97) একদিন এক চীনা , এক অস্ট্রেলিয়ান, আর বল্টু জাহাজে
একদিন এক চীনা লোক, এক অস্ট্রেলিয়ান লোক, আর আমাদের বল্টু জাহাজে চড়ে যাচ্ছিল। হটাৎ চীনা লোকটি একটি i-phone পানিতে ফেলে দিলেন। এই দেখে বল্টু বলল - "হায়রে দাদা এত দামি ফোনটা পানিতে ফেলে দিলেন..?"
চীনা : ধুত, হেটা কোনো ব্যাপার হলো, হেগুলোটো হামাদের ডেশে বহুট আশে।
একটু পরে অস্ট্রেলিয়ান লোকটি কয়েকটি টাকার বান্ডেল পানিতে ফেলল। এই দেখে বল্টু বলল..."হায়রে দাদা এত গুলা টাকা জলে ফেলে দিলেন..?"
অস্ট্রেলিয়ান : এঠা কোন ব্যাপার হোলো, এগুলোটো হামার দেশে বহুত আছে।
সব শেষে বল্টু পাশে দাড়িয়ে থাকা একটি বাচ্চাকে টেনে পানিতে ফেলে দিলেন।
এই দেখে লোক দুটি বলল..."দাদা হেকি করলেন বাচ্চাটাকে পানিতে ফেলে ডিলেন..?"
বল্টু : ধুর, এটা কোনো ব্যাপার হলো, এগুলোতো আমাদের দেশে অনেক আছে।
এর পর জাহাজ থেকে নেমে বল্টু নদীর পার দিয়ে হাটছে।এমন সময় জল থেকে বাচ্চাটি উঠে এসে বলল,
বাবা টাকা গুলো পেয়েছি, আর ফোনটা ভারীতো তাই ডুবে গেছে।
98) সাহস পরীক্ষা
মিলিটারিদের সাহস পরীক্ষা করছেন তাদের প্রধান। এক মিলিটারিকে দূরে দাঁড় করিয়ে রেখে মাথায় লেবু রেখে বন্দুক দিয়ে সেই লেবুটিকে গুলি করলেন। মিলিটারিটি একদম নড়লো না। লেবুটি ফেটে গিয়ে তার শার্টটিকে নষ্ট করে দিলো। তাদের প্রধান তাকে ৫০ টাকা দিয়ে বললেন, ‘সাবাস, এই টাকা দিয়ে সাবান কিনে শার্টটি ধুয়ে নিয়ো’। মিলিটারিটি বললো, তাহলে আরো ৫০ টাকা দিন, প্যান্টটিও ধুতে হবে!
99) ফোনে হুমকি
বল্টু : হ্যালো, ইন্সপেক্টর সাব। ফোন করে আমাকে এক ব্যক্তি বারবার হুমকি দিচ্ছে!
ইন্সপেক্টর : কে হুমকি দিচ্ছে? কী বলছে?
বল্টু : টেলিফোন অফিস থেকে হুমকি দিচ্ছে। বলছে ১৫ তারিখের মধ্যে টাকা না দিলে ফোনের লাইন কেটে দেবে!
100 ) মিষ্টি মেয়ে
ঘটক : আপনার ছেলের জন্য খুব মিষ্টি একটা মেয়ে পেয়েছি
অভিভাবক : তাহলে তো ওই মেয়েতে আমাদের হবে না
ঘটক : কেন হবে না
অভিভাবক : আমাদের ছেলের ডায়াবেটিস আছে তো তাই!
101 ) রেডিও স্টেশনে কল
বল্টু এফএম রেডিও স্টেশনে কল করল, `হ্যালো, এটা কী এফএম ৯৭.৫?`
আরজে : জ্বী, বলুন।
বল্টু : আমার কথা কি পুরো শহরে শোনা যাচ্ছে?
আরজে : হ্যাঁ, সবাই শুনতে পাচ্ছে বলুন।
বল্টু : তার মানে আমার বোন যে রেডিও শুনছে, সেও শুনতে পাচ্ছে?
আরজে : (রাগতস্বরে) আরে বেকুব হ্যাঁ।
বল্টু : হ্যালো পিংকি, যদি আমার কথা শুনতে পাস তাহলে জলদি পানির মোটর চালু কর। আমি টয়লেটে বইসা আছি আর পানি শেষ। তোর নাম্বারটাও বন্ধ। জলদি কর!
102) রোমান্টিক ছেলে
ছেলেপক্ষ গেছে মেয়েপক্ষের বাড়িতে। কথাবার্তার একপর্যায়ে ছেলে-মেয়েকে একান্তে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হলো।
মেয়ে : তো, কী সিদ্ধান্ত নিলেন?
ছেলে : সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার একটা ইচ্ছা আছে।
মেয়ে : কী ইচ্ছা?
ছেলে : আপনার সঙ্গে একবার বৃষ্টিতে ভিজব।
মেয়ে : উফফ! আপনি কী রোমান্টিক!
ছেলে : ইয়ে মানে, আসলে ব্যাপার সেইটা না। আপনি যেই পরিমাণ ময়দা মেখেছেন, বৃষ্টিতে না ভিজলে আপনার আসল চেহারা দেখা যাবে না।
103 ) বল্টুর প্রযুক্তি
একবার বল্টু, এক আমেরিকান ও এক জাপানি প্লেনে বিদেশ যাইতেছিল। তো যেতে যেতে এক পর্যায়ে হঠাৎ কোথায় যেন বিপ বিপ শব্দ হল। তো আমেরিকান ভদ্রলোক তার হাতের এক যায়গায় চাপ দিতেই বিপ বিপ শব্দ থেমে গেল। আমেরিকান বলতেসে,"আমার হাতের নীচে মাইক্রোচিপ, এখান থেকেই আমার বাসার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়।" এবার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো। জাপানিজ ভদ্রলোক তার কপালে চাপ দিয়ে বলতেসে,"আমার কপালের নীচে মাইক্রোচিপ। চাপ দিলেই কল করা ও রিসিভ করা যায়।" বল্টু চিন্তা করতেসে কি করা যায়, এদের কাছে কিছুতেই হার মানা যাবেনা। তো সে উঠেই টয়লেটে চলে গেল এবং আসার সময় দেখা গেল তার প্যান্টের ভেতর থেকে পিছন দিক দিয়ে বিরাট লম্বা ট্যিসু পেপার ঝুলতেসে। আমেরিকান ও জাপানী তো এই দেখে বলতেসে,"আরে বাহহ, এ আবার কোন প্রযুক্তি?"
বল্টুর উত্তর,"ও কিছুনা, ই-মেইল আসছে, প্রিন্ট দিতেছি।"
104) দাঁগ থেকে দারুন কিছু
বাবা এবং মেয়ে এর মধ্যে কথা হচ্ছে–
বাবাঃ তুই পালিয়ে বিয়ে করে আমার বংশে দাঁগ লাগিয়ে দিলি!
মেয়েঃ দাঁগ থেকে যদি দারুন কিছু হয়, তবে তো দাঁগই ভালো!
105 ) পিকচার ডায়েট
"অনেক দিন পর হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরেছে মৌ। ফ্রিজ খুলে সে দেখে, ফ্রিজের ভেতর ভীষণ সুশ্রী একটি মেয়ের ছবি রাখা।
মৌ ছুটে গেল মায়ের কাছে, ‘মা, ফ্রিজের ভেতর একটা সুন্দরী মেয়ের ছবি রাখা দেখলাম।’
মা: হুম্। এটাকে বলে ‘পিকচার ডায়েট’। যখনই আমি কোনো খাবার নেওয়ার জন্য ফ্রিজ খুলি, মেয়েটাকে দেখলেই আমার মনে হয়, আমাকেও ওর মতো সুন্দরী হতে হবে। তখন আর খাওয়া হয় না।
মৌ: বাহ্! দারুণ। তা উপকার পাচ্ছ?
মা: পাচ্ছি আবার পাচ্ছি না।
মৌ: কেমন?
মৌ: আমার ওজন কমেছে আট কেজি। কিন্তু বারবার ফ্রিজ খোলার কারণে তোর বাবার ওজন ১০ কেজি বেড়েছে!"
106) তোরতো চুলকানি হয়েছে হারামজাদা -
আবুল গেল তার জ্যোতিষ বাবারকাছে ডান হাত বাড়িয়ে বলল, বাবা! আমার ডান হাত চুলকায়। কী আছে সামনে বলেন? জ্যোতিষ বাবা বলল, তোর অর্থ প্রাপ্তি সুনিশ্চিত!আবুল বলল, বাবা, বাম হাতও চুলকায়!বাবা বলে, কী বলিস! তোর আরও অর্থ আসবে ।আবুল আনন্দিত গলায় বলল,বাবা বাবা,আমারডান হাঁটু চুলকায়।জ্যোতিষ বলল, তোর বিদেশ যাত্রা হবে।খুশিতে গদগদ আবুল মহা উৎসাহের সাথে বলল, আমার বাম হাঁটুও চুলকায়!! বিরক্ত হয়ে জ্যোতিষী বলল, ওরে হারামজাদা, তোরতো চুলকানি হয়েছে!!