অনুবাদ : ধৃতরাষ্ট্র জিজ্ঞাসা করলেন- হে সঞ্জয় ! ধর্মক্ষেত্রে যুদ্ধ করার মানসে সমবেত হয়ে আমার পুত্র এবং পান্ডুর পুত্রেরা তারপর কি করল ?
শ্লোক, শ্লোকের অনুবাদ, গীতার গান, ও তাৎপর্য অডিও =>
তাৎপর্যঃ-
শ্রীমদ্ভগবদ গীতা হচ্ছে বহুজন-পঠিত ভগবৎ-তত্ত্ববিজ্ঞান, যাঁর মর্ম গীতা-মাহাত্ম্যে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভগবদ্গীতা পাঠ করতে হয় ভগবৎ-তত্ত্বদর্শী কৃষ্ণভক্তের তত্ত্বাবধানে। ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে গীতার বিশ্লেষণ করা কখনই উচিত নয়। গীতার যথাযথ অর্থ উপলব্ধি করার দৃষ্টান্ত ভগবদ্গীতাই আমাদের সামনে তুলে ধরেছে অর্জুনের মাধ্যমে, যিনি স্বয়ং ভগবানের কাছ থেকে সরাসরিভাবে এই গীতার জ্ঞান লাভ করেছিলেন। অর্জুন ঠিক যেভাবে গীতার মর্ম উপলব্ধি করেছিলেন, ঠিক সেই দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোবৃত্তি নিয়ে সকলেরই গীতা পাঠ করা উচিত। তা হলেই গীতার যথাযথ মর্ম উপলব্ধি করা সম্ভব।
সঞ্জয় ছিলেন ভগবানের অবতার ব্যাসদেবের শিষ্য, তাই ব্যাসদেবের আশীর্বাদে তিনি দিব্যচক্ষু প্রাপ্ত হন, যার ফলে তিনি ঘরে বসেও কুরুক্ষেত্রের সমস্ত ঘটনা দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই, জন্মান্ধ হস্তিনাপুরের রাজা ধৃতরাষ্ট্র তাঁকে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। যেকোন যুদ্ধের পরিণতি কি হতে পারে তা একমাত্র ভগবানই বলতে পারেন। ভগবানই জানতেন এই যুদ্ধে শুধুমাত্র পঞ্চপান্ডব ব্যতীত সকলেই নিহত হবে। বেদে বলা হয়েছে, কুরুক্ষেত্র হচ্ছে অতি পবিত্র স্থান, যা দেবতারাও পূজা করে থাকেন। যেহেতু ভগবানের ইচ্ছায় এইসমস্ত লোকের মৃত্যু হতে যাচ্ছে তাই তিনি কুরুক্ষেত্র নামক পূণ্যভূমিতে তাদের মৃত্যুর ব্যবস্থা করলেন যাতে অন্ততঃ মৃত্যুর পর এই পুণ্যভূমির প্রভাবে তাদের উর্দ্ধগতি নিশ্চিত হয়।