38) এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা!!!"
বিমান চলছে, এক পেসেঞ্জার হঠাৎ করে হুরমুর করে প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়লো। চালকতো অবাক, চালককে আরোও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল। তারপর লোকটা বলল, "হারামজাদা! আমরা টাকা দেব আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা!!!"
39) রাস্তা থেকে সরে গিয়ে মর!
বনের রাস্তার ঠিক মাঝখানটায় এক সিংহ শুয়ে আছে। তা দেখে খুবই ভয়ে ভয়ে একটা শেয়াল তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "মহারাজ, আপনি এই অবেলায়, রোদের মধ্যে, মাঝরাস্তায় শুয়ে আছেন যে?" সিংহ কাতর ভাবে বললো, "আরে সাধে কি শুয়ে আছি? গুলি লেগেছে উঠতে পারছি না।" এটা শুনেই শেয়াল জোর গলায় বললো, "তাই বলে তোর বাবার রাস্তা মনে করে শুয়ে থাকবি নাকি? রাস্তা থেকে সরে গিয়ে মর!"
40) পরীক্ষায় নকল
পরীক্ষায় নকল করে অনেক লোক সফল হয়েছেন। কিন্তু এর উলটোটার উদাহরণও প্রচুর।
পরীক্ষায় প্রশ্ন এলো - শাহজাহান সম্বন্ধে দু-লাইনে লেখো।
ক্লাসের ফার্স্টবয় লিখলো, "যুদ্ধে হারিয়া শাহজাহান ভাঙ্গিয়া পড়িতেন না।"
তার ঠিক পেছনে বসে পচাদা লিখলো, "যুদ্ধে হারিয়া শাহজাহান জাঙ্গিয়া পড়িতেন না।"
41) প্রতিবেশীর কুকুর
প্রতিবেশীর কুকুরটার চিৎকারে বিরক্ত এক দম্পতি। এক মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠেই গেলেন বাড়ির কর্তা। যেতে যেতে বললেন, "অনেক হয়েছে। আজ এর একটা বিহিত করতেই হবে।" এই বলেই হনহন করে বেরিয়ে গেলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ফিরলেন। স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, "কি বিহিত করে এলে, শুনি?" কর্তা বললেন, "কুকুরটাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছি। এবার বুঝুক, প্রতিবেশীর কুকুরের চিৎকার কেমন লাগে!"
42) এক কবুতর
এক কবুতর একটু নিচু হয়ে উড়ছিল...হঠাৎ এক গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো এক লোক তাকে নিয়ে গিয়ে খাঁচায় রাখল। যখন কবুতরের জ্ঞান ফিরল,তখন সে খাঁচার ভিতর নিজেকে দেখে বলল, "হায় আল্লাহ! আমি জেলে...!! গাড়িওয়ালা কি মারা গেছে নাকি....??
43) এতক্ষণ কী করতাছিলাম?
ফুটপাতে এক বেকারকে শুয়ে থাকতে দেখে এক লোক বলল,"ঐ ব্যাটা আরামে ঘুমায় আছস, কাম করতে পারছ না? বেকার: কাম কইরা কী করমু?
লোক: কাম করলে টাকা কামাইতে পারবি|
বেকার: টাকা কামাইয়া কী করমু?
লোক: টাকা কামাইলে বাড়ি-গাড়ি হইব|
বেকার: বাড়ি- গাড়ি দিয়া কী করমু?
লোক: আরামে ঘুমাইতে পারবি|
বেকার: তো আমি এতক্ষণ কী করতাছিলাম?
44) মন্টু মিয়া জ্যোতিষীর কাছে হাত দেখাতে গেছে।
জ্যোতিষী মন্টু মিয়ার হাত দেখে বললঃ আপনার জীবনে ১২ জন নারীর আগমন ঘটবে। মন্টু মিয়ার তো আনন্দে মাথা নষ্ট! সে বললঃ কি শোনাইলেন বাবা! এত আনন্দ রাখমু কই! জ্যোতিষীঃ এত খুশি হওয়ার কিছু নাই। ১২ জনের একজন হবে আপনার স্ত্রী, বাকিরা হবে কন্যা !!!
45) গাধা & কুকুর
গাধাঃ আমার মালিক আমাকে খুব মারে।
কুকুরঃ তাহলে তুই এখান থেকে পালিয়ে যা।
গাধাঃ না।
কুকুরঃ কেন???
গাধাঃ আমার মালিকের সুন্দরী মেয়েটা যখন লেখাপড়া করতে চায় না, তখন মালিক তার মেয়েকে বলে, “তোকে এই গাধাটার সাথে বিয়ে দেব” মেয়েটাকেও আমার খুব পছন্দ হয়েছে, তাই এত মার খেয়েও এখানে পড়ে আছি!!
46) মানি-অর্ডার
পরিচিত রেস্টুরেন্টে খাওয়া শেষে খদ্দের ওয়েটারকে ডেকে বলল, ‘তোমাদের আগের বাবুর্চিটা মারা গেছে, তাই না?’
ওয়েটার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি কি করে জানলেন, স্যার? খাবার কি খারাপ হয়েছে?’
খদ্দের জবাব দেয়, ‘না…খাবার ঠিকই আছে… তবে আগে সাদা চুল পেতাম, ইদানীং কালো চুল পাচ্ছি।
47) মাইয়া সুবিধার না , বাজে মাইয়া!"
এক তরুণী মেয়ে দোকানে গেল একটা কথা বলা টিয়ে পাখি কিনতে। দোকানদার একটা পাখির খুব প্রশংসা করল, এটা নাকি সব বুঝে , নিজে থেকেই অনেক কিছু শিখে নেয়! মেয়েটা খুশি হয়ে পাখিটাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলঃ "আচ্ছা আমাকে দেখে আমার সম্পর্কে কি মনে হয় তোমার?" পাখিটা ঠাস করে বলে বসলঃ "বেশী সুবিধার না, বাজে মাইয়া!" মেয়েতো পুরাই টাশকি খেয়ে গেল! রেগেমেগে দোকানদারকে গিয়ে অভিযোগ করল!
দোকানদার পাখিটাকে ধরে এক বালতি পানিতে কয়েকটা চুবানি দিল , এরপর জিজ্ঞেস করলঃ "আর খারাপ কথা বলবি?"
পাখিটা ভালো মানুষের(!) মত মাথা নাড়ায় চাড়ায় বললোঃ "না না , আর বলব না"
মেয়েটা খুশি হয়ে আবার পাখিটাকে জিজ্ঞেস করেলোঃ "আচ্ছা আমি যদি রাতে ঘরে একজন পুরুষ নিয়ে ঢুকি , তুমি কি মনে করবে?"
পাখিটি বললোঃ "তোমার স্বামী"
মেয়েটি বললোঃ "যদি দুজনকে নিয়ে ঢুকি?"
পাখিটি বললোঃ "তোমার স্বামী আর দেবর!"
মেয়েটি বললোঃ "যদি তিনজনকে নিয়ে ঢুকি?"
পাখিটি বললোঃ "তোমার স্বামী , দেবর আর ভাই ।"
মেয়েটি বললোঃ "যদি চারজনকে নিয়ে ঢুকি?"
পাখিটা: দোকানদারকে চেঁচিয়ে ডাকলঃ "ঐ মিয়া বালতি নিয়া আও !! আগেই কইছিলাম এই মাইয়া সুবিধার না , বাজে মাইয়া!"