সনাতন ধর্মের সুনির্বাচিত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু শ্লোকঃ-

জ্ঞান-ই শক্তি ! নিজের ধর্ম সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানুন এবং অন্যকেও জানতে উৎসাহিত করুন।

আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

চৈতন্য চরিতামৃত থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক

  • শ্লোক: 37

    বৈরাগী হঞা যেবা করে পরাপেক্ষা ।
    কার্যসিদ্ধি নহে, কৃষ্ণ করেন উপেক্ষা ।।
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২২৪)
  • অনুবাদঃ- “বৈরাগী হয়ে যে পরের উপর নির্ভর করে, তার কার্যসিদ্ধি হয় না, এবং কৃষ্ণ তাকে উপেক্ষা করেন। ”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্লোক: 38

    বৈরাগী হঞা করে জিহ্বার লালস ।
    পরমার্থ যায়, আর হয় রসের বশ ।।
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২২৫)
  • অনুবাদঃ- “বৈরাগী হয়ে কেউ যদি জিহ্বার লালসা করে, তাহলে তার পরমার্থ সাধন হয় না, এবং সে জিহ্বার রসের বশবর্তী হয়। ”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্লোক: 39

    বৈরাগীর কৃত্য—সদা নাম-সঙ্কীর্তন।
    শাক-পত্র-ফল-মূলে উদর-ভরণ।।
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২২৬)
  • অনুবাদঃ- “বৈরাগীর কর্তব্য—সর্বদা নাম-সঙ্কীর্তন করা, এবং শাক-পাতা, ফল-মূল, যা পাওয়া যায় তাই দিয়ে উদর-ভরণ করা। ”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্লোক: 40

    জিহ্বার লালসে যেই ইতি-উতি ধায় ।
    শিশ্নোদরপরায়ণ কৃষ্ণ নাহি পায়।।
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২২৭)
  • অনুবাদঃ- “জিহ্বার লালসে যে এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়ায়, সেই শিশ্নোদর-পরায়ণ ব্যক্তি কখনও কৃষ্ণকে পায় না। ”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্লোক: 41

    কি মোর কর্তব্য, মুঞি না জানি উদ্দেশ ।
    আপনি শ্রীমুখে মোরে কর উপদেশ ।।
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২৩২)
  • অনুবাদঃ- “আমার কি কর্তব্য, কি উদ্দেশ্য, তা আমি জানি না। আপনি আপনার শ্রীমুখে আমাকে সেই সম্বন্ধে উপদেশ দান করুন। ”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উদ্দেশ্যে রঘুনাথ দাস গোস্বামীর উক্তি)

  • শ্লোক: 42

    হাসি’ মহাপ্রভু রঘুনাথেরে কহিল ।
    "তোমার উপদেষ্টা করি' স্বরূপেরে দিল ।।
    'সাধ্য'-'সাধন'-তত্ত্ব শিখ ইহাঁর স্থানে।
    আমি তত নাহি জানি, ইহোঁ যত জানে ।। (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২৩৩-২৩৪)
  • অনুবাদঃ- হেসে তখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু রঘুনাথ দাসকে বললেন, "আমি ইতিমধ্যেই স্বরূপ দামোদর গোস্বামীকে তোমার উপদেষ্টা নিযুক্ত করেছি। তুমি তার কাছে সাধ্য সাধন তত্ত্ব শেখ। উনি যা জানেন আমি ততটা জানি না।
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্লোক: 43

    তথাপি আমার আজ্ঞায় যদি শ্রদ্ধা হয় ।
    আমার এই বাক্যে তবে করিহ নিশ্চয়।।
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২৩৫)
  • অনুবাদঃ- “তথাপি, আমার আজ্ঞায় যদি তোয়ার শ্রদ্ধা হয়, তাহলে আমার এই নির্দেশ নিশ্চিতভাবে পালন কর।”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্লোক: 44

    গ্রাম্যকথা না শুনিবে, গ্রাম্যবার্তা না কহিবে ।
    ভাল না খাইবে আর ভাল না পরিবে।।
    অমানী মানদ হঞা কৃষ্ণনাম সদা ল'বে।
    ব্রজে রাধাকৃষ্ণ-সেবা মানসে করিবে।।
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২৩৬-২৩৭)
  • অনুবাদঃ- “জড়-জাগতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে না, এবং সেই সমস্ত বিষয়ে শ্রবণ করবে না। ভাল খাবার খাবে না এবং ভাল কাপড় পরবে না। নিজে কোন রকম সম্মানের প্রত্যাশা না করে অন্য সকলকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করে সর্বদা কৃষ্ণনাম গ্রহণ করবে; এবং মানসে বৃন্দাবনে রাধাকৃষ্ণের সেবা করবে। ”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্লোক: 45

    এই ত' সংক্ষেপে আমি কৈলুঁ উপদেশ।
    স্বরূপের ঠাঞি ইহার পাইবে বিশেষ।।
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২৩৮)
  • অনুবাদঃ- “সংক্ষেপে আমি তোমাকে এই উপদেশ দিলাম। স্বরূপ দামোদর গোস্বামীর কাছে তুমি সেই সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে নির্দেশ পাবে। ”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্লোক: 46

    "তৃণাদপি সুনীচেন তরোরিব সহিষ্ণুনা ।
    অমানিনা মানদেন কীর্তনীয়ঃ সদা হরিঃ ।।"
    (চৈঃ চঃ অন্ত্য ৬/২৩৫)
  • অনুবাদঃ- “যিনি নিজেকে সকলের পদদলিত তৃণের থেকেও ক্ষুদ্র বলে মনে করেন, যিনি বৃক্ষের মতো সহিষ্ণু, যিনি নিজে মানশূন্য এবং অন্য সকলকে সম্মান প্রদর্শন করেন, তিনি সর্বক্ষণ ভগবানের দিব্যনাম কীর্তনের অধিকারী।”
    (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উক্তি)

  • শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত অন্ত্য ১৬, শ্রীকৃষ্ণের অধরামৃত

  • শ্লোক: 1
    বন্দে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যং কৃষ্ণভাবামৃতং হি যঃ ।
    আস্বাদ্যাস্বাদয়ন্ ভক্তান্ প্রেমদীক্ষামশিক্ষয়ৎ ।। ১ ।।

  • অনুবাদঃ- যিনি কৃষ্ণপ্রেমামৃত স্বয়ং আস্বাদন করে এবং ভক্তদের আস্বাদন করিয়ে, প্রেম দীক্ষা বিষয়ক দিব্য জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেই শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুকে আমি বন্দনা করি।

  • শ্লোক: 2
    জয় জয় শ্রীচৈতন্য জয় নিত্যানন্দ ।
    জয়াদ্বৈতচন্দ্র জয় গৌরভক্তবৃন্দ ।। ২ ।।

  • শ্লোকার্থ- শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জয় ! শ্রীমন্নিত্যানন্দ প্রভুর জয় ! শ্রীঅদ্বৈত আচার্য প্রভুর জয় ! এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সমস্ত ভক্তবৃন্দের জয় !

  • শ্লোক: 3
    এইমত মহাপ্রভু রহেন নীলাচলে ।
    ভক্তগণ-সঙ্গে সদা প্রেম-বিহ্বলে ।। ৩ ।।

  • অনুবাদঃ- এইভাবে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সর্বদা ভগবৎ-প্রেমে বিহ্বল হয়ে ভক্তদের সঙ্গে নীলাচলে অবস্থান করছিলেন ।

  • শ্লোক: 4
    বর্ষান্তরে আইলা সব গৌড়ের ভক্তগণ ।
    পূর্ববৎ আসি’ কৈল প্রভুর মিলন ।। ৪।।

  • অনুবাদঃ- পরের বছর, যথারীতি, গৌড়ের সমস্ত ভক্তরা জগন্নাথপুরীতে এলেন, এবং পূর্ববৎ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সঙ্গে তাঁদের মিলন হল ।

  • শ্লোক: 5
    তাঁ-সবার সঙ্গে আইল কালিদাস নাম ।
    কৃষ্ণনাম বিনা তেঁহো নাহি কহে আন ।। ৫ ।।

  • অনুবাদঃ- তাঁদের সঙ্গে কালিদাস নামক একজন ভক্ত এসেছিলেন। কৃষ্ণনাম ব্যতীত তাঁর মুখে আর অন্য কোন বাণী ছিল না।

  • (সূত্রঃ- বৈষ্ণব শ্লোকাবলী) এরপর দেখুন= চৈতন্য চরিতামৃত অন্ত্য ১৬, (শ্রীকৃষ্ণের অধরামৃত) থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক

  • Add_6

    আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

    সুনির্বাচিত শ্লোকঃ-

    * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।