শ্রীমৎ আচার্য বিবেকানন্দ গোস্বামী
এম.এ.(ট্রিপল), সপ্ততীর্থ, বি.সি.এস (শিক্ষা) প্রাক্তন সহযোগী অধ্যাপক (দর্শন) বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ । প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ সেবাশ্রম। -এর স্বহস্তে লিখিত গ্রন্থ
মৃত্যু হতে অমৃতলোকে
For Ad Contact
0183 45 45 989
নিষিদ্ধ আহার (2)
৯। অতিরিক্ত ভোজন নিষেধ। এতে অলসতা দুর্বলতা বৃদ্ধি পেয়ে রোগ হয়।
১০। বুধ-সোম ব্যতীত ক্ষৌরকর্ম নিষেধ/একাদশী-পূর্ণিমা, অমাবস্যা সংক্রান্তি পর্বদিন বাদ দেওয়া উচিত। তাছাড়া রাত্রি এবং জন্মবারও।
১১। সূর্য্য-চন্দ্র ও যেদিক হতে বায়ু প্রবাহিত হয় সেদিক মুখ করে বাহ্য প্রস্রাব নিষেধ। সূর্য্যের দিক মুখ করে বাহ্য প্রস্রাব করলে শিরঃপীড়া এবং চন্দ্র ও বায়ু প্রবাহিত দিকে প্রস্রাব করলে শুক্রগত পীড়া জন্মে।
১২। দাড়ায়ে প্রস্রাব করলে ইন্দ্রিয়ের শক্তি শিথিল হয়, মেরুদন্ডের দুর্বলতা জন্মে, প্রস্রাব সম্পূর্ণ নিঃশেষে বের হয় না, ইহ বহুমুত্রের একটি কারণ। কাছু খুলে প্রস্রাব না করলে
প্রস্রাব সরলভাবে বের হয় না। প্রস্রাব করে জল না নিলে অনেক রূপ দুষিত ব্যাধি হতে পারে।
১৩। পূর্বদিকের ও সম্মুখে বায়ু সেবন করলে দুষ্ট ব্রনাদি রোগ হয়।
১৪। সম্মুখ বায়ু সেবনে শিরঃপীড়া হয় এবং পৃষ্ঠ বায়ু সেবন করতে হয়।
১৫। ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্ত্তিকে শিশিরে বা রৌদ্রে কোথাও যেতে হলে কানদুটি রুমাল বা চাদর দ্বারা বেঁধে নিবে। এজন্য পাগড়ি দরকার।
১৬। প্রস্রাব, বাহ্য ও হাঁচির বেগ ধারণ করবে না-এতে কঠিন রোগ হয়।
১৭। সূর্য্যগ্রহন ও চন্দ্রগ্রহনঃ গ্রহনের পর ৭দিবস পর্যন্ত শরীর খারাপ থাকে, বায়ু-পিত্ত ও কফ কুপিত হয়, গ্রহনের সময় প্রস্রাব-বাহ্য খাওয়া দাওয়া নিষেধ।
কলেরা/বসন্ত রোগ হয় না
শ্বেত কন্টিকারীর আধ তোলা মূল ২ টা গোলমরিচ একত্রে পিষে সকালে খালি পেটে একদিন খাবেন। পাথরকুচি গাছের ১টি পাতা, ২৫টি গোল মরিচ দিয়ে পিষে রোগীকে খাওয়াবে,
না কমলে ২ঘন্টা পর ঐ মাত্রায় আবার কলেরা রোগীকে খাওয়াবে।
জ্বর-সবপ্রকার
নিছিন্দার মূল হাতে বেঁধে দিলে সকল প্রকার জ্বর সারে। সাদা অপরাজিতা গাছের মূল যতক্ষণ স্বাভাবিক গন্ধ থাকে ঘ্রান নিবে। কাগজি লেবুর পাতার ঘ্রান সকালে ও বৈকালে নিবে।
পালাজ্বর
কয়েকটি শ্বেত অপরাজিতা ফুলের পাতা অথবা বকফুলের পাতা নেকড়ার মধ্যে পুটুলি করে জ্বরের পালার দিন সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিবে। উক্ত পাতার রস ২ তোলা খেলেও হয়।
জয় রাধে শ্যাম