শ্রীমদ্ভগবদ গীতা'র নিম্নোক্ত শ্লোকের তাৎপর্য সম্পর্কে আপনার মতামত জানান।

শ্রীল প্রভুপাদ প্রণীত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা'র প্রতিটি শ্লোকের অনুবাদ, গীতার গান ও তাৎপর্য-

তাৎপর্যটি মোবাইলে ভালোভাবে দেখতে আপনার মোবাইলটি রোটেট করুন (ঘুরান)।
  • শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১৮শ অধ্যায়: মোক্ষযোগ- এর সার সংক্ষেপ:-

    লেখক- শ্রী স্বপন কুমার রায়
    মহা ব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংক৷
    সাধারণ সম্পাদক, শ্রী শ্রী গীতাসংঘ, মতিঝিল শাখা, ঢাকা৷
    --------------------------------------
              সমগ্র গীতা শাস্ত্রের সারবস্তু কর্ম, ভক্তি ও জ্ঞানের মূলতত্ত্ব অনুশীলনে নিষ্কাম ও অনন্য ভক্তিসহকারে ভগবৎ চরণে আত্মনিবেদনের মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যুময় সংসার বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে কিভাবে পরমাত্মাকে মোক্ষলাভ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে শ্রীমদ্ভগবত গীতার এই শেষ অধ্যায়ে। আর এ কারণেই অধ্যায়টির নাম হয়েছে মোক্ষযোগ। অধ্যায়টি ৭৮ শ্লোক বিশিষ্ট এবং গীতার সবচেয়ে বৃহৎ অধ্যায় যা শুরু হয়েছে অর্জুনের উক্তি দিয়ে। অর্জুন জানতে চাইলেন যে সন্ন্যাস ও ত্যাগের মধ্যে প্রভেদ কী? তদুত্তোরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন-কাম্য কর্মের ত্যাগকে সন্ন্যাস বলে, আর সকল কর্মের ফলাকংখা বর্জনকে ত্যাগ বলা হয়। এক্ষেত্রে কাম্য কর্মের ত্যাগ বলতে বুঝানো হয়েছে, যে সকল কাজের সাথে কামনাযুক্ত আছে সেসব কাজকে পরিত্যাগ করতে হবে। সন্ন্যাসীগণ কামনাযুক্ত কোন কর্মের অনুষ্ঠান করেন না। কিন্তু ভগবানের প্রীতার্থে যা ফলাকাংখা বর্জনকেই নির্দেশ করে থাকে। প্রকারান্তরে বলতে গেলে প্রকারান্তরে বলতে গেলে ত্যাগ ও সন্ন্যাস শব্দদ্বয়ের মর্মার্থ অভিন্ন। তবে কেউ কেউ সংসারের কাজকর্ম পরিত্যাগ করাকেই সন্ন্যাস বলে থাকেন। এটা সঠিক নয়। কারণ, দেহী মাত্রই কর্ম করতে হয়। কামনা শূন্যভাবে এবং কর্তব্যবোধে কর্ম সম্পাদনে কোন দোষ নেই। নির্লিপ্তভাবে কৃত কর্ম কখনও কর্তাকে কর্মবন্ধনে আবদ্ধ করে না। বরং সে কর্ম ভগবানকে আরাধনা করার সমতুল্য। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আরও বললেন, পৃথিবীতে এমন কোন কর্ম নেই যা সম্পূর্ণ দোষহীন। কর্ম করতে গেলে কিছু দোষ ত্রুটি হতে পারে। তাই বলে স্বধর্মজাত কর্ম কখনো পরিত্যাজ্য নয়। দোষ বা ত্রুটিযুক্ত স্বধর্ম পালন করা অপেক্ষাকৃত দোষহীনভাবে পরধর্ম পালন অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর। প্রকৃতপক্ষে সকল কর্মের ফল ভগবানে অর্পণ-পূর্বক আসত্তিহীন হয়ে,‘কর্তব্য’ অর্থে কর্ম করে যাওয়াই শ্রেয়। সকল কর্মের ফলভাগ গোবিন্দে সমর্পণ করে তাঁর শরণাপন্ন হতে পারলে ভগবানই সে ভক্তকে মু্ক্তি দিয়ে থাকেন-এমন আশ্বাস শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে প্রদান করেছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এমন অভয় বাণী শ্রবণে অর্জুনের সকল ভয়, দ্বিধা, সংকোচ ঘুচে গেল এবং তিনি পুনঃ ধনুক হাতে নিয়ে যুদ্ধে রত হওয়ার সংকল্প করলেন। এ ভাবেই ভগবানের বাণী শ্রবণে ভক্ত অর্জুনের মোক্ষলাভ হলো অষ্টাদশ অধ্যায়ে।। হরে কৃষ্ণ।। জয় শ্রীকৃষ্ণ ।।

  • শ্রীমদ্ভগবদগীতার সারমর্ম
  • Add_6

    * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।

    Say something

    Please enter name.
    Please enter valid email adress.
    Please enter your comment.