সনাতন ধর্মের সুনির্বাচিত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু শ্লোকঃ-

জ্ঞান-ই শক্তি ! নিজের ধর্ম সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানুন এবং অন্যকেও জানতে উৎসাহিত করুন।

আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

:ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক :-

  • শ্লোক: 16

    স ঐক্ষত
    (ঐতেরেয় উপঃ ১/১/১)
  • অনুবাদঃ- সেই পরমেশ্বর ভগবান জড়া শক্তির প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছিলেন।

  • শ্লোক: 17

    স ইমাল্লোকান্ অসৃজত
    (ঐতেরেয় উপঃ ১/১/২)
  • অনুবাদঃ- তিনি (পররমেশ্বর ভগবান) সমগ্র জড় জগৎ সৃষ্টি করলেন ।

  • শ্লোক: 18

    যতো বা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে
    (তৈত্তিরীয় উপনিষদ ৩/১/১)
  • অনুবাদঃ- সমস্ত জীব পরমেশ্বর ভগবান থেকে উৎপন্ন হয়।

  • শ্লোক: 19

    অহমেবাসমেবাগ্রে নান্যদ্ যৎ সদসৎ পরম্ ।
    পশ্চাদহং যদেতচ্চ যোহবশিষ্যেত সোহস্ম্যহম্ ।।
    (ভাগবত ২/৯/৩৩)
  • অনুবাদঃ- হে ব্রহ্মা ! সৃষ্টির পূর্বে কেবল আমি ছিলাম এবং সৎ, অসৎ ও অনির্বচনীয় নির্বিশেষ ব্রহ্ম পর্যন্ত কোনকিছুরই অস্তিত্ব ছিল না। সৃষ্টির পরে এই সমুদয় স্বরূপে আমিই বিরাজ করি এবং প্রলয়ের পর কেবল আমিই অবশিষ্ট থাকব।

  • শ্লোক: 20

    ভূমিরাপোহনলো বায়ুঃ খং মনো বুদ্ধিরেব চ ।
    অহঙ্কার ইতীয়ং মে ভিন্না প্রকৃতিরষ্টধা ॥
    (গীতা ৭/৪)
  • অনুবাদঃ- ভূমি, জল, বায়ু, অগ্নি, আকাশ, মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কার- এই আট প্রকারে আমার ভিন্না জড়া প্রকৃতি বিভক্ত।

  • শ্লোক: 21

    রামাদিমূর্তিষু কলানিয়মেন তিষ্ঠন্
    নানাবতারমকরোদ্ভুবনেষু কিন্তু ।
    কৃষ্ণঃ স্বয়ং সমভবৎ পরমঃ পুমান্ যো
    গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি ।।
    (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৯)
  • অনুবাদঃ- কলাবিভাগে রামাদি মূর্তিতে ভগবান জগতে নানা অবতার প্রকাশ করেছিলেন; কিন্তু যে পরম পুরুষ স্বয়ং কৃষ্ণরূপে প্রকট হন, সেই আদি-পুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি।

  • শ্লোক: 22

    নিন্দসি যজ্ঞবিধেরহহ শ্রুতিজাতং
    সদয়হৃদয়দর্শিতপশুঘাতম্ ।
    কেশব ধৃতবুদ্ধশরীর জয় জগদীশ হরে ।।
    (শ্রীদশাবতার-স্তোত্র ৯)
  • অনুবাদঃ- হে কেশব ! হে জগদীশ ! পশুবধ দর্শনে আপনার সকরুণ হৃদয় আর্দ্রভূত হলে, আপনি হিংসার দোষ প্রদর্শনপূর্বক (পশুবধাত্মক) যজ্ঞ বিধান-প্রবর্তক বেদের অপবাদ দিয়েছিলেন। হে হরে! বুদ্ধ শরীরধারী আপনি জয়যুক্ত হোন ।

  • শ্লোক: 23

    ততঃ কলৌ সম্প্রবৃত্তে সম্মোহায় সুরদ্বিষাম্ ।
    বুদ্ধো নাম্নাঞ্জনসুতঃ কীকটেষু ভবিষ্যতি ।।
    (ভাগবত ১/৩/২৪)
  • অনুবাদঃ- তারপর কলিযুগের প্রারম্ভে ভগবান ভগবৎ-বিদ্বেষী নাস্তিকদের সম্মোহিত করার জন্য বুদ্ধদেব নামে গয়া প্রদেশে অঞ্জনার পুত্ররূপে আবির্ভূত হবেন।

  • শ্লোক: 24

    অবতারা হ্যসংখ্যেয়া হরেঃ সত্ত্বনিধের্দ্ধিজাঃ ।
    যথাবিদাসিনঃ কুল্যাঃ সরসঃ স্যুঃ সহস্রশঃ ।।
    (ভাগবত ১/৩/২৬)
  • অনুবাদঃ- হে ব্রাহ্মণগণ! বিশাল জলাশয় থেকে যেমন অসংখ্য নদী প্রবাহিত হয়, ঠিক তেমনই ভগবানের থেকে অসংখ্য অবতার প্রকাশিত হন ।

  • শ্লোক: 25

    এতে চাংশকলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্ ।
    ইন্দ্ররিব্যাকুলং লোকং মৃড়য়ন্তি যুগে যুগে ।।
    (ভাগবত ১/৩/২৮)
  • অনুবাদঃ- ভগবানের এই সমস্ত অবতারেরা পুরুষাবতারদের অংস অথবা কলা। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান। যখন নাস্তিকদের অত্যাচার বেড়ে যায়, তখন আস্তিকদের রক্ষা করবার জন্য ভগবান এই ধরাধামে অবতির্ণ হন।

  • শ্লোক: 26

    যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত ।
    অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্ ।।
    (গীতা ৪/৭)
  • অনুবাদঃ- হে ভারত ! যখনই ধর্মের অধঃপতন হয় এবং অধর্মের অভ্যূত্থান হয়, তখন আমি নিজেকে প্রকাশ করে অবতীর্ণ হই।

  • শ্লোক: 27

    পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
    ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।।
    (গীতা ৪/৮)
  • অনুবাদঃ- সাধুদের পরিত্রাণ করার জন্য, দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।

  • শ্লোক: 28

    দীপার্চিরেব হি দশান্তরমভ্যুপেত্য
    দীপায়তে বিবৃতহেতুসমানধর্মা ।
    যস্তাদৃ্গেব হি চ বিষ্ণুতয়া বিভাতি
    গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি ।।
    (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৪৬)
  • অনুবাদঃ- এক মূল প্রদীপের জ্যোতি যেরূপ অন্য বর্তি বা বাতিগত হয়ে বিবৃত (বিস্তার) হেতু সমান ধর্মের সঙ্গে পৃথক প্রজ্জ্বলিত হয়, সেরূপ (বিষ্ণুর) চরিষ্ণুভাবে যিনি প্রকাশ পান, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজন করি।

  • শ্লোক: 29

    প্রলয়পয়োধিজলে ধৃতবানসি বেদং
    বিহিতবহিত্রচরিত্রমখেদম্ ।
    কেশব ধৃতমীনশরীর জয় জগদীশ হরে ।।
    (দশাবতার-স্তোত্র ১)
  • অনুবাদঃ- হে কেশব ! হে জগদীশ ! হে হরি ! প্রলয়কালে যখন বেদরাশি সমুদ্রজলে নিমগ্ন হয়, তখন আপনি মীনশরীর ধারণ করে অক্লেশে নৌকার ন্যায় সেই বেদরাশি ধারণ করে রেখেছিলেন। মীন শরীরধারী আপনার জয় হোক ।

  • শ্লোক: 30

    বসতি দশনশিখরে ধরণী তব লগ্না
    শশিনি কলঙ্ককলেব নিমগ্না ।
    কেশব ধৃতশূকররূপ জয় জগদীশ হরে ।।
    (দশাবতার-স্তোত্র ৩)
  • অনুবাদঃ- হে কেশব ! আপনি যখন শূকরমূর্তি ধারণ করেছিলেন, তখন চন্দ্রের কলঙ্করেখার ন্যায় আপনার দন্তাগ্রে এই পৃথিবী সংলগ্না ছিল। হে শূকররূপী জগদীশ! হে হরে ! আপনার জয় হোক ।

  • শ্লোক: 31

    তব করকমলবরে নখমদ্ভুতশৃ্ঙ্গং
    দলিতহিরণ্যকশিপুতনুভৃঙ্গম্ ।
    কেশব ধৃতনরহরিরূপ জয় জগদীশ হরে ।।
    (দশাবতার-স্তোত্র ৪)
  • অনুবাদঃ- হে কেশব ! যখন আপনি নৃ্সিংহরূপ ধারণ করেছিলেন, তখন আপনার করকমলের নখাবলী অতীব আশ্চর্যাবহ অগ্রভাগযুক্ত হয়েছিল। আপনি ওই নখ দ্বারা দৈত্যপতি হিরণ্যকশিপুর তনুভৃঙ্গটিকে বিদীর্ণ করেছিলেন। হে নৃসিংহরূপী জগদীশ! হে হরে! আপনার জয় হোক।

  • (সূত্রঃ- বৈষ্ণব শ্লোকাবলী) এরপর দেখুন= ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক

  • Add_6

    আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

    সুনির্বাচিত শ্লোকঃ-

    * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।