বাংলা সুনির্বাচিত কৌতুক Bangla Selected Jokes

হাসলে নাকি আয়ু বাড়ে- তাই হাসুন, মন খুলে হাসুন, কারণ হাসলে হার্ট / হৃদয় / মন ভালো থাকে => আর মন ভালো- তো সবই ভালো।

অধিকাংশ জোকস অনলাইন থেকে সংগৃহীত- শুধুমাত্র আপনাদের আনন্দ বিধানের জন্যই এই প্রচেষ্টা, কাউকে ছোট বা হেয় করার উদ্দেশ্যে নয় ; তাই এ ব্যাপারে কারো কোন আপত্তি থাকলে এডমিনকে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।

* * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা বা কৌতুক পোস্ট করতে পারেন।   মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয় । ধন্যবাদ * * *

*
1) দরজা খোলাই আছে

শীতের ঠান্ডায় গলা বসে গেছে সাংবাদিকটির, শরীরটাও জ্বর-জ্বর। তাই একটু আগে ভাগেই ছুটি নিয়ে বাড়িতে বিশ্রাম করতে এলেন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর নাম ধরে ডাকতে গিয়ে দেখেন, গলা একেবারে বসে গেছে। তাই অনন্যোপায় হয়ে পাঁচিল টপকে স্ত্রীর ঘরের জানালায় টোকা দিতে দিতে বন্ধ গলায় বললেন, দরজা খোল। প্রায় সঙ্গে-সঙ্গে স্ত্রীর চাপা গলা শোনা গেল, দরজা খোলাই আছে, চলে এসো। সাংবাদিক ফের ফিরে গেলেন অফিসে।


2) আমাদের পচাদা'র অদ্ভুত কাণ্ড

চীন দেশে একবার এক অদ্ভুত প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছিল, পাদ কম্পিটিশান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের থেকে কুখ্যাত পাদুয়ারা এসেছে প্রতিযোগীতায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য। । এই প্রতিযোগীতা দেখার জন্যও এসেছেন শহরের মেয়রসহ অন্যান্য অনেকেই। আমি এবং আমাদের পচাদাও সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম ওদের কান্ড কারখানা দেখার জন্য । হঠাৎ দেখি পচাদা উঠে আয়োজকদের একজনকে ম্যানেজ করে প্রতিযোগিতায় তার নাম লিখিয়ে এসেছে। আমি বললাম পচাদা তুমি এর মধ্যে আবার কি জন্য গেলে, দেখছনা কত বড় বড় প্রতিযোগীরা এসেছে ? তুমি কী দেশের নাম ডুবাতে চাও না-কি? পচাদা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, তুই শুধু দেখ আমি কী করি। যা হোক, আমরা অনুষ্ঠান দেখতে বসে গেলাম ।

সঞ্চালক ঘোষণা দিলেন, এবার আপনাদের সামনে প্রতিযোগীতার প্রথম প্রতিযোগী আসছেন সুদূর জাপান থেকে- দিয়ার তাকিয়োনা মুতিবো। দেখা যাক তিনি কি কৃতিত্ব দেখাতে পারেন। দেখলাম তিনি মঞ্চে উঠে তার শরীরটাকে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রস্তুত হলেন। দর্শকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ। যথারীতি তার পিছন দিকে মাইক্রোফোন রাখা হলো। একটু বাদে ধু .. উ .. ম .. করে বিরাট এক আওয়াজ হলো, সেই সাথে স্টেজের পাশে রাখা ফুলদানিটা পড়ে ভেঙ্গে গেলো। সবাই আঁতকে উঠলেন, সত্যিই কী সাংঘাতিক ! যথারীতি সঞ্চালক মাইকে ঘোষণা দিলেন, বাঃ বাঃ খুব ভালো, খুব ভালো । উনি পাদ মেরে পুরো স্টেজ কাঁপিয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে ফুলদানিটা ভেঙ্গে উনি বিশেষ স্মৃতি রেখেছেন যা এই প্রতিযোগীতায় ওনাকে বিজয়ী হতে সাহায্য করবে । যাহোক, এবার আসছেন আমাদের এদেশেরই গর্ব মি. চিংমুংখা । দেখা যাক তিনি কি কৃতিত্ব দেখাতে পারেন।

যথারীতি চিংমুংখা স্টেজে উঠলেন এবং তার পিছন দিকেও মাইক্রোফোন রাখা হলো। তিনিও একটু বাদে গুড়ুম করে বিকট শব্দে তার পাদকর্ম সম্পন্ন করলেন এবং স্টেজের পাশের ঘোড়ার শিল্পকর্মটি ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেল। সঞ্চালক তো ভীষণ খুশী সেই সাথে সবাই চিংমুংখার নাম ধরে চিৎকার করতে লাগলেন। কিছু বাদে সঞ্চালক আবার ঘোষণা দিলেন এবার আসছেন সুদূর বাংলাদেশ থেকে মি. পচাদা। দেখা যাক তিনি কি বিশেষ কৃতিত্ব দেখাতে পারেন।

নামটা শুনে আমিই আঁতকে উঠলাম। পচাদাকে থামানোর জন্য বললাম দাদা, তোমার যেয়ে কাজ নেই- দেখছনা একজন পাদ মেরে ফুলদানি উড়িয়ে দিল, একজন ঘোড়ার শিল্পকর্ম ভেঙ্গে দিল। এর মধ্যে তুমি যেয়ে কী করবে? পচাদা আমার কোন কথায় কান না দিয়ে সোজা মঞ্চে চলে গেল। পাতলা পচাদাকে দেখে হলরুমের সবাই হাসাহাসি শুরু করল, একপ্রকার টিটকারী দেওয়া শুরু করল। যাহোক, যথারীতি তারও পিছন দিকে মাইক্রোফোন রাখা হলো। কিছু বাদে ফু.উ.স করে কোন রকমে একটু শব্দ হলো। এটি শুনে হল রুমের সবাই আরো হাসিতে ফেটে পড়ল।

ওমা, কিছুক্ষণ বাদে দেখি রুমের সবাই ছুটোছুটি করছে, হুড়মুড়িয়ে রুম থেকে বের হওয়ার প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেছে। কিছু বাদে দেখি পুরো রুমের মধ্যে পিছনে আমি, স্টেজে পচাদা এবং বিশেষ আসনে নাক টিপে বসে আছেন মেয়র সাহবে। হয়তো আর একটু হলেই দম আটকে মারা যেতেন বেচারা। পরে যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলো তখন জানতে পারলাম, পাদ কম্পিটিশিনে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্য প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আমাদের পচাদা।



3) এগারো হয়

দুই আর তিনে কত হয় রফিক?
রফিক আঙুলে গুনে হিসাব করে বলল- পাঁচ, ম্যাডাম।
ম্যাডাম : - ছি রফিক, ক্লাস ওয়ানে পড় তুমি, তবু এই সহজ হিসাব আঙুলে গুনে করতে হয়?
পরদিন ম্যাডাম জিজ্ঞেস করলেন রফিককে- পাঁচ আর পাঁচে কত হয় রফিক?
পকেটে হাত ঢুকিয়ে রফিক উত্তর দিল- ম্যাডাম, এগারো হয়...!


4) কিন্তু আপনার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে

ছোট্ট বাবুকে প্রশ্ন করলেন মিস, ‘ছোট্ট বাবু, বলো তো দেখি, তোমার বাড়ির পাশের পুকুরে তিনটা হাঁস ভাসছে। যদি তুমি একটাকে শটগান দিয়ে গুলি করো, কয়টা থাকবে?’
বাবু খানিকটা ভেবে বললো, ‘উমম, তাহলে গুলির শব্দ শুনে সব উড়ে চলে যাবে, একটাও থাকবে না।’ মিস হেসে বললেন, ‘উঁহু, ছোট্ট বাবু, তিনটার মধ্যে একটাকে গুলি করলে বাকি থাকবে দুটো। কিন্তু তোমার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’
বাবু মুচকি হেসে বললো, ‘তাহলে মিস, আমি একটা প্রশ্ন করি। বলুন তো, আইসক্রীম পার্লার থেকে তিন মহিলা বের হয়েছে কোওন আইসক্রীম কিনে। একজন আইসক্রীম কামড়ে খাচ্ছে, একজন চেটে খাচ্ছে, আরেকজন চুষে খাচ্ছে। এদের মধ্যে কে বিবাহিত?’
মিস খানিকটা ভেবে বললেন, ‘ইয়ে, মানে বাবু, আমার মনে হয় শেষের জন।’ বাবু বললো, ‘উঁহু মিস, এদের মধ্যে যার হাতে বিয়ের আঙটি আছে, সে-ই বিবাহিত, কিন্তু আপনার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।

* * * এসংক্রান্ত আরও মজার কৌতুক =>> * * *


* * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।