For Ad বিজ্ঞাপনের জন্য



*
Add_6
  • আবহমানকালের সুনির্বাচিত বাণী

  • অনাবৃষ্টে রাজ্য মজে, পাপে মজে ধর্ম।
    কোটালে গৃহস্থ মজে, আলস্যে মজে কর্ম।
  • অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর,
    অতি বড় সুন্দরী না পায় বর।
  • অজ্ঞানে করে পাপ, জ্ঞান হলে সরে,
    সজ্ঞানে করে পাপ, কভু না সে ফেরে।
  • কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ,
    পাকলে করে টাশ টাশ।
  • অগ্নি ব্যাধি ঋণ,
    তিনের রেখো না চিন।
    (আগুন নিভিয়ে ফেলা, রোগ সারিয়ে ফেলা ও ঋণ শোধ করে ফেলা কর্তব্য। )
  • অতি চালাকের গলায় গড়ি
    অতি বোকার পায়ে বেড়ি।
  • অজ্ঞানের কালে জানে না,
    অমানুষের কালে মানে না।
    (শিশু বুঝতে পারে না বলেই দোষ করে, কিন্তু মনুষ্যত্বহীন লোক দোষকে দোষ বলে জেনেও তা গ্রাহ্য করে না।)
  • অতি প্রণয় যেখানে;
    নিত্য যাবে না সেখানে;
    যদি যাবে নিত্য
    ঘটবে একটা কীর্তি।
  • অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙে যাবে।
    অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়ে খাবে।
  • অনেক কালের ছিল পাপ,
    ছেলে হল সতীনের বাপ।
  • অল্প দেখে দেবে ঘি,
    পাত্র দেখে দেবে ঝি।
  • অন্ন নাই যার ঘরে,
    তার মানে কিবা করে।
  • অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা !
  • অবাক কল্লে না নাকের নথে,
    কাজ কি আমার কানবালাতে।
  • অবোধারে মারে বোধায়,
    বোধারে মারে খোদায়।
  • অভাগা চোর যে বাড়ি যায়।
    হয় কুকুর ডাকে- নয় রাত পোহায়।
  • অভাগার ঘোড়া মরে।
    ভাগ্যবানের স্ত্রী মরে।
  • অভাগিনীর দুটো পুত,
    একটা কানা, একটা ভূত।
  • অরাধুনির হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে,
    না জানি রাঁধুনি মোর কেমন করে রাধে।
  • অলক্ষ্মীর নিদ্রা বেশি, কাঙালের ক্ষুধা বেশি।
  • অল্প বৃষ্টিতে কাদা হয়,
    বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয়।
  • অশ্বথের ছায়াই ছায়া,
    মায়ের মায়াই মায়া।
  • আগে আপন সামাল কর,
    শেষে পরকে গিয়ে ধর।
  • আগে না বুঝলে বাছা যৌবনের ভরে,
    পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে।
  • আগে ভাল ছিল জেলে জাল দড়া বুনে,
    কী কাজ করিল জেলে এঁড়ে গরু কিনে।
  • অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।
  • অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
  • আন সতীনে নাড়ে চড়ে,
    বোন সতীনে পুড়িয়ে মারে।
    (বোন যদি সতীন হয় তা হলে যন্ত্রণার শেষ থাকে না।
  • )
  • নিম তিত, নিশিন্দে তিত, তিত মাকাল ফল,
    তার চেয়ে তিত কন্যে বোন সতীনের ঘর।
  • আপন কোটে পাই, চিড়ে কুটে খাই।
    (হাতের নাগালে পেলে শাস্তি দেওয়া সহজ।
  • )
  • আপনার চেয়ে পর ভাল,
    পরের চেয়ে জঙ্গল ভাল।
  • আপন বুদ্ধিতে ফকির হই,
    পর বুদ্ধিতে বাদশা নই।
  • আপন বেলা চাপন চোপন,
    পরের বেলা ঝুরঝুরে মাপন।
  • আপনার মান আপনি রাখ,
    কাটা কান চুল দিয়ে ঢাক।
  • আপনার হাত জগন্নাথ,
    পরের হাত এঁটো পাত।
  • আপনার ছেলেটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন ঠাকুরটি,
    পরের ছেলেটা খায় এতটা, বেড়ায় যেন বাঁদরটি।
  • আপন ধন পরকে দিয়ে,
    দৈবকী মরে মাথায় হাত দিয়ে।
  • আম শুকোলে আমসি,
    বয়স গেলে কাঁদতে বসি।
  • আমি করি ভাই ভাই,
    দাদার কিন্তু মনে নাই।
  • আমি কি নাচতে জানিনে,
    মাজার ব্যথায় পারিনে।
  • আশার চেয়ে নিরাশা ভাল,
    হয়ে গেল তো, হয়ে গেল।
  • ইঁদুর গর্ত খুঁড়ে মরে,
    সাপ এসে দখল করে।
  • বাহিরে কোচার পত্তন,
    ভিতরে ছুঁচোর কেত্তন।
  • উই, ইঁদুর, কুজন, ডাল ভাঙে তিনজন,
    সুচ, সোহাগা, সুজন, ভাল করে তিনজন।
  • উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট,
    উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট।
  • উপোস করলে যাবে দিন,
    ধার করলে হবে ঋণ।
  • এঁটে ধরলে চিচি করে,
    ছেড়ে দিলে লম্ফ মারে।
  • এক কলসি জল তুলে কাকালে দিলে হাত,
    এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত।
  • এক কাটে ভারে, আর কাটে ধারে।
  • এক কান কাটা শহরের বার দে যায়,
    দু’কান কাটা গায়ের ভিতর দে যায়।
  • এককাল ঠেকেছে, তিনকাল গিয়ে,
    তবু আবার করবে বিয়ে।
  • এক গাঁয়ের কুকুর, আর গাঁয়ের ঠাকুর।
  • একচোখো মাসি, কারে ভালোবাসি।
  • এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা।
  • এক টানেতে মাছ বেঁধে না, সে-ই বা কেমন বড়শি
    এক ডাকেতে সাড়া দেয় না, সে-ই বা কেমন পড়শি।
  • এক পয়সা নাই থলিতে
    লাফিয়ে বেড়ায় গলিতে।
  • এক পাগলে রক্ষা নেই, সাত পাগলের মেলা।
  • এক পুতের আশ, নদীর কুলে বাস;
    ভাবনা বারো মাস।
  • এক লাউ-এর বিচি
  • কেউবা বলে কচর কচর, কেউবা বলে কচি।
  • এক হেঁসেলে তিন রাধুনি,
    পুড়ে মরে তার ফেন গালুনি।
  • এ কী বিধির লীলাখেলা,
    কাকের গলায় তুলসীর মালা।
  • একে তো হনুমান,
    তায় আবার রামের বাণ।
  • একে গুন্ গুন্ দুয়ে পাঠ,
    তিনে গোলমাল, চারে হাট।
  • এত যদি সুখ কপালে,
    তবে কেন তোর কাঁথা বগলে?
  • ঔষধার্থে সুরাপান
    পান না বাড়ালেই থাকে মান।
  • কইতে কইতে মুখ বাড়ে,
    খাইতে খাইতে পেট বাড়ে।
  • পয়সা দিয়ে কিনব দই,
    গোয়ালিনী মোর কিসের সই?
  • কড়ি লবে গুনে, পথ চলবে জেনে।
  • কতই-বা দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার।
  • কুপুত্র যদ্যাপি, কু-মাতা কখনো নয়।
  • কৃপণের ধন বর্বরে খায়,
    কৃপণ করে হায় হায়।
  • কোনো কালে নাইক গাই,
    চালুনি নিয়ে দুইতে যাই।
  • ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পুণ্য নাই।
  • খাওয়াবে রাজভোগ,
    দেখাবে বাঘের চোখ।
  • খাবার আছে চাবার নেই,
    নেবার আছে দেবার নেই।
  • খাবার বেলায় মস্ত,
    উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা।
  • খায়দায় পাখিটি, বনের দিকে আঁখিটি।
  • খায় না খায় সকালে নায়
    হয় না হয় দুবার যায়
    তার কড়ি কি বৈদ্যে খায়?
  • খেতে পায় না পচা পুঁটি হাতে পরে হীরের আংটি।
  • খোঁয়াড়ে পড়লে হাতি
    চামচিকেতেও মারে লাথি।
  • গঙ্গার জল গঙ্গায় বইল,
    পিতৃ পুরুষ উদ্ধার হল।
  • গব্য থাকলে আগে পাছে,
    কী করবে তার শাকে মাছে।
  • গরু, জরু (স্ত্রী), ধান রাখ বিদ্যমান।
  • গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন।
  • গাঙ্গে গাঙ্গে দেখা হয়, বোনে বোনে দেখা নয়।
  • গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ-সাত,
    যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত।
  • গাছে ওঠে পড়তে, জামিন হয় মরতে।
  • গাজনের নেই ঠিক-ঠিকানা,
    ডেকে বলে ঢাক বাজানা।
  • গাধা সকল বইতে পারে,
    ভাতের কাঠি বইতে নারে।
  • গিন্নির ওপর গিন্নিপনা
    ভাঙা পিড়েয় আলপনা।
  • গুটিপোকা গুট করে, নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে।
  • গৃহ স্থির আগে করে,
    গৃহিণী স্থির তার পরে।
  • গোঁফ নেইকো কোনো কালে,
    দাড়ি রেখেছেন তোবড়া গালে।
  • ঘটির তলায় দিয়ে আঠা,
    যোগেযাগে কাল কাটা।
  • ঘন দুধের ফোঁটা, বড় মাছের কাঁটা।
  • মাছের মা; আর শাকের ছা।
  • ঘরজামায়ের পোড়া মুখ
    মরা-বাঁচা সমান সুখ।
  • ঘরদোর নেই যার, আগুনে কী ভয় তার?
  • ঘরে নেই ভাত, কেঁচা তিন হাত।
  • ঘরে থাকতে নানা বিধি,
    খেতে দেয় না দারুণ নিধি।
  • গরে নেই ঘটিবাটি, কোমরে মেলাই চাবিকাঠি।
  • ঘরে বসিয়ে মাইনে দেয়
    এমন মনিব কোথায় পায়।
  • ঘরে বাইরে এক মন, তবে হয় কৃষ্ণ ভজন।
  • ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাতা,
    তবু যায় না জাতের তিতা।
  • ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে; তোমার একদিন আছে শেষে।
  • চক্ষে দেখলে শুনতে চায়,
    এমন বোকা আছে কোথায়?
  • চন্দ্র-সূর্য অস্ত গেল, জোনাকি ধরে বাতি।
    মুঘল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি।
  • চুরি বিদ্যে বড় বিদ্যে, যদি না পড়ে ধরা,
    যদি পড়ে ধরা, তবে হাতে-পায়ে কড়া।
  • চোর ছ্যাঁচড় চোপায় দড়,
    আগে দৌড়ায় ঠাকুর ঘর।
  • চোর-ডাকাতের ভয়, পেটে পুরলে রয়।
  • ছাগলে বলে আলুনি খেলাম
    গেরস্ত বলে পরানে মলাম।
  • ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনি, পুড়ে পুড়ে রাঁধুনি।
  • ছুঁচোয় যদি আতর মাখে,
    তবু কি তার গন্ধ ঢাকে?
  • ছুঁচোর গোলাম চামচিকে,
    তার মাইনে চৌদ্দ সিকে।
  • ছোট কাঁটাটি ফুটে পায়,
    তুলে ফেল নইলে দায়।
  • ছোট শরাটি ভেঙে গেছে, বড় শরাটি আছে,
    নাচ কোদ কেন বউ আমার হাতের আন্দাজ আছে।
  • জম, জামাই, ভাগনা–তিন নয় আপনা।
  • জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে– তিন বিধাতা নিয়ে।
  • জপ তপ কর কি, মরতে জানলে ডর কী?
  • জল জল বৃষ্টির জল, বল বল বাহুর বল।
  • জলের শক্র পানা, আর মানুষের শত্রু কামনা।
  • জামায়ের জন্য মারে হংস,
    গুষ্টিসুদ্ধ খায় মাংস।
  • জিব পুড়ল আপন দোষে
    কী করবে মোর হরিহর দাসে।
  • জোছনাতে ফটিক ফোটে,
    চোরের মায়ের বুক ফাটে।
  • জ্বালা দিতে নেই ঠাঁই,
    জ্বালা দেয় সতীনের ভাই।
  • ঝাঁটা দিয়ে বিষ (ভূত) ঝাড়ানো;
    ঝিকে মেরে বউকে শেখানো।
  • ঝি জব্দ কিলে, বউ জব্দ শিলে,
    পাড়া-পড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে।
  • ঝোলে ঝালে অম্বলে
    বেগুন সব ঠাঁই চলে।
  • টকের জ্বালায় দেশ ছাড়লাম,
    তেঁতুল তলায় বাসা বাঁধলাম।
  • টাকা তুমি যাচ্ছ কোথা? পিরিতি যথা,
    আসিবে কবে? বিচ্ছেদ যবে।
  • ঠাকুরকে দেখিয়ে কলা,
    নৈবিদ্যি নে’ ছুটে পালা।
  • ঠেটা লোকের মুখে আট,
    বাইরে থেকে কাটে গাঁট।
  • ডাকলে ডাক, বসলে ক্রোশ,
    পথ বলে মোর কিসের দোষ?
  • ডুব দিয়ে খাই পানি,
    আল্লাহ জানে আর আমি জানি।
  • ঢেঁকিশালে যদি মানিক পাই
    তবে কেন পর্বতে যাই।
  • তাঁতি রাগে কাপড় ছেড়ে
    আপনার ক্ষতি আপনি করে।
  • তাল, তেঁতুল, মাদার,
    তিনে দেখায় আঁধার।
  • তাল বাড়ে ঝোপে,
    আর খেজুর বাড়ে কোপে।
  • তিন মাথা যার, বুদ্ধি নেবে তার।
  • তুফানে যে হাল ধরে না, সেই বা কেমন নেয়ে,
    কথা পাড়লে বুঝতে পারে না, সে-ই কেমন মেয়ে।
  • মূলে নেই লক্ষ্মীপূজা একেবারে দশভুজা।
  • তেলা মাথায় ঢাল তেল,
    রুক্ষ মাথায় ভাঙ বেল।
  • তোমারে বধিবে যে,
    গোকুলে বাড়িছে সে।
  • তোর পায় গড় না,
    তোর কাজের পায়ে গড়।
  • তোর শিল, তোর নোড়া
    তোরই ভাঙ্গব দাঁতের গোড়া।
  • থাকরে কুকুর আমার পাশে,
    ভাত দেব সেই পৌষ মাসে।
  • দক্ষিণদ্বারী ঘরের রাজা, পূর্ব দ্বারী তার প্রজা,
    পশ্চিমদ্বারীর মুখে ছাই, উত্তরদ্বারীর খাজনা নাই।
  • দয়া আছে মায়া আছে গলা ধরে কাঁদি,
    আধ পয়সার আটটি কলা পরান গেলে না দি।
  • দয়া করে দেয় নুন, ভাত মারে তিনগুণ।
  • দল ভাঙলে যে, কৈ খাবে সে।
  • দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।
  • দশে যারে বলে ছি, তারে বাঁচায় কাজ কী?
  • দশের মুখে জয়, দশের মুখে ক্ষয়।
  • দাড়িকে মাঝি করা, মরা গাঙ্গে ডুবে মরা।
  • দাওয়া মারা যতদিন, বাপ খুড়ো ততদিন।
  • দায়ে বালি, কুড়লে খিল,
    ভাল মানুষকে ভাল কথা, বজ্জাতকে কিল।
  • দিন গেল আলে ডালে,
    রাত হলে বৌ চেরাগ জ্বালে ।
  • দিনে বাতি যার ঘরে, তার ভিটায় ঘুঘু চরে।
  • দিল্লিকা লাডডু, যো খায়া সো পস্তায়া,
    যো নেহি খায়া সো ভি পস্তায়া।
  • দুই সতীনের ঘরকন্না,
    ঘরের গিন্নি ভাত পান না।
  • দুই স্ত্রী যার, বড় দুঃখ তার।
  • দুধ কলা দাও যত,
    সাপের বিষ বাড়ে তত।
  • ধর্ম হয় না করলেই উপাস,
    কোদাল পাড়লেই হয় না চাষ।
  • ধর্মের কল বাতাসে (আপনি) নড়ে
    পাপ করলে ধরা পড়ে।
  • ধীরে রাধে ধীরে খায়, তবে খাওয়ার মজা পায়।
  • নখে কাটে কচি কালে, ঝুনো হলে দাঁত না চলে।
  • নদী, নারী, শৃঙ্গধারী–এ তিনে না বিশ্বাস করি।
  • না দেওয়ার চাল, আজ না কাল।
  • না দেখে চলে যায়, পায় পায় হোঁচট খায়।
  • না বুঝে ছিলাম ভালো, অর্ধেক বুঝে পরান গেল।
  • নামে ডাকে গুরুমশাই,
    লেজা মুডোর জ্ঞান নাই।
  • নারীর বল, চোখের জল।
  • নিতে পারি, খেতে পারি, দিতে পারি নে,
    বলতে পারি, কইতে পারি, সইতে পারি নে।
  • নিত্য চাষার ঝি,
    বেগুন ক্ষেত দেখে বলে, এ আবার কী?
  • নীরোগ শরীর যার, বৈদ্যে করবে কী।
  • পরের ভাতে বেগুন পোড়া, পান্তাভাতে ঘি।
  • নেকা, বোকা, ঢিলে (ঢলঢল) কাছা,
    তিনে প্রত্যয় না করো বাছা।
  • নেবার বেলা পরিপাটি, দেবার বেলা ফাটাফাটি।
  • লেবু কচলাবে যত, তেতো হবে তত।
  • নেভবার আগে ক্ষণেক তরে,
    দীপ জ্বলে ধপ করে।
  • পড়ল কথা সভার মাঝে,
    যার কথা তার গায়ে বাজে।
  • পড়েছি মোগলের হাতে,
    খানা খেতে হবে সাথে।
  • পতির পায়ে থাকে মতি,
    তবে তারে বলে সতী।
  • পরে তসর- খায় ঘি, তার আবার ভাবনা কী?
  • পরের কথায় লাথি চাপড়,
    নিজের কথায় ভাত কাপড়।
  • পরের ঘরে খায় আয়,
    আঠারো মাসে বছর যায়।
  • পরের জন্য গর্ত খোড়ে, আপনি তাতে পড়ে মরে।
  • পরের জন্য ফাঁদ পাতে,
    আপনি পড়ে মরে তাতে।
  • পরের দুধে দিয়ে ফুঁ, পুড়িয়ে এলেন আপন মু’।
  • পরের দেখে তোলে হাই, যা আছে তাও নাই।
  • পরের ধনে পোদ্দারি, লোকে বলে লক্ষ্মীশ্বরী।
  • পরের পিঠে, বড় মিঠে।
  • পরের মাথায় দিয়ে হাত, কিরা করে নির্ঘাত।
  • পরের লেজে পড়লে পা তুলোপানা ঠেকে,
    নিজের লেজে পড়লে পা কেঁক করে ডাকে।
  • পরের সোনা দিও না কানে,
    কেড়ে নেবে হ্যাঁচকা টানে।
  • পরের হাতে ধন, পেতে কতক্ষণ।
  • পথ পাগলের ঘর,
    খোদায় রক্ষা কর।
  • পাগল কি গাছে ফলে,
    আক্কেলেতে পাগল বলে।
  • মার আর ধর আমি পিঠে বেঁধেছি কুলো।
  • বকো আর ঝকো, আমি কানে দিয়েছি তুলো।
  • পিসি বল, মাসি বল, মার বড় নাই,
    পিঠে বল, মিঠে বল, ভাতের বড় নাই।
  • পুঁটি মাছের প্রাণ, দেখতে দেখতে যান।
  • পুতুল যেমন পুতুল কাঁচে,
    যেমন নাচায় তেমনি নাচে।
  • পুরান বসন ভাতি, অবলাজনের জাতি।
  • পুরুষের দশ দশা, কখনো হাতি কখনো মশা।
  • পূর্বে হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ,
    উত্তরে কলা, দক্ষিণে মেলা।
  • পেট জ্বলে ভাতের তরে,
    সোনার আংটি হাতে পরে।
  • পোড়া কপালে সুখ নাই,
    বিয়ে বাড়িতে ভাত নাই।
  • ফকিরে ফকিরে ভাই ভাই,
    ফকিরের রাজত্ব সব ঠাঁই।
  • ফাল্গুনে আগুন, চৈতে মাটি,
    বাঁশ রেখে বাঁশের ঠাকুরদাকে কাটি।
  • ফুটনির মামা, ভিতরে কপিল উপরে জামা।
  • ফুরাল বাগানের আম, কী খাবিরে হনুমান।
  • বউ-এর রাগ বিড়ালের উপর,
    বিড়ালের রাগ বেড়ার উপর।
  • বউ ভাঙলে সরা, গেল পাড়া পাড়া,
    গিন্নি ভাঙলে নাদা, ও কিছু নয় দাদা।
  • ফেন দিয়ে ভাত খায়; গল্পে মারে দই,
    মেটে হুঁকোয় তামাক খায় গুড়গুড়িটা কই?
  • বড়র পিরিতি বালির বাঁধ,
    ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেকে চাঁদ।
  • বন পোড়ে সবাই দেখে, মন পোড়ে কেউ না দেখে।
  • বল বুদ্ধি ভরসা, তিন তিরিশে ফরসা।
  • বসতে জায়গা পেলে, শোবার জায়গা মেলে।
  • করে খেলে ফুরোয় না,
    বসে খেলে রাজার ভান্ডারও কুলোয় না ।
  • বাইরে হাসিখুশি ভেতরে গরল বাঁশি।
  • বাঘ ভালুকের রাজ্যে থাকি,
    মনের কথা মনেই রাখি।
  • বাঘে মহিষে যুদ্ধ হয়, নল খাগড়ার প্রাণ যায়।
  • বাছার আমার এত বাড়,
    ছ’ আনার কাপড়ে ন’ আনার পাড়।
  •  
  • বড় গাছের তলায় বাস,
    ডাল ভাঙলেই সর্বনাশ।
  • বাড়িতে পায় না শাক সজিনা,
    ডাক দিয়ে বলে ঘি আন না।
  • বাপকা বেটা সেপাইকা ঘোড়া,
    কুচ নেহি তো থোড়া থোড়া।
  • বাপের জন্মে নেই কো চাষ,
    ধানকে বলে দূর্বাঘাস।
  • বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান,
    এইবার ঘুঘু তোমার বধিব পরান।
  • বারো রাজপুত্রের তেরো হাঁড়ি,
    কেউ খায় না কারো বাড়ি।
  • বিধি যদি বিপরীত, কেবা করে কার হিত।
  • বিধির লিখন, না যায় খণ্ডন।
  • বিপদে শিবের গোঁড়া, সম্পদে শিবত নোড়া।
  • বিয়ে ফুরোলে বাজনা, কিস্তি ফুরোলে খাজনা।
  • বুঝতে নারি সেকরার ঠার, বলে এক করে আর।
  • বুদ্ধিগুণে হা-ভাত, বুদ্ধিগুণে খা ভাত।
  • বুনলাম ধান হল তিল,
    ফলল রুদ্রাক্ষ খেলাম কিল।
  • বেদে কি জানে কর্পূরের গুণ,
    শুঁকে শুঁকে বলে সৈন্ধব নুন।
  • বেহায়ার নাহি লাজ, নাহি অপমান,
    সুজনকে এক কথা মরণ সমান।
  • বৈষ্ণব হইতে মোর ছিল বড় সাধ,
    তৃণাদপি শ্লোকেতে পড়ে গেল বাদ।
  • ভক্তিহীন ভজন, আর লবণহীন ব্যঞ্জন।
  • ভগবানের মার দুনিয়ার বার।
  • ভাঁড়ে নেই ঘি, ঠকঠকালে হবে কী?
  • ভাগাড়ে মড়া পড়ে, শকুনের টনক নড়ে।
  • ভাগের ভাগ পেলে, না খেয়েও চিবিয়ে ফেলে।
  • ভাগ্যবানের দুটি পুত,
    একটি বাঁদর, একটি ভূত।
  • ভাঙা ঘরে জোছনার আলো, যেদিন যায় সেদিন ভালো।
  • ভাত পায় না কুঁড়ের নাগর,
    আমানি খেয়ে পেটটা ডাগর।
  • ভাত রোচে না রোচে মোয়া
    মণ্ডা রোচে পোয়া পোয়া।
  • ভাবে ডগমগ তেলাকুচো, হেসে মল কালো ছুঁচো।
  • ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ গেল শল্য হল রথী,
    চন্দ্র, সূর্য, অস্ত গেল জোনাকির পাছায় বাতি।
  • মন চায় বাদশা হতে, খোদা দেয় না মেগে খেতে।
  • মনটি শখের বটে, হাতে কিন্তু পয়সা নাই।
  • জোনাকি পোকার আলো দেখে গ্যাসবাতির শখ মিটাই।
  • মরা মালঞ্চে ফুটল ফুল,
    টেকো মাথায় উঠল চুল।
  • মা পায় না কাঁথা সেলাই করবার সুতা,
    ব্যাটার পায়ে দ্যাখো চৌদ্দ সিকের জুতা।
  • মায়ের গলায় দিয়ে দড়ি,
    বউকে পরাই ঢাকাই শাড়ি।
  • মায়ের পোড়ে না, মাসির পোড়ে,
    পাড়া-পড়শির ধবলা ওড়ে।
  • মূর্খ লোকে কেনে বই- জ্ঞানবানে পড়ে,
    ধনবানে কেনে ঘোড়া, বুদ্ধিমানে চড়ে।
  • মেগে এনে বিলিয়ে খায়, হাতে হাতে স্বর্গ পায়।
  • যখন যার কপাল খোলে,
    শুকনো ডাঙায় ডিঙি চলে।
  • সকল পথ দৌড়াদৌড়ি, খেয়া ঘাটে গড়াগড়ি।
  • যদি থাকে আগে পিছে, কী করে শাকে মাছে।
  • যদি হয় সুজন, তেঁতুল পাতায় ন’জন।
  • যদু ধোপা, মধু ধোপা, সব ধোপারই এক চোপা।
  • যার দৌলতে চুয়া চন্দন,
    তারি পাতে খোলার ব্যঞ্জন।
  • যার নুন খাই তার গুণ গাই।
  • যারে না বামুন বলি, তার গায় নামাবলী।
  • যেখানে আঁটাআঁটি
    সেখানেই লাঠালাঠি।
  • যেমন সরা তেমনি হাঁড়ি, গড়ে রেখেছে কুমার বাড়ি।
  • রাজার রাজ্যপাট, গরিবের শাকভাত।
  • লাউ শাকের বালি আর অন্তরের কালি।
  • লাভ-লোকসান জেনে,
    চাষ করে না বেনে।
  • লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে,
    মৎস্য মারিব খাইব সুখে।
  • সজনে শাক বলে আমি সকল শাকের হেলা,
    আমার খোঁজ করে কেবল টানাটানির বেলা।
  • শঠের মায়া, তালের ছায়া।
  • শসা বেচুনি বেচে শসা, তার হয়েছে সুখের দশা।
  • শাক অম্বল পান্তা–তিন ওষুধের হন্তা।
  • শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়ে, সেই বাঘে মানুষ মারে।
  • সখা যার সুদর্শন, তার সঙ্গে কি সাজে রণ?
  • সঙ্গ দোষে কী না হয়,
    ছুঁচো ছুঁলে গন্ধ হয়।
  • সতী হল কবে?
    সে মরেছে যবে।
  • সব কাজে যার হুঁশ, তারেই কয় মানুষ।
  • সন্নাসীর অল্প ছিদ্র গায় সর্বজন,
    শুভ্রবস্ত্রে মসীবিন্দু দেখায় যেমন।
  • সময়ে সব হয়, বোন ভাগনা ভাই,
    ঘরের স্ত্রী আপন নয়, যখন গাঁটে পয়সা নাই।
  • সাত ভাই তাঁত বোনে, আপন কোলে সবাই টানে।
  • সাত সতীনে নড়ি চড়ি, বেরা আগুনে পুড়ে মরি।
  • সারাদিন থাকব নায়, কখন দিব খরম পায়?
  • সারাদিন বড়শি হাতে, সন্ধেবেলা আমড়া ভাতে।
  • সারাদিন যায় হেসে খেলে,
    সন্ধেবেলা বৌ কপাল ডলে।
  • সুজন-পিরিত সোনা, ভেঙে গড়া যায়।
    কুজন-পিরিত কাঁচ, ভাঙিলে ফুরায়।
  • সুদিনে বারো ভাই, দুর্দিনে কেউ নাই।
  • সেই মন খসালি, তবে কেন লোক হাসালি।
  • স্বামী নাই, পুত্র নাই, কপাল ভরা সিঁদুর
    চাল নাই, ধান নাই, গোলা ভরা ইঁদুর।
  • স্বামীর মা শাশুড়ি, তারে বড় মানি
    কোথা হতে এলেন আমার খুড় শাশ ঠাকুরানি।
  • হাতি চড়ে ভিক্ষা মাঙ্গি,
    ইচ্ছেয় না দাও ঘর ভাঙ্গি।
  • হাতে কড়ি পায় বল, তবে যাই নীলাচল।
  • হাল যদি ধরে ঠেসে, যায় কি তরী তুফানে ভেসে?
  • হেলায় কার্য নষ্ট, বুদ্ধি নষ্ট নির্ধনে।
  • হরি বাঁচান প্রাণ, বৈদ্যের বাড়ে মান।
  • পূর্ববর্তী / পরবর্তী বাণী

    * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।