ভক্ত ও ভক্ত সম্বন্ধীয়ঃ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
শ্লোক: 71
সাধবো হৃদয়ং মহ্যং সাধূনাং হৃদয়ং ত্বহম্ ।
মদন্যৎ তে ন জ্ঞানন্তি নাহং তেভ্যো মনাগপি ।।
(ভাগবত ৯/৪/৬৮)
অনুবাদঃ- সাধু-মহাত্মারা আমার হৃদয় এবং আমিও তাদের হৃদয়। তারা আমাকে ছাড়া অন্য কিছু জানে না এবং আমিও তাদের ছাড়া অন্য কাউকে আমার বলে জানি না।
শ্লোক: 72
জগাই মাধাই হৈতে মুঞি সে পাপিষ্ঠ ।
পুরীষের কীট হৈতে মুঞি সে লঘিষ্ঠ ।।
(চৈঃ চঃ আদি ৫/২০৫)
অনুবাদঃ- আমি জগাই-মাধাই থেকেও পাপিষ্ঠ এবং এমন কি বিষ্ঠার কীট থেকেও অধম। (কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী)
শ্লোক: 73
মোর নাম শুনে যেই তার পূণ্য ক্ষয় ।
মোর নাম লয় যেই তার পাপ হয় ।।
(চৈঃ চঃ আদি ৫/২০৬)
অনুবাদঃ-
যিনি আমার নাম শুনেন, তাঁর পূণ্য ক্ষয় হয়ে যায়। যিনি আমার নাম উচ্চারণ করেন, তাঁর পাপ হয়। (কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী)
শ্লোক: 74
প্রেমের স্বভাব—যাঁহা প্রেমের সম্বন্ধ ।
সেই মানে,-- ‘কৃষ্ণে মোর নাহি প্রেম-গন্ধ’ ।।
(চৈঃ চঃ অন্ত্য ২০/২৮)
অনুবাদঃ- শ্রীকৃষ্ণের প্রতি যদি কোনও ভক্তের প্রকৃত প্রেম জাগ্রত হয়, সেই প্রেমের স্বভাবই এই রকম যে, সেই ভক্ত নিজেকে ভক্ত বলেই গণ্য করেন না। বরং, তিনি সর্বদাই মনে করেন যে, শ্রীকৃষ্ণের প্রতি প্রেমের গন্ধমাত্রও আমার নেই।
(কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী)
শ্লোক: 75
তুমি ত ঠাকুর, তোমার কুক্কুর,
বলিয়া জানহ মোরে।
(ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, শরণাগতি)
অনুবাদঃ- তুমি তো পরমেশ্বর ভগবান, অনুগ্রহ করে আমাকে তোমার পোষা কুকুর বলে গণ্য করবে।
শ্লোক: 76
কীটজন্ম হউ যথা তুয়া দাস ।
বহির্মুখ ব্রহ্মজন্মে নাহি আশ ।।
(ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, মানস দেহ গেহ ৫)
অনুবাদঃ- তোমার ভক্ত হয়ে, যেখানে তোমার ভক্তদের বাস, সেখানে কীটরূপে জন্ম নিতেও আমি প্রস্তুত। তবে তোমার প্রতি ভক্তিহীন হয়ে ব্রহ্মার জন্ম লাভ করার ইচ্ছাও আমার নেই।
শ্লোক: 77
হা হা প্রভু নন্দসুত, বৃষভানুসুতাযুত,
করুণা করহ এইবার ।
নরোত্তমদাস কয়, না ঠেলিহ রাঙ্গা পায়,
তোমা বিনা কে আছে আমার।।
(নরোত্তম দাস ঠাকুর)
অনুবাদঃ- হে শ্রীকৃষ্ণ! হে নন্দসুত! হে বৃষভানুর কন্যা শ্রীমতি রাধার সঙ্গী! আমাকে এবার করুণা কর। অবশেষে আমি তোমার রাঙ্গাচরণ পেলাম। কৃপা করে আমাকে সেখান থেকে ঠেলে দিও না। তুমি ছাড়া আমার আশ্রয় আর কে আছে?
শ্লোক: 78
ধর্মাচারি-মধ্যে বহুত ‘কর্মনিষ্ঠ’ ।
কোটি-কর্মনিষ্ঠ-মধ্যে এক ‘জ্ঞানী’ শ্রেষ্ঠ ।।
(চৈঃ চঃ মধ্য ১৯/১৪৭)
অনুবাদঃ- বৈদিক জ্ঞানের অনুগামীদের মধ্যে অধিকাংশই সকাম কর্মের অনুষ্ঠান করছেন এবং ভাল ও মন্দ কর্মের পার্থক্য নিরূপণ করছেন। সেই রকম নিষ্ঠাবান কোটি সংখ্যক সকাম কর্মীর মধ্যে কদাচিৎ একজন জ্ঞানী ব্যক্তি থাকতে পারেন, যিনি সকাম কর্মীদের থেকে শ্রেষ্ঠ।
শ্লোক: 79
কোটিজ্ঞানী-মধ্যে হয় একজন ‘মুক্ত’ ।
কোটিমুক্ত-মধ্যে ‘দুর্লভ’ এক কৃষ্ণ-ভক্ত ।।
(চৈঃ চঃ মধ্য ১৯/১৪৮)
অনুবাদঃ- সেই রকম কোটি সংখ্যক জ্ঞানীর মধ্যে কদাচিৎ একজন বস্তুত মুক্তি লাভ করেন। সেই রকম কোটি সংখ্যক মুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একজন শুদ্ধ ভক্ত অত্যন্ত দুর্লভ।
শ্লোক: 80
মুক্তানামপি সিদ্ধানাং নারায়ণপরায়ণঃ ।
সুদুর্লভঃ প্রশান্তাত্মা কোটিষ্বপি মহামুনে ।।
(ভাগবত ৬/১৪/৫)
অনুবাদঃ- হে মহর্ষি! কোটি কোটি মুক্ত ও সিদ্ধদের মধ্যে নারায়ণ পরায়ণ প্রশান্তাত্মা পুরুষ অত্যন্ত দুর্লভ।
শ্লোক: 81
ভবদ্বিধা ভাগবতাস্তীর্থভূতাঃ স্বয়ং বিভো ।
তীর্থীকুর্বন্তি তীর্থানি স্বান্তঃস্থেন গদাভৃতা ।।
(ভাগবত ১/১৩/১০)
অনুবাদঃ- আপনার মতো ভাগবতেরা নিজেরাই তীর্থস্বরূপ। তাঁরা স্বীয় অন্তকরণস্থিত গদাধারী ভগবানের পবিত্রতা বলে পাপীগণের পাপ দ্বারা মলিন তীর্থস্থানগুলিকে পবিত্র করেন।
(বিদুরের প্রতি মহারাজ যুধিষ্ঠির)
শ্লোক: 82
যস্যাস্তি ভক্তির্ভগবত্যকিঞ্চনা
সর্বৈর্গুণৈস্তত্র সমাসতে সুরাঃ ।
হরাবভক্তস্য কুতো মহদ্ গুণা
মনোরথেনাসতি ধাবতো বহিঃ ।।
(ভাগবত ৫/১৮/১২)
অনুবাদঃ- যিনি শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অনন্য ভক্তিসম্পন্ন, তাঁর মধ্যে দেবতাদের সমস্ত সদ্ গুণগুলি প্রকাশিত হয়। কিন্তু যিনি হরিভক্তি-বিহীন তার মধ্যে কোন সদ্ গুণই নেই, কেন না তিনি মনোরথের দ্বারা শ্রীকৃষ্ণের বহিরঙ্গা শক্তি জড় জগতের প্রতি নিরন্তর ধাবিত হচ্ছেন।
(প্রহ্লাদ মহারাজ ও হরিবর্ষবাসীরা)
শ্লোক: 83
বিষ্ণু অস্য দেবতা ইতি বৈষ্ণবঃ ।
(অজ্ঞাত উৎস)
অনুবাদঃ- যিনি ভগবান বিষ্ণুকে তাঁর আরাধ্যদেব রূপে গ্রহণ করেছেন, তিনিই বৈষ্ণব ।
শ্লোক: 84
যেই ভজে সেই বড়, অভক্ত – হীন, ছার ।
কৃষ্ণভজনে নাহি জাতি-কুলাদি-বিচার ।।
(চৈঃ চঃ অন্তঃ ৪/৬৭)
অনুবাদঃ- যিনি কৃষ্ণভক্তিমূলক সেবার পন্থা গ্রহণ করেছেন, তিনিই মহিমান্বিত। আর অভক্ত সর্বদাই নিন্দনীয় এবং জঘন্য গুণসম্পন্ন। এই জন্য কৃষ্ণভজনে জাতি ও কুলাদির বিচার করা হয় না।
(সনাতন গোস্বামীর প্রতি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু)
শ্লোক: 85
ইত্থং সতাং ব্রহ্মসুখানুভূত্যা
দাস্যং গতানাং পরদৈবতেন ।
মায়াশ্রিতানাং নরদারকেণ
সাকং বিজহ্রুঃ কৃতপুণ্যপুঞ্জাঃ ।।
(ভাগবত ১০/১২/১১)
অনুবাদঃ- নির্বিশেষবাদীরা জ্ঞানীরা যাঁকে ব্রহ্মসুখরূপে উপলব্ধি করেন, দাস্য রসের ভক্তরা যাঁকে পর-দেবতারূপে দর্শন করেন এবং মায়াশ্রিত সাধারণ মানুষেরা যাঁকে একটি মানব-শিশুরূপে দর্শন করেন, সেই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে বৃন্দাবনের গোপ-বালকেরা জন্ম-জন্মান্তরের পুঞ্জীভূত পুণ্যকর্মের ফলে, সখারূপে খেলা করছেন।
(শ্রীল শুকদেব গোস্বামী)
শ্লোক: 86
নানাশাস্ত্র-বিচারণৈক-নিপুণৌ সদ্ধর্ম-সংস্থাপকৌ
লোকানাং হিতকারিণৌ ত্রিভুবনে মানৌ শরণ্যাকরৌ ।
রাধাকৃষ্ণ-পদারবিন্দভজনানন্দেন মত্তালিকৌ
বন্দে রূপ-সনাতনৌ রঘুযুগৌ শ্রীজীব-গোপালকৌ ।।
(শ্রীশ্রীষড়্ গোস্বামী-অষ্টক-২)
অনুবাদঃ- যাঁরা বিবিধ শাস্ত্র-বিচারে পরম নিপুণ, সৎ-ধর্মের স্থাপনকর্তা, মানবগণের পরম মঙ্গলকারী, ত্রিভুবন-পূজ্য, আশ্রয়দাতা ও শ্রীরাধা-গোবিন্দের পদারবিন্দ ভজনানন্দে প্রমত্ত মধুকর-সদৃশ আমি বারবার সেই শ্রীরূপ, সনাতন, রঘুনাথ ভট্ট, গোপাল ভট্ট, রঘুনাথ দাস ও শ্রীজীব গোস্বামীপাদগণের বন্দনা করি।
(শ্রীনিবাস আচার্য)
শ্লোক: 87
ত্যক্ত্বা তূর্ণমশেষ-মণ্ডলপতিশ্রেণীং সদা তুচ্ছবৎ
ভূত্বা দীনগণেশকৌ করুণয়া কৌপীন-কন্থাশ্রিতৌ ।
গোপীভাব-রসামৃতাব্ধিলহরী-কল্লোল-মগ্নৌমুহু-
র্বন্দে রূপ-সনাতনৌ রঘুযুগৌ শ্রীজীব-গোপালকৌ ।।
(শ্রীশ্রীষড়্ গোস্বামী-অষ্টক-৪)
অনুবাদঃ- যাঁরা অসংখ্য মণ্ডলপতিদের সহবাস ঝটিতি তুচ্ছবৎ পরিত্যাগ করে কৃপাপূর্বক দীনহীনগণের পতি হয়ে কৌপীনকন্থা অবলম্বন করেছিলেন এবং যাঁরা গোপীপ্রেম-রসামৃত-সিন্ধু-তরঙ্গে সদাই নিমগ্ন ছিলেন, আমি বারবার সেই শ্রীরূপ, সনাতন, রঘুনাথ ভট্ট, গোপাল ভট্ট, রঘুনাথ দাস ও শ্রীজীব গোস্বামীপাদগণের বন্দনা করি।
(শ্রীনিবাস আচার্য)
শ্লোক: 88
সংখ্যাপূর্বক-নাম-গান-নতিভিঃ কালাবসানীকৃতৌ
নিদ্রাহার-বিহারকাদি-বিজিতৌ চাতন্ত্যদীনৌ চ যৌ ।
রাধাকৃষ্ণ-গুণ-স্মৃতের্মধুরিমানন্দেন সম্মোহিতৌ
বন্দে রূপ-সনাতনৌ রঘুযুগৌ শ্রীজীব-গোপালকৌ ।।
(শ্রীশ্রীষড়্ গোস্বামী-অষ্টক-৬)
অনুবাদঃ- যাঁরা সংখ্যাপূর্বক নাম-জপ, কীর্তন ও প্রণাম করে সময় অতিবাহিত করতেন, যাঁরা আহার-বিহার-নিদ্রা আদি জয় করেছিলেন, যাঁরা অত্যন্ত দীন-হীনের মতো বিচরণ করতেন এবং যাঁরা শ্রীশ্রীরাধা-গোবিন্দের গুণ-মাধুর্য স্মরণ করে পরমানন্দে বিভোর হতেন, আমি বারবার সেই শ্রীরূপ, সনাতন, রঘুনাথ ভট্ট, গোপালভট্ট, রঘুনাথ দাস ও শ্রীজীব গোস্বামীপাদগণের বন্দনা করি।
(শ্রীনিবাস আচার্য)
শ্লোক: 89
হে রাধে ব্রজদেবিকে চ ললিতে হে নন্দসূনো কুতঃ
শ্রীগোবর্ধন-কল্পপাদপ-তলে কালিন্দী-বন্যে কুতঃ ।
ঘোষন্তাবিতি সর্বতো ব্রজপুরে খেদৈর্মহাবিহ্বলৌ
বন্দে রূপ-সনাতনৌ রঘুযুগৌ শ্রীজীব-গোপালকৌ ।।
(শ্রীশ্রীষড়্ গোস্বামী-অষ্টক-৮)
অনুবাদঃ- “হে ব্রজদেবী রাধে! তুমি কোথায়? হে ললিতে! তুমি কোথায়? হে কৃষ্ণ! তুমি কোথায়? তোমরা কি শ্রীগোবর্ধনের কল্পতরুতলে, না কালিন্দী-কূলস্থ বনমধ্যে,”- এভাবেই বলতে বলতে যাঁরা নিরতিশয় শোকাতুর হয়ে ব্রজভূমির সর্বত্র ব্যাকুলভাবে পরিভ্রমণ করতেন, আমি বার-বার সেই শ্রীরূপ, সনাতন, রঘুনাথ ভট্ট, গোপাল ভট্ট, রঘুনাথ দাস ও শ্রীজীব গোস্বামীপাদগণের বন্দনা করি।
(শ্রীনিবাস আচার্য)
শ্লোক: 90
সত্ত্বং বিশুদ্ধং বসুদেবশব্দিতং
যদিয়তে তত্র পুমানপাবৃতঃ ।
সত্ত্বে চ তস্মিন্ ভগবান্ বাসুদেবো ।
হ্যধোক্ষজো মে মনসা বিধীয়তে ।।
(ভাগবত ৪/৩/২৩)
অনুবাদঃ- যে শুদ্ধ সত্ত্বে পরমেশ্বর ভগবান অনাবৃতভাবে বিরাজ করেন, তাকে বলা হয় বসুদেব স্তর। সেই শুদ্ধ সত্ত্বে অবস্থিত জড় ইন্দ্রিয়ানুভূতির অতীত পরমেশ্বর ভগবান বাসুদেব নামে পরিচিত। আমার মনের দ্বারা আমি তাঁকে উপলব্ধি করতে পারি ।
(সতীর প্রতি শিব)
শ্লোক: 91
যস্মিন্ সর্বাণি ভূতান্যাত্মৈবাভূদ্ বিজানতঃ ।
তত্র কো মোহঃ কঃ শোক একত্বমনুপশ্যতঃ ।।
(শ্রীঈশোপনিষদ ৭)
অনুবাদঃ- যিনি সর্বদা সমস্ত জীবকুলকে গুণগতভাবে শ্রীভগবানের সঙ্গে অভিন্ন, চিৎকণাস্বরূপ দর্শন করেন, তিনিই যথার্থ তত্ত্বদর্শী জ্ঞানী। তাঁর শোকই বা কি? মোহই বা কি? তাঁর মোহ বা শোক থাকে না।
শ্লোক: 92
স্থাবর-জঙ্গম দেখে, না দেখে তার মূর্তি ।
সর্বত্র হয় নিজ ইষ্টদেব-স্ফূর্তি ।।
(চৈঃ চঃ মধ্য ৮/২৭৪)
অনুবাদঃ- মহাভাগবত স্থাবর-জঙ্গম দর্শন করেন, কিন্তু তিনি তাদের রূপ দর্শন করেন না। পক্ষান্তরে, তিনি সর্বত্র পরমেশ্বর ভগবানকে দর্শন করেন। (রায় রামানন্দের প্রতি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু)
শ্লোক: 93
বদন্তি তত্তত্ত্ববিদস্তত্ত্বং যজ্জ্ঞানমদ্বয়ম্ ।
ব্রহ্মেতি পরমাত্মেতি ভগবানিতি শব্দ্যতে ।।
(ভাগবত ১/২/১১)
অনুবাদঃ- যা অদ্বয় জ্ঞান, অর্থাৎ এক এবং অদ্বিতীয় বাস্তব বস্তু, তত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিতেরা তাকেই পরমার্থ বলেন, এই তত্ত্ববস্তু ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবান—এই তিন নামে অভিহিত হন । (সূত গোস্বামী)
শ্লোক: 94
নাহং বিপ্রো ন চ নরপতির্নাপি বৈশ্যো ন শূদ্রো
নাহং বর্ণী ন চ গৃহপতির্নো বনস্থো যতির্বা ।
কিন্তু প্রোদ্যন্নিখিলপরমানন্দপূর্ণামৃতাব্ধে-
র্গোপীভর্তুঃ পদকমলয়োর্দাসদাসানুদাসঃ ।।
(পদ্যাবলী ৭৪)
অনুবাদঃ- আমি ব্রাহ্মণ নই, ক্ষত্রিয় রাজা নই, বৈশ্য বা শূদ্র নই, ব্রহ্মচারী নই, গৃহস্থ নই, বাণপ্রস্থ নই, সন্ন্যাসীও নই। কিন্তু আমি নিত্য স্বতঃ প্রকাশমান নিখিল পরমানন্দপূর্ণ অমৃত-সমুদ্ররূপ শ্রীকৃষ্ণের পদকমলের দাসের অনুদাসের দাস। (রূপ গোস্বামী)
(সূত্রঃ- বৈষ্ণব শ্লোকাবলী) এরপর দেখুন=
ভক্তিমূলক সেবা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।