শ্রীমৎ আচার্য বিবেকানন্দ গোস্বামী
এম.এ.(ট্রিপল), সপ্ততীর্থ, বি.সি.এস (শিক্ষা) প্রাক্তন সহযোগী অধ্যাপক (দর্শন) বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ । প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ সেবাশ্রম। -এর স্বহস্তে লিখিত গ্রন্থ
মৃত্যু হতে অমৃতলোকে
For Ad Contact
0183 45 45 989
আহার স্নান
ব্রক্ষ্ণমুহুর্তে নতুবা ৯ টার পর। দক্ষিণ নাকে শ্বাসের সময় আহার করতে হয়। বাম হাঁটু তুলে বাম বগলে চাপ দিয়ে আহার করতে বসবে, অম্ল ও অর্জীনের
(ডিসপেপসিরা) রোগের জন্য উপকারী। আহারান্তে ১০/১৫ মিনিট বীরাসনে বসে হাড়ের অথবা মহিষের শৃঙ্গের চিরুনী দিয়া বেশ করিয়া সমস্ত মাথা আচড়াইবে। কষ্ট হলে ক্রমে ক্রমে অভ্যাস করবে।
এতে বাত ও অশ্বের ব্যারাম আরোগ্য হয়। চুল ওঠেনা, পাকে না, চুলবৃদ্ধি পায় ও মাথা ঠান্ডা থাকে।
শয়ন
পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে বাম নাকে শ্বাস প্রবাহের সময় শুইতে হয়। ২/১ মিনিট চিৎ হয়ে তারপর বাম কাত হয়ে শুয়ে নাভিতে মন রাখবে।
এতে অতিসত্ত্বর সুনিদ্রা হবে, স্বপ্ন দোষ হবে না ক্রমে এমন হবে যে রাত্রে স্বপ্ন দেখবে না।
নিষিদ্ধ আহার
১। মাছ, মাংস, দুধ একপাত্রে বসে খাওয়া উচিত নয়। তবে ১ ঘন্টা পরে দুধ খাওয়া যায় এবং দধি খেতে বাধা নাই। মাছ-দুধ একত্রে খেলে বাতের ব্যারাম ও অন্যান্য ব্যাধি হয়।
২। রাত্রিতে দধি খাবে না, খেলে শ্লেষ্মা বৃদ্ধি হয়, ১ মাসের কমে দধি হজম হয় না। দিনে দধি খেলে লবন ও জল মিশায়ে খাবে।
৩। চৈত্রমাসে গুড় খেলে কৃমি বৃদ্ধি হয়। এতে কলেরা পেটের অসুখ আমাশয় প্রভৃতি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা। তবে চিনি মিছরী কম খাওয়া যায়।
৪। চৈত্র-বৈশাখ-কার্ত্তিক মাসে মাছ খাওয়া ভাল নয়। চৈত্র-বৈশাখে পুকুরের মাছে বসন্ত রোগ হয়। কার্ত্তিকে মাছে শ্লেষ্মা হয় এতে শীতকালে মুখে ক্ষত হওয়া ও ঠোঁট ফাটার কারন।
তবে একান্ত প্রবৃতি দমন করতে না পারলে নদীর মাছ খেতে পারা যায়।
৫। কার্ত্তিক মাসে যত কম খাইলে চলে তত কম খাবে। কারণ অতিরিক্ত খেলে বায়ু, পিত্ত, কফ বৃদ্ধি হয় এছাড়া পেটের অসুখ হবেই।
৬। পৌষ মাস টানের মাস বিধায় বেশী খাওয়া যায়।
৭। রবি-বৃহস্পতিবার মাছ ও মুসুড়ীর ডাল খাওয়া উচিত নয়। রবিবারে মুসুড়ীর ডাল খেলে বহুমুত্র জন্মে, শরীর অত্যন্ত গরম হয় মাথার উত্তেজনা এবং আরও অনেক রকম ব্যাধি হয়।
৮। অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও একাদশীতে ভাত না খাওয়া ভাল। উপবাস না করতে পারলে রুটি ও সাবু খাওয়া মন্দ নয়। এসব তিথিতে পৃথিবী রসাক্রান্ত হয় এজন্য আমাদের
দেহেও রসাক্রান্ত শ্লেষ্মার আধিক্য হয়। অমাবস্যার একাদশী হতে অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার একাদশী হতে পূর্ণিমা পর্যন্ত খারাপ-মহাষ্টমী, রামনবমী শিবচতুর্দ্দশী, জন্মাষ্টমী, দোলপূর্ণিমায় উপসাব।
৯। অতিরিক্ত ভোজন নিষেধ। এতে অলসতা দুর্বলতা বৃদ্ধি পেয়ে রোগ হয়।
জয় রাধে শ্যাম