20) আমি আমার বাবা
ক্রিং ক্রিং! বেজে উঠল শিক্ষকের টেলিফোন।
শিক্ষক: হ্যালো।
অপর প্রান্ত থেকে: শুনুন, আমার ছেলের গায়ে ভীষণ জ্বর, ও আজ স্কুলে যেতে পারবে না।
শিক্ষক: আপনি কে বলছেন?
অপর প্রান্ত থেকে: আমি আমার বাবা বলছি!
21) ইতিহাস স্যার
সজল বলছে তার মাকে, মা, আমার জন্মদিনে বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের ইতিহাস স্যারকেও দাওয়াত কোরো।
মা: কেন?
সজল: ওনার আমার জন্মদিনটা জানা দরকার। আশা করি, এরপর অন্তত উনি আমার জন্মের আগে কী কী ঘটেছিল, এসব প্রশ্ন করা বন্ধ করবেন।
22) সমস্ত লেখা কাল্পনিক
শিক্ষক: বলত ইমন, পরীক্ষার হলে উত্তরপত্রে সবার আগে কী লেখা উচিত?
ইমন: ‘এই উত্তরপত্রে সমস্ত লেখা কাল্পনিক। কোনো বইয়ের সঙ্গে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয়!’
23) সোমনাথের মন্দির
স্কুল পরিদর্শক: সোমনাথের মন্দির কে ভেঙেছে?
ছাত্রঃ আমি ভাঙিনি স্যার!
স্কুল পরিদর্শক (রেগে শিক্ষককে): আপনার ছাত্র এ-সব কী বলছে!
শিক্ষক (নরম গলায়): স্যার, আমি জানি, ও মন্দির ভাঙার মত ছেলে নয়।
পরিদর্শক ক্লাস রুম ছেড়ে হেডমাস্টারের রুমে গেলেন : আপনার ছাত্র-শিক্ষক এসব কী বলছে! সোমনাথের মন্দির নাকি তারা ভাঙে নি।
হেডমাস্টার: জি স্যার, আমি জানি, আমার ছাত্র-শিক্ষকরা এমন কোনো কাজ করেনি।
পরিদর্শক ফিরে গিয়ে ঐ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে বিস্তারিত জানিয়ে ঐ স্কুল বাতিল করার জন্য সুপারিশ করলেন। মন্ত্রী সব শুনে বললেন, সামান্য একটা মন্দির ভাঙার জন্য কেন এত হইচই করছেন। টাকা নিয়ে যান। নতুন করে একটা বানিয়ে দিন।
24) মা আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে বলেছে
ধর্ম ক্লাসে স্বর্গ-নরক ব্যাখ্যা করার পর শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কে কে স্বর্গে যেতে চাও?’
সবাই হাত তুলল, শুধু একজন ছাড়া।
–কী ব্যাপার, তুমি স্বর্গে যেতে চাও না?
–না স্যার, মা আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে বলেছে।
25) যারা নিজেকে বোকা ভাবো
একদিন ক্লাসে শিক্ষক হঠাৎ প্রশ্ন করলেন, ‘যারা নিজেকে বোকা ভাবো তারা উঠে দাঁড়াও।’ স্বাভাবিকভাবেই কেউ উঠে দাঁড়াল না। খানিক পর মুখে একটা ফিচেল হাসি নিয়ে উঠে দাঁড়াল ক্লাসের সবচেয়ে পাজি ছাত্রটা।
শিক্ষকঃ ওহ্, তাহলে তুমি নিজেকে বোকা ভাবো?
ছাত্রঃ ব্যাপার হচ্ছে স্যার, ঠিক তা নয়। পেছন থেকে আপনার দাঁড়িয়ে থাকাটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না।
26) নদীতে কুলি
এক স্কুল শিক্ষক স্কুলের বাইরে বসে ছিলেন। এমন সময় তাঁর সামনে কাঁচুমাচু হয়ে একটি ছেলে এসে জানাল, সে নদীতে কুলি ফেলেছে এবং এর জন্য সে ক্ষমা চায়। স্কুল শিক্ষক বললেন, ‘এ আর এমন কী, নদীর পানি সামান্য ময়লা হতে পারে হয়তো, কিন্তু এর জন্য ক্ষমা চাওয়া জরুরি নয়।’
কিন্তু ছেলেটি নাছোড়বান্দা। অবশেষে স্কুল শিক্ষক তাকে দুটো উপদেশ দিয়ে বিদায় করলেন। কিছুক্ষণ পর আরেকটি ছেলে এসে নদীতে কুলি ফেলার কারণে তওবা করে গেল। তারপর আরেকজন। স্কুল শিক্ষক বেশ অবাক হলেন। এমন সময় চতুর্থ জন প্রবেশ করল। স্কুল শিক্ষক বললেন, ‘তুমিও কি নদীতে কুলি ফেলে এসেছ?’ চতুর্থজন রাগে চিৎকার করে উঠল, ‘রাখেন আপনার জ্ঞানের কথা। আমিই কুলি। পাশের স্টেশনে কাজ করি। তিন বদমাশ ছেলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে। তাদের এদিকে আসতে দেখলাম মনে হয়।’
27) বড় হয়ে স্কুলমাস্টার
শিক্ষক: তোমার লজ্জা করল না, তোমার চেয়ে কমবয়সী একটা ছেলেকে এমনভাবে মারতে? এখনই এমন হলে বড় হয়ে কী হবে?
ছাত্র: স্কুলমাস্টার, স্যার।
28) বাড়তি টাকা
গৃহকর্তা: এক হাজার টাকা মাইনে দিয়ে আপনাকে রেখেছি আমার মেয়েকে ইংরেজী, অঙ্ক এসব শেখানোর জন্য -প্রেমের পাঠ দেবার জন্য নয়।
গৃহশিক্ষক: শেষেরটা আমি এমনি-এমনি শেখাচ্ছি। এ জন্যে কোনো বাড়তি টাকা দিতে হবে না।