সনাতন ধর্মের সুনির্বাচিত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু গ্রন্থ ।
আপনার মোবাইলে ভালোভাবে দেখার জন্য মোবাইলটি রোটেন করুন ( ঘুরান) ।
প্রকৃতির নিয়ম
কর্মের অবশ্যম্ভাবী ফল
কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কর্তৃক রচিত ইংরেজী The Laws of Nature : An Infallible Justice গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ
ভূমিকা ,
১ম অধ্যায়, ভগবান এবং কর্মনীতি =>
কর্মবন্ধন ছিন্ন করার পন্থা ,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সব কিছুর নিয়ন্তা এবং প্রভু ,
ভগবান এবং তাঁর শক্তিরাশি ,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মর্যাদা ,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ —আপাতদৃষ্টিতে পরস্পর বিরোধী তত্ত্ব ,
ভগবান এবং তাঁর শক্তি — এক এবং ভিন্নও ,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পরম শুদ্ধ ,
শরীরের পরিসীমার ওপরে ,
পারমার্থিক এবং জড়জাগতিক শিক্ষা ,
জ্ঞান বনাম অজ্ঞানতা ,
শ্রীভগবানকে জানার পন্থা ,
ব্রহ্মজ্যোতির ঊর্ধ্বে । ,
দ্বিতীয় অধ্যায় , খারাপ কর্ম ,
তৃতীয় অধ্যায় , শান্তির সূত্র ,
ভূমিকা
নিম্নশ্রেণীর পশুদের থেকে উচ্চতর এক বুদ্ধিবৃত্তিগত জীবরূপে মানুষ নিজেকে নিয়ে গর্ব বোধ করে । অথচ যখন সে তার লাভের জন্য প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনার্থে তার বুদ্ধির প্রয়োগ করে , তখন সে যেন অপরিচালনীয় । সমস্যার গভীরতর পঙ্কিলভূমিতে ডুবে যেতে থাকে । যানবাহনের ইঞ্জিনের ফলে আমাদের গমনাগমন আরও দ্রুততর হয়েছে , কিন্তু তার ফলস্বরূপ শ্বাসরুদ্ধকর বায়ুদূষণ , ' গ্রীন হাউস ইফেক্ট ' , এবং ভয়ঙ্করভাবে তেলের উপর নির্ভরতা বেড়েছে । আণবিক শক্তির উৎপাদন আমাদের সস্তায় শক্তি প্রদান করছে , কিন্তু তা আমাদের বিপুল ধ্বংসকারী অস্ত্র , চেরোনবিলের মত বিপর্যয় ও বিপজ্জনক তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের দিকেও নিয়ে যাচ্ছে । আধুনিক কৃষিব্যবসায় নানান ধরনের উৎপাদন হচ্ছে এবং বৃহৎ বিভাগীয় বিপনীগুলিতে খাদ্যেরও প্রাচুর্য রয়েছে , কিন্তু এর ফলে পারিবারিক কৃষিজমির মৃত্যু ঘটছে , ভূনিম্ন জলস্তরের দূষণ ঘটছে , মাটির মূল্যবান সর্বোচ্চ স্তরের ক্ষতি হচ্ছে এবং আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে ।
এটা পরিষ্কার যে আমাদের নিজের প্রয়োজনে প্রকৃতির বিধানকে পরিচালিত করার চেষ্টা করতে গিয়ে আমরা ' কিছু ' হারাচ্ছি । সেই ' কিছু'টি কি ? উপনিষদ নামক প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান গ্রন্থের ঈশোপনিষদের প্রথম মন্ত্রটির মধ্যেই আমরা প্রাপ্ত হই যে , “ এই বিশ্বচরাচরে যা কিছু আছে তার মালিক পরমেশ্বর ভগবান এবং সবকিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন । একজনের তাই সেইটুকু জিনিসই গ্রহণ করা উচিত যেটুকু তার প্রয়োজন , যেটুকু তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে , এবং সবকিছুই যে ভগবানের সম্পত্তি তা ভালভাবে জেনে , কখনই অন্যের জিনিস গ্রহণ করা উচিত নয় ।
" প্রকৃতিতে আমরা দেখি যে এই সূত্রই কাজ করছে । ভগবানের দ্বারা গঠিত হয়ে প্রকৃতির আয়োজন পশু ও পক্ষীদের প্রতিপালন করছে । হাতী দৈনিক পঞ্চাশ কিলো খাদ্য গ্রহণ করছে আর পিঁপড়ে তার জন্য কয়েকটি শস্যদানা গ্রহণ করছে । মানুষ যদি হস্তক্ষেপ না করে তাহলে প্রাকৃতিক ভারসাম্যই সকল জীবকে পালন করে ।
যে কোন কৃষিবিদ আপনাকে বলবে যে এই পৃথিবী তার বর্তমান সখ জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর জন্য শস্য উৎপাদন করতে পারে । কিন্তু রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধ , অন্যায় ভূমিবণ্টন , খাদ্যের বদলে হা কফি ও তামাক জাতীয় পণ্যের উৎপাদন এবং অপব্যবহারজনিত ক্ষয়ের ফলে আমেরিকার মতো ধনী দেশেও লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষুধার্ত থাকছে ।
যিনি প্রকৃতির বিধান সৃষ্টি করেছেন , আমাদের অবশ্যই সেই পরমেশ্বর ভগবানের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতির বিধানকে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে । তাঁর দৃষ্টিতে এই পৃথিবীর সকল অধিবাসীগণ তা সে তুমি , জল বা বায়ুর জীবই হোক না কেন — সকলেই তাঁর পুত্র কন্যা । আর আমরা মনুষ্য অধিবাসীরা , তাঁর জীবদের মধ্যে অতি উন্নত " গণ এই সমস্ত পুত্র কন্যাদের সঙ্গে নির্মম ব্যবহার করছি । আমরা পশু হত্যা করছি , অরণ্য ধ্বংস করছি । অতএব আমরা যে দুর্ভিক্ষ , মহামারী , যুদ্ধ , অন্তহীন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভোগ করব , এতে কি আশ্চর্যের কিছু আছে ?
আমাদের সমস্যার উৎসটি হচ্ছে কারোর অধিকারসমূহের বিবেচনার অতীত ইন্দ্রিয় সন্তুষ্টির আকাঙ্ক্ষা । এই সমস্ত অধিকারগুলি হচ্ছে পিতার সঙ্গে সম্পর্কিত সন্তানের অধিকারসমূহ । প্রত্যেক সন্তানেরই তার পিতার সম্পদের অংশীদারের অধিকার রয়েছে । তাই , পৃথিবীতে সমস্ত জীবের মধ্যে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি নির্ভর করছে ভগবানের সর্বজনীন পিতৃত্বের উপর ।
আমরা দেখেছি যে বৈদিক সাহিত্য ঘোষণা করছে যে পরমেশ্বর ভগবানই হচ্ছেন সমগ্র সৃষ্টির মালিক ও নিয়স্তা । একটি ঘাসও তাঁর অনুমোদন ব্যতীত নড়ে না । তিনি হচ্ছেন সামগ্রিকভাবে পূর্ণ । তাহলে আমাদের অবস্থানটি কী ? বৈদিক সাহিত্যেই আবার আমরা এর উত্তরটি পাই । প্রকৃতিগতভাবে আমাদের স্বাভাবিক ভূমিকাটি হচ্ছে ভগবানের সেবা করা । তিনি পরম ভোক্তা আর আমরা হচ্ছি তাঁর সেবা করার মাধ্যমে তাঁর ভোগে অংশগ্রহণকারী ; আলাদাভাবে ভোগ করার প্রচেষ্টার মাধ্যমে নয় । আমাদের নগণ্য স্বতন্ত্রতা তার সামগ্রিক স্বতন্ত্রতার এক ক্ষুদ্র প্রকাশ মাত্র । তাঁর কাছ থেকে ভিন্নভাবে উপভোগের চেষ্টা হচ্ছে আমাদের সেই নগণ্য স্বতন্ত্রতার অপব্যবহার , যার ফলস্বরূপ আমাদের বর্তমান সংকটাবস্থা ।
আমরা কেন আমাদের স্বাধীনতার অপব্যবহার করি ? কেননা আমালে বাস্তব স্বভাবে আমরা হচ্ছি অল্প । বৈদিক জ্ঞানের প্রথম শিক্ষাই হচ্ছে যে আমরা দেহ নই বরং আমরা হচ্ছি চিন্ময় আত্মা - চেতনার অংশকণা মাত্র দেহাভ্যন্তরে বাস করে তাকে প্রাণবন্ত করে তোলে । ঠিক যেমন , একটি গাড়ি হচ্ছে যন্ত্র আর সেখানে একজন চালক থাকে । সে গাড়িটিকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে । তেমনই দেহ হচ্ছে একটি যন্ত্র আর চিন্ময় আত্মা সেটিকে সচল করে ভগবানের জড়া প্রকৃতির মধ্যেকার অনুভূতি ও ভাবনা প্রাপ্ত হয় । আমরা যখন আমাদের প্রকৃত পরিচয় হৃদয়ঙ্গম করতে পারি । যে আমরা হচ্ছি চিন্ময় আত্মা এবং আমরা পরমাত্মা ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ । বিশেষ তখন আমরা এও হৃদয়ঙ্গম করি যে ঠিক যেভাবে হাত বা পা সমগ্র শরীরের সেবা করে আমরাও সেভাবে তাঁর সেবার জন্য ।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে যে আমাদের পরিচিতি যে দেহ হতে ভিন্ন সেটি আমরা ভুলে গিয়ে ভুলভাবে নিজেদের দেহকে আমি মনে করি । যদি কোন ব্যক্তি আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করে সে নিজেকে একজন আমেরিকান বলে মনে করে , যদি সে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করে তবে নিজেকে সে একজন ফ্রান্সের মানুষ বিবেচনা করে ইত্যাদি । আমরা আমাদেরকে আমাদের লিঙ্গ , জাতি , বংশ , সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি অনুসারেও পরিচয় করাই । কিন্তু এই সমস্ত গুণসমূহ কেবলমাত্র দেহের উপরই প্রয়োগ করা যায় , আত্মার উপরে নয় । তাই , এই সমস্ত কিছুকে আমাদের প্রকৃত পরিচয় রূপে গ্রহণ করার ফলে আমরা ভগবান এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটিকে ভুলে যাই আর নিজেদেরকে তাঁর জড়া প্রকৃতির স্বাধীন উপভোক্তারূপে দর্শন করি ।
বৈদিক সাহিত্যে বর্ণনা করা হয়েছে যে মনুষ্য কার্যাবলী যখন ভগবৎ সেবা বিহীন থাকে তখন কর্মের বিধান নামক সূক্ষ্ম আইন দ্বারা তা পরিচালিত হয় । এই হচ্ছে সেই ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার আইন যেখানে এই পৃথিবীতে আমরা যা করি তার ফলস্বরূপ সুখ অথবা দুঃখ প্রাপ্ত হই । আমি যদি অন্য জীবের ব্যথার কারণ হই তাহলে নিশ্চিতরূপে জীবন চক্রের গতিতে আমি তেমনি ব্যথা ভোগ করতে বাধ্য । এবং যদি আমি কারোর জীবনে সুখ আনয়ন করি , তেমনি সুখ আমার জন্যও অপেক্ষা করবে । প্রতিটি মুহূর্তে , প্রতিটি নিঃশ্বাসে , আমাদের এই জড় জগতের কার্যকলাপ সুখ ও দুঃখের কারণ । এই অন্তহীন ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া পূর্ণ হতে এক জন্মেরও বেশী প্রয়োজন । তাই পুনর্জন্ম রয়েছে ।
এখনও পর্যন্ত পুনর্জন্মের ধারণা ভারত ও প্রাচ্য দেশগুলিতে সর্বজনীনভাবে গৃহীত হলেও , পাশ্চাত্যে এর কিছু সমর্থক পাওয়া যায় । কয়েক শতাব্দী পূর্বেই চার্চ এই পুনর্জন্মের দর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে । সে অনেকদিন আগেকার ইতিহাস , ৩০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সে এক দীর্ঘ কাহিনী । এই বিষয়ের অবতারণার সুযোগ এই গ্রে নেই , তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ধারণা নস্যাৎ করার ফলে বিশ্বের মতামতের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের মানুষের দিক থেকে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয় ।
যাই হোক , গত কয়েক দশকে পাশ্চাত্যের অনেক চিন্তাবিদ পুনর্জন্মের ধারণাকে ঐকান্তিকভাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন । যেমন এমোরি ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুলের ডঃ মাইকেল সাবোম " Recollections of Death : A Medical Investigation " ( ১৯৮২ ) নামে একটি বই লিখেছেন , যেখানে তার বিস্তৃত গবেষণায় হৃদরোগের রুগীদের দেহের বহির্গমন অভিজ্ঞতা প্রতিপন্ন করেছেন । সাবোম লিখেছেন “ কোন কোন ধর্মীয় মতবাদ অনুযায়ী দেহগত চূড়ান্ত মৃত্যুর পরেও আত্মার যেমন অস্তিত্ব থাকে সেইভাবে দেহগত মস্তিষ্ক থেকে ভিন্ন হয়ে মনও কি অস্তিত্ব রক্ষা করে ? ”
আর ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির এক মনস্তত্ত্ববিদ ডঃ আয়ান স্টিভেনসন তার Twenty Cases Suggestive of Reincarnation ( ১৯৬৬ ) নামক গ্রন্থে শিশুদের পূর্বজন্মের স্মৃতি প্রামাণিকভাবে সত্য প্রতিপাদন করেছেন । অন্যান্য আরও নানা পন্থার গবেষণার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে পাশ্চাত্যের প্রথমসাড়ির বিজ্ঞানীদের কাছেও পুনর্জন্মের ধারণাটি শীঘ্রই স্বীকৃতি লাভ করতে চলেছে ।
মানুষের নিয়তি বিষয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বৈদিক সাহিত্যে আত্মার পুনর্জন্মকে কেন্দ্রীয় বিষয় করা হয়েছে । যুক্তিটি স্পষ্ট মনে হয় তখনই যখন আমরা একটি সাধারণ প্রশ্ন বিবেচনা করি যে কেন একটি শিশু আমেরিকার ধনী পিতামাতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করছে আর আরেকটি শিশু ইথিওপীয়ার ক্ষুধার্ত কৃষক পরিবারে জন্মাচ্ছে ? কেবলমাত্র কর্ম ও পুনর্জন্মের মতবাদই – পুরস্কার ও শাস্তি যা বহু জীবনে নীত হয় — এ এই প্রশ্নের সহজ উত্তর দিতে পারে ।
প্রকৃতির নিয়ম , যেমন কর্ম তেমন ফল গ্রন্থটি প্রাথমিকভাবে দুটি উৎস থেকে সংকলিত হয়েছে । প্রথমটি হল কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ দ্বারা শ্রীঈশোপনিষদের উপর প্রদত্ত প্রবচনমালা । এই প্রবচনসমূহ তিনি ১৯৭০ সালের বসন্তকালে লস এঞ্জেলেসে প্রদান করেছিলেন । এই প্রবচনে কিভাবে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে সেকথা বিস্তৃতভাবে বলা হয়েছে । দ্বিতীয় উৎসটি হচ্ছে শ্রীল প্রভুপাদের শ্রীমদ্ভাগবতের অনুবাদ ও তাৎপর্য । তাঁর এই বিশাল মূল্যবান গ্রন্থের তৃতীয় স্বন্ধের “ ভগবান কপিলদের কর্তৃক অশুভ সকাম কর্মের বর্ণনা " নামক ত্রিংশতি অধ্যায় হতে এই গ্রন্থের দ্বিতীয় অংশটি গৃহীত হয়েছে । এই দ্বিতীয়ভাগে ভগবানের আইন লঙ্ঘনকারী পাপাত্মাদের ভাগ্য সম্বন্ধে জানতে পারব যারা কর্মফল অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করে ।
শ্রীল প্রভুপাদ তাঁর এক ঈশোপনিষদ প্রবচনে বলছেন , “ তুমি যদি ভাল কাজ কর , তুমি পরবর্তী জন্মে তথাকথিত আনন্দ উপভোগ করবে কিন্তু তুমি জন্ম মৃত্যুর চক্রের বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে । যদি তুমি খারাপ কর্ম কর তাহলে তুমি পাপের ফল ভোগ করবে এবং তোমাকেও জন্ম মৃত্যুর বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে হবে । কিন্তু তুমি যদি কৃষ্ণের জন্য কাজ কর সেখানে খারাপ বা ভালো এরকম কোন প্রতিক্রিয়া নেই এবং মৃত্যুর সময় তুমি কৃষ্ণের কাছে ফিরে যাবে । কর্মবন্ধন ছিন্ন করার এটিই একমাত্র উপায় । ”
এইভাবে ইতিপূর্বে উল্লেখিত সামগ্রিক সামাজিক দুঃখ কষ্টও লাঘব হতে পারে । আমরা যতক্ষণ এই জগতে রয়েছি ততক্ষণ সামগ্রিকভাবে দুঃখ মুক্ত হবার কোন সুযোগ নেই কেননা বৈদিক শিক্ষায় স্বীকার করা হয়েছে এই জড় জগত স্বাভাবিকভাবেই একটি দুঃখালয় । বিশাল প্রাকৃতিক শক্তির মাঝে শেষ পর্যন্ত আমরা শক্তিহীন । অতএব , প্রকৃতির নিয়ন্তা পরমেশ্বর ভগবানের ইচ্ছাটি জানা ও অনুসরণ করাই একমাত্র দুঃখ নিবৃত্তির আশা । প্রকৃতির নিয়ম : যেমন কর্ম তেমন ফল । একমাত্র ভগবৎ সেবার পথেই আমরা প্রকৃতির বিধানকে অতিক্রম করতে পারি , পুনর্জন্ম চক্রের অবসান ঘটাতে পারি এবং জীবনের পূর্ণতা , ভগবৎ প্রেম লাভ করে তাঁর ধামে স্থান পেতে পারি ।
সুনির্বাচিত গ্রন্থের তালিকা
শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত
(আদি মধ্য ও অন্ত্য)
শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত
ভক্তিরসামৃত সিন্ধু
শ্রীকৃষ্ণকর্ণামৃতম্
শ্রীশিক্ষাষ্টক
শ্রীভক্তিকল্পবৃক্ষ
শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত আদিলীলা
শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত মধ্যলীলা- ১ম খন্ড
শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত মধ্যলীলা- ২য় খন্ড
শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত অন্ত্যলীলা
শ্রীমদ্ভাগবত ১ম স্কন্ধ
শ্রীমদ্ভাগবত ২য় স্কন্ধ
শ্রীমদ্ভাগবত ৩য় স্কন্ধ - ১ম ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ৩য় স্কন্ধ - ২য় ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ৪র্থ স্কন্ধ - ১ম ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ৪র্থ স্কন্ধ - ২য় ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ৫ম স্কন্ধ
শ্রীমদ্ভাগবত ৬ষ্ঠ স্কন্ধ
শ্রীমদ্ভাগবত ৭ম স্কন্ধ
শ্রীমদ্ভাগবত ৮ম স্কন্ধ
শ্রীমদ্ভাগবত ৯ম স্কন্ধ
শ্রীমদ্ভাগবত ১০ম স্কন্ধ - ১ম ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ১০ম স্কন্ধ - ২য় ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ১০ম স্কন্ধ - ৩য় ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ১০ম স্কন্ধ - ৪র্থ ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ১১শ স্কন্ধ - ১ম ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ১১শ স্কন্ধ - ২য় ভাগ
শ্রীমদ্ভাগবত ১২শ স্কন্ধ
অপ্রাকৃত কৃষ্ণপ্রসাদ
কুন্তীদেবীর শিক্ষা !
শ্রীমদ্ভাগবত
প্রকৃতির নিয়ম
কর্মের অবশ্যম্ভাবী ফল
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
ভক্তবৎসল শ্রীনৃসিংহদেব
জাগ্রত চেতনা
ভক্ত প্রশিক্ষণ
ভক্তিগীতি - সঞ্চয়ন
একাদশী মাহাত্ম্য
গৌর-কৃষ্ণ-জগন্নাথ
গৃহে বসে কৃষ্ণ ভজন
শ্রীহরিনামামৃত
শ্রীঈশোপনিষদ
জগতে আমরা কোথায় ?
জীবন আসে জীবন থেকে
কীর্তন করুন এবং সুখী হোন
কৃষ্ণভাবনাময় জীবনের প্রস্তুতি
কৃষ্ণভক্তি অনুশীলনের পন্থা
শ্রীকৃষ্ণের সন্ধানে
নিত্য আনন্দের পথ নির্দেশ
পরলোকে সুগম যাত্রা
যুগাচার্য শ্রীল প্রভুপাদ
প্রেমভক্তি চন্দ্রিকা
পুনরাগমন
মহাজন উপদেশ
বাল্মীকি রামায়ণ
শ্রীউপদেশামৃত
বৈষ্ণব সদাচার
বৈষ্ণব শিক্ষা ও সাধনা
মহাজন উপদেশ
সুনির্বাচিত শ্লোকঃ-
*
ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
জপ-কীর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 2 দশ নামাপরাধ
*
আচার-আচরণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
মৃত্যু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক (মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র)
*
ভক্ত সম্বন্ধীয় গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 , 2 ,
3 ,
4 ,
5 ,
*
ভক্তিমূলক সেবা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 , 2 ,
3 ,
4 ,
5 ,
*
কর্তব্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
গুরু / শিষ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 ,
2 ,
3 ,
*
মানবজন্ম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
নির্বিশেষবাদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
কলিযুগ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
জ্ঞান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোকে
Page => 1 , 2
*
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 , 2 ,
3 , 4 ,
5 ,
6 ,
*
মায়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 , 2 ,
3 ,
*
অভক্ত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 , 2 ,
*
আত্মা-পরমাত্মা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
জড় জগৎ ও চিন্ময় জগৎ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
যোগ, তপশ্চর্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
বর্ণাশ্রম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
শ্রীমদ্ভাগবতের গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 , 2 ,
3 , 4 ,
5 , 6 ,
7 , 8 ,
9 , 10 ,
11 , 12 ,
*
শ্রীমদ্ভাগবত গীতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 , 2 ,
3 , 4 ,
5 , 6
*
চৈতন্য চরিতামৃত থেকে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
Page => 1 , 2
*
পূরাণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
চাণক্য পণ্ডিতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
ব্রহ্মসংহিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
উপনিষদের গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
শিক্ষাষ্টক এর গুরুত্বপূর্ণ শ্লোকগুলো
*
ভক্তিরসামৃত সিন্ধু থেকে গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক
*
বিবিধ গ্রন্থের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শ্লোক
Page => 1 , 2 ,
3 , 4 ,
5 , 6 ,
দশাবতার স্তোত্র
এছাড়াও দেখুন
*
শ্রীভগবানের মুখে যুদ্ধের কথা কেন?
*
ধর্ম্ম কি বিজ্ঞান ছাড়া ? ভোগবাদীদের কতিপয় যুক্তি!
*
সত্ত্ব, রজো ও তমোগুণে প্রভাবিত মানুষের লক্ষণঃ
*
আমাদের বিশেষ বিশেষ ধরণের স্বভাব, আচরণ কেন?
*
প্রণাম মন্ত্র
For Ad Contact
শ্রী শ্রী দামোদরাষ্টকম্
শ্রীশ্রীগুর্বষ্টকম , গুরুদেবের বন্দনা
শ্রীল প্রভুপাদ এর অবদান-
জপ-কীর্তন কেন করবেন ?
*
সত্যিই কি ঈশ্বর আছেন?
*
বিজ্ঞানী নিউটন কর্তৃক ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণঃ
*
অযৌক্তিক বিগ ব্যাং থিওরি !
*
সমগ্র সৃষ্টির ব্যাপারে বৈদিক সিদ্ধান্ত কি?
*
সমগ্র সৃষ্টির রহস্য ও উৎস কি?  
*
" জয় শ্রীকৃষ্ণ "