এম.এ.(ট্রিপল), সপ্ততীর্থ, বি.সি.এস (শিক্ষা) প্রাক্তন সহযোগী অধ্যাপক (দর্শন) বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ । প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ সেবাশ্রম। -এর স্বহস্তে লিখিত গ্রন্থ
মৃত্যু হতে অমৃতলোকে
For Ad Contact 0183 45 45 989
যাত্রা করার নিয়ম
৪। কোন স্থানে শীঘ্র গমন করতে হলে, শত্রুর সাথে বিবাদের জন্য যেতে হলে অথবা হানির কারণ উপস্থিত হলে তখন তাকে নাকে শ্বাস বহন হলে সেই দিকের অঙ্গে হাত স্পর্শ করবে
এবং বামশ্বাস বহন হলে ৪ বার এবং দক্ষিণ নাকে শ্বাস বহনকালে ৫ বার মাটিতে পদক্ষেপ করে বহির্গত হবে এরূপ গমনই শ্রেয়। এতে হানি বা কলহ কিছুই হবে না। এমনকি একটা
কণ্টকও ফুটিবে না। সকল প্রকার বিপদ বিহীন হয়ে গৃহে প্রত্যাগত হবে।
হাত মুখ ধোয়ার নিয়ম
প্রাতে হাত-মুখ ধোয়ার সময় প্রথমে মুখ পূর্ণ করে জল নিয়ে ২৫ বার চোখে জলের ঝাপটা দিবে, ৪/৬ বার জল দিয়েই ১ বার করে জলের দ্বারা
কপাল ধুতে হয়। পরে মুখের জল ফেলে দাঁত মাজতে হয় ও যত ইচ্ছা চোখ মুখ ধৌত করা যায়। কিন্তু প্রথমতঃ মুখে জল রেখে চোখে জল দিতে হবে।
দুবেলা আহারের পর অথবা যে কোন সময় মুখ ধৌত করা হয়, প্রথমে মুখভরা জল নিয়ে ৮/৯ বার জলের ঝাপটা চোখে দিবে ও কপাল ধুবে। এরূপ নিয়মে চোখ ঠান্ডা থাকে, চোখে
অসুখ হয় না, মাথা ধরার উপকার হয়, চশমা লাগে না। তবে প্রত্যেকরই ধাতু নির্গত জিভছোলা ব্যবহার করলে শ্লেষ্মার দোষ নষ্ট হয়।
(১০)
প্রাতে ঘুম ভাঙ্গলে কি কার্য্য করতে হয়
প্রাতে যখন নিদ্রাভংগ হয় তখন চিৎ হয়ে-পা টান করে আবার তখনই হাত-পা গুটায়ে এনে কনুয়ের দ্বারা দুই দিকের পাঁজরে (যকৃৎ ও প্লীহার স্থানে)
চাপ দিয়ে আবার হাত পা টান করে ছেড়ে দিতে হয়। এরূপ ২/৪ বার করার পর ৫/৭ বার এপাশ ওপাশ আড়মোড়া দিতে হয়, তৎপর ২/১ মিনিট উপুড় হয়ে শুয়ে থেকে শয্যা হতে উঠতে হয়।
এরূপ করলে বাহ্যের বেগ সহজে আসবে, প্লীহা লিভারের কার্য্য ভাল হবে। কোন দিনই প্লীহা ও লিভারের অসুখ হবে না। প্লীহা ও যকৃতের অসুখ থাকলে ক্রমান্বয়ে বিনা ঔষুধেই কমে যাবে।
সপ্তাহে ২/৩ দিন করলেই হবে। কিন্তু প্রত্যহ ঘুম ভাঙ্গলে কিছু সময় উপুড় হয়ে থাকতে হয়। (ক) প্রাতঃকালে শয্যা হতে উঠে, আহারের পর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নিম্নভাগ দিয়ে কপাল
২/৩ বার ঘসে দিতে হয়। একে যোগশাস্ত্রে কপালভাতি বলে। এতে কফাস্রিত বায়ু ও শ্লেষ্মার দোষ নষ্ট হয়। খ) প্রাতঃকালে ঘুম হতে উঠে ও সন্ধ্যার সময় তর্জ্জনী দ্বারা কানের মধ্যে ঘসে দিতে হয়।
যোগশাস্ত্রে একে কর্ণভাতি বলে। এতে যাবতীয় কর্ণরোগ ভাল হয় ও কোনদিন কর্ণরোগ হয় না।