30) মডেল স্কুল থেকে চুরি করা জার্সি?
স্কুলের ফুটবল খেলোয়াড়দের জার্সি বারবার চুরি হয়ে যাচ্ছে দেখে মহা চিন্তায় পড়ে গেলেন দলের কোচ। অনেক চিন্তাভাবনা করে চুরি রোধ করতে জার্সি পেছনে এবার লেখা হলো 'মডেল স্কুলের জার্সি'। কিন্তু তার পরও জার্সি চুরি থামল না। তাই কোচ আবারও চিন্তাভাবনা করে নতুন জার্সি তৈরি করলেন।... জার্সির পেছনে লিখলেন, 'মডেল স্কুল থেকে চুরি করা জার্সি।'
31) চায়ের ভিতর আঙ্গুল দিয়ে
অফিসের বস মিটিংয়ে ব্যাস্ত অবস্থায় চাকর কে বলল চা দিতে। চাকর চা নিয়ে আসছে হটাত বস দেখল চাকর চায়ের ভিতরএকটা আঙ্গুল ডুবিয়ে রেখেছে। বস মহা ব্যাস্ততার ভিতর ভুলে গিয়ে চা খেয়ে নিল। পরে মনে হল চাকর তো চায়ের ভিতর আঙ্গুল দিয়ে রেখেছিল। বস ভীষণ রাগে চাকরকে ডাকল...
বসঃ তুই আমার চায়ের ভিতর আঙ্গুল দিয়ে রাখছিলি কেন?
চাকরঃ সার আঙ্গুলে ঘা হয়েছে তাই ডাক্তার বলেছে সবসময় গরম পানির ভিতর ডুবিয়ে রাখতে।
বস রেগে গিয়ে বলল আঙ্গুলটা তোর পাছার ভিতর দিয়ে রাখতে পারলি না…..?
চাকরঃ সার চায়ের আগে আঙ্গুলটা ওখানেই ছিল।
32) এবার আপনার পালা!
আস্ত মুরগির ফ্রাইটা মাত্র আয়েশ করে খেতে বসেছেন জলিল মিঞা, এমন সময় রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারী এসে হাজির। বিনীত ভঙ্গিতে বললেন কর্মচারী, ‘স্যার, কিছু মনে করবেন না। ওই টেবিলে যে বিশালদেহী লোকটাকে দেখছেন, সে আমাদের নিয়মিত কাস্টমার। প্রতিদিন এসে মুরগির ফ্রাই খায়। আজ আমাদের এখানে একটাই ফ্রাই অবশিষ্ট ছিল, সেটা আপনাকে দেওয়া হয়েছে। এখন মুরগির ফ্রাই না পেয়ে ভীষণ খেপেছেন তিনি। যদি কিছু মনে না করেন, আপনার ফ্রাইটা ওনাকে দিই, আপনি অন্য কিছু খান।’
রেস্টুরেন্টের কর্মচারীকে পাত্তাই দিলেন না জলিল। বললেন, ‘ধুত্তোরি, তোমার বিশালদেহীকে অন্য কিছু খেতে বলোগে, যাও।’
কিছুক্ষণ পর হাতা গোটাতে গোটাতে উঠে এল বিশালদেহী। বলল, ‘আমার মুরগি আমাকে দিয়ে দিন। নইলে…’
জলিল: নইলে কী করবেন, শুনি?
বিশালদেহী: আপনি মুরগিটার সাথে যা করবেন, আমিও আপনার সাথে তা-ই করব। আপনি যখন ওর রানটা ছিঁড়বেন, আমিও আপনার রান ছিঁড়ে নেব। আপনি যখন ওর ঘাড়ে কামড় বসাবেন, আমিও আপনার ঘাড়ে কামড় বসাব….!’
জলিল একটুও ঘাবড়ালেন না। ফ্রাই করা মুরগিটার পায়ে আলতো করে চুমু খেয়ে নিজের একটা পা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘এবার আপনার পালা!’
33) একদিনের ছুটি দরকার।
কর্মচারী: স্যার, আমার একদিনের ছুটি দরকার।
বস: বছরে ৩৬৫ দিনে প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে ৫২ সপ্তাহে আপনি সাপ্তাহিক ছুটি পান মোট ১০৪ দিন। বাকি রইল ২৬১ দিন। প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা আপনি অফিসের বাইরে কাটান। সে হিসাবে আপনি অফিসের বাইরে থাকেন মোট ১৭০ দিন। বাকি রইল ৯১ দিন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে আপনাকে চা পানের বিরতি দেওয়া হয়। হিসাব অনুযায়ী, রইল বাকি ৬৮ দিন। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে আপনাকে দুপুরের খাবারের বিরতি দেওয়া হয়। রইল বাকি ২২ দিন। দুদিন আপনি অসুস্থতার জন্য ছুটি কাটান। রইল ২০ দিন। বছরে ১৯ দিন থাকে সরকারি ছুটি, রইল আর ১ দিন। সেই একটা দিনও আপনি ছুটি কাটাতে চান?!
34) বদরাগী
এক অফিসের বস অত্যন্ত বদরাগী। কর্মচারীরা সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকে এবং প্রতিদিন সময়মতো অফিসে হাজির হয়। একদিন এক কর্মচারী এক ঘণ্টা পর অফিসে প্রবেশ করলেন। তাঁর কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা, জামাকাপড়ে ধুলোবালি।
বস: কী ব্যাপার? আজ এত দেরি কেন?
কর্মচারী: স্যার, আমি সময়মতোই অফিসে এসেছিলাম। কিন্তু অফিসের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলাম।
বস: এখন নিশ্চয়ই বলবেন, আপনি এক ঘণ্টা ধরে সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ছিলেন?
35) বড় বোন এবং ছোট বোন
বড় বোন : আচ্ছা, আমি যখন গান করি তখন তুই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকিস কেন?
ছোট বোন : আমি যে গান গাচ্ছি না সেটা অন্যদের বোঝানোর জন্য।
36 ) স্বামী আর স্ত্রী?
একটি আন্তর্মহাদেশীয় ট্রেনে এক ব্যক্তি আর এক মহিলা একই কম্পার্টমেন্টে শোওয়ার জায়গা পেয়েছেন। প্রথমে কিছুক্ষণ উসখুস করলেও দুজনেই খুব ক্লান্ত থাকায় অল্পক্ষণের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। ভদ্রলোক উপরের বার্থে আর ভদ্রমহিলা নীচের বার্থে। মাঝরাতে হঠাৎ ভদ্রলোকের ঘুম ভাংল। তিনি একটু ইতস্তত করে ভদ্রমহিলাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললেন " দেখুন কিছু মনে করবেন না , আমার এত ঠান্ডা লাগছে, আপনি কি দয়া করে আমার সুটকেস থেকে একটা কম্বল বার করে আমায় দেবেন ?" ভদ্রমহিলা উত্তরে বললেন " আমার আরো একটা ভালো আইডিয়া আছে। আজকের রাতের জন্য মনে করি না আমরা স্বামী আর স্ত্রী?" ভদ্রলোক খুব অবাক আর মনে মনে খুব খুশি হয়ে বললেন " ওয়াও!!! দারুণ আইডিয়া!! তাহলে এখন আমার কি করা উচিত?" "উঠুন আর নিজের কম্বল নিজে নিয়ে নিন। "
37 ) তুমি পেদনা পেদনা...
এক লোক বিয়ে. করবে বলে মেয়ে দেখতে গেছে.... লোকটার একটা সমস্যা ছিল,. সে 'ক' কে 'প' বলত !!
মেয়ের অভিভাবক. ছেলেকে জিজ্ঞাসা করল :তোমার নাম কি?
:আমার নাম পাদের । (মানে কাদের)
এই কথা শুনে মেয়ে কেদে উঠল। তখন মেয়েটিকে কাদতে দেখে ছেলেটি তাকে সান্তনা দিতে গিয়ে বলল. . :তুমি পেদনা পেদনা... তুমি পাদলে আমিও কিন্তু পেদে দেব ।