি
👉অনুবাদঃ যদিও পঞ্চগব্য পবিত্র, কিন্তু এতে মদ মিশলে আর তা গ্রহণযোগ্য থাকেনা, তেমনিভাবে রোহিণী নক্ষত্র সংযুক্তা হলেও সপ্তমীবিদ্ধা অষ্টমী গ্রহণযোগ্য নয়।
. ❤তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে শুক্রবার সপ্তমী তিথি বিদ্ধা থাকার দরুন ঐ দিন ব্রত না করে শনিবারে ব্রত পালনীয়।
একই কারণে এই বছর ২৩ আগষ্ট শুক্রবারে অষ্টমী তিথির সঙ্গে সপ্তমী তিথি সংযুক্ত থাকায় তা প্রকৃত অর্থে জন্মাষ্টমী পালনীয় নয়। এজন্য ২৪ আগষ্ট #শনিবার জন্মাষ্টমী সকলের পালন করা কর্তব্য। (সংগৃহীত)
শ্রীশ্রীনাম-সংকীর্তন
(হরি) হরয়ে নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ ।
যাদবায় মাধবায় কেশবায় নমঃ ।।
গোপাল গোবিন্দ রাম শ্রীমধুসূদন ।
গিরিধারী গোপীনাথ মদনমোহন ।।
শ্রীচৈতন্য নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত সীতা ।
হরি, গুরু, বৈষ্ণব, ভাগবত, গীতা ।।
শ্রীরূপ, শ্রীসনাতন, ভট্ট-রঘুনাথ ।
শ্রীজীব, গোপালভট্ট, দাস-রঘুনাথ ।।
এই ছয় গোসাঞির করি চরণ বন্দন ।
যাহা হৈতে বিঘ্ননাশ অভীষ্ট পুরণ ।।
এই ছয় গোসাঞি যাঁর, মুঞি তাঁর দাস ।
তাঁ’সবার পদরেণু-মোর পঞ্চগ্রাস ।।
তাঁদের-চরণ-সেবি ভক্তসনে বাস ।
জনমে জনমে হয় এই অভিলাষ ।।
এই ছয় গোসাঞি যবে ব্রজে কৈলা বাস ।
রাধাকৃষ্ণ নিত্য লিলা করিলা প্রকাশ ।।
আনন্দে বল হরি, ভজ বৃন্দাবন ।
শ্রীগুরুবৈষ্ণব পদে মজাইয়া মন ।।
শ্রীগুরু-বৈষ্ণব-পাদপদ্ম করি আশ ।
নাম-সংকির্তন কহে নরোত্তম দাস ।।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর উপদেশ
----------------------------------
“কলিযুগ-ধর্ম হয় নাম-সঙ্কীর্তন ।
চারিযুগে চারি ধর্ম-জীবের কারণ ।।
অতএব কলিযুগে নামযজ্ঞ সার ।
আর কোন ধর্ম কৈলে নাহি হয় পার ।।
রাত্রিদিন নাম লয় খাইতে শুইতে ।
তাঁহার মহিমা বেদে নাহি পারে দিতে ।।
শুন, মিশ্র, কলিযুগে নাহি তপ-যজ্ঞ ।
যেই জন ভজে কৃষ্ণ, তাঁ’র মহাভাগ্য ।।
অতএব গৃহে তুমি কৃষ্ণভজ গিয়া ।
কুটিনাটি পরিহরি’ একান্ত হইয়া ।।
সাধ্য-সাধন-তত্ত্ব যে-কিছু সকল ।
হরিনাম-সংকীর্তনে মিলিবে সকল ।।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।।
এই শ্লোক নাম বলি’ লয় মহামন্ত্র ।
ষোল নাম বত্রিশ-অক্ষর এই তন্ত্র ।।
সাধিতে সাধিতে যবে প্রেমাঙ্কুর হবে ।
সাধ্যসাধন-তত্ত্ব জানিবা সে তবে ।।”
(চৈঃ ভাঃ আঃ ১৪ অধ্যায়)