শ্রীমদ্ভগবদ গীতা'র নিম্নোক্ত শ্লোকের তাৎপর্য সম্পর্কে আপনার মতামত জানান।

শ্রীল প্রভুপাদ প্রণীত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা'র প্রতিটি শ্লোকের অনুবাদ, গীতার গান ও তাৎপর্য-

তাৎপর্যটি মোবাইলে ভালোভাবে দেখতে আপনার মোবাইলটি রোটেট করুন (ঘুরান)।
  • শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১০ম অধ্যায়:- বিভূতিযোগ-এর সার সংক্ষেপ:-

    লেখক- শ্রী স্বপন কুমার রায়
    মহা ব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংক৷
    সাধারণ সম্পাদক, শ্রী শ্রী গীতাসংঘ, মতিঝিল শাখা, ঢাকা৷
    --------------------------------------
              গীতার দশম অধ্যায়টির নাম বিভূতিযোগ। বিভূতি শব্দের অর্থ প্রকাশ। ভগবানের বিভূতি মানে ভগবানের অলৌকিক শক্তির নানারূপ প্রকাশ। এই অধ্যায়ের মূখ্য আলোচ্য বিষয়টিই হচ্ছে ভগবানের বিভূতি। তাই ইহা বিভূতিযোগ নামে অভিহিত। অধ্যায়টি শুরু হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের উক্তি দিয়েঁই। তিনি অর্জুনের হিতার্থে তাঁর পরম রহস্যময় প্রভাব সম্পর্কে অধিক কিছু বলবেন বলে আশ্বস্ত করলেন। তিনি বললেন, তাঁর প্রভাব বা উৎপত্তির বিষয়ে মনুষ্যগণ তো বটেই, এমনকি দেবগণ ও জ্ঞাত নহেন। কারণ, তিনি দেব ও মহর্ষিগণেরও আদিকারণ। বস্তুত ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সমস্ত জগতেরই উৎপত্তির কারণ এবং তাঁর থেকেই সমগ্র জগৎ প্রবর্তিত হয়। কাজেই জ্ঞানী ভক্তগণ ইহা জেনে তাকে ভজনা করেন। যারা আত্মসমর্পণপূর্বক তাঁর ভজনা করেন, তিনি তাদেরকে সৎ বুদ্ধি প্রদান করেন এবং তাদের মনে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দেন যাতে সেই আলোকে ভক্ত তাঁকেই লাভ করতে পারে। শ্রীকৃষ্ণ সমীপে এত কিছু শ্রবণ করে অর্জুন বললেন যে, তাঁর কথায় তার মোহান্ধকার দূরীভূত হয়েছে বটে কিন্তু তাঁর বিভূতির বিষয়ে জানবার একান্ত বাসনা জেগেছে। তখন অর্জুনের এ বাসনা পূরণার্থে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অনন্ত বিভূতির কথা বলতে লাগলেন। ভগবান তাঁর অনন্ত বিভূতি সম্পর্কে অর্জুনকে যা বলেছেন তার মর্মার্থ করলে এটাই দাঁড়ায় যে, এ জগতে যা কিছু বৃহৎ, মহৎ, মহান, বিশাল, গুণবান, কল্যাণকর ও সুন্দর তার মধ্যেই তাঁর বিভূতি। ঈশ্বর আছেন বলেই জগতটাকে এত সুন্দর লাগে, সর্বভূতে তিনি অন্তরাত্মারূপে বিরাজমান বলেই জগতের নর-নারী, বৃক্ষলতা, পশু-পাখী- সবই মনোরম ও আকর্ষণীয়। প্রেমময় ভগবানের উপস্থিতির কারণেই সর্বভূতে প্রেমের সম্পর্ক চিরন্তর বিদ্যমান এবং এই প্রেম ও ভালবাসা জগত সংসারকে সুখ, আনন্দ ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করছে। অধ্যায়ের শেষ শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাই তাঁর অনন্ত বিভূতির উপসংহার টেনে অর্জুনকে বললেন, শুধু এটুকুই তার জানা প্রয়োজন যে তিনি তাঁর একাংশ মাত্র দ্বারা সমস্ত জগতকে ধারণ করে অবস্থিত আছেন। এভাবেই এ অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অনন্ত বিভূতির কথা ব্যক্ত করলেন শ্রীমান অর্জুনের সমীপে। জয় শ্রীকৃষ্ণ ।।

  • শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১১শ অধ্যায়: বিশ্বরূপদর্শনযোগ- এর সার সংক্ষেপ দেখুন
  • Add_6

    * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।