বাংলা সুনির্বাচিত কৌতুক Bangla Selected Jokes

হাসলে নাকি আয়ু বাড়ে- তাই হাসুন, মন খুলে হাসুন, কারণ হাসলে হার্ট / হৃদয় / মন ভালো থাকে => আর মন ভালো- তো সবই ভালো।

অধিকাংশ জোকস অনলাইন থেকে সংগৃহীত- শুধুমাত্র আপনাদের আনন্দ বিধানের জন্যই এই প্রচেষ্টা, কাউকে ছোট বা হেয় করার উদ্দেশ্যে নয় ; তাই এ ব্যাপারে কারো কোন আপত্তি থাকলে এডমিনকে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।

* * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা বা কৌতুক পোস্ট করতে পারেন।   মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয় । ধন্যবাদ * * *

*
23) কুর্তার ভিতর যে আমিও ছিলাম

একরাতে হোজ্জার প্রতিবেশী হোজ্জার বাসা থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দ পেল। পরদিন সকালে তাদের দেখা হলে প্রতিবেশী হোজ্জাকে জিজ্ঞাস করলেন। ‘ভাই সাহেব, গতকাল আপনার বাসা থেকে ভারী কিছু পতনের শব্দ শুনলাম, কি হয়েছে?’ ‘আর বলবেননা, কালকে আমার বিবি রাগ করে আমার কুর্তা উপর থেকে নীচে ফেলে দেয়’। ‘কুর্তা ফেলে দিলে এত শব্দ হয়’। প্রতিবেশী অবাক। ‘কুর্তার ভিতর যে আমিও ছিলাম’, হোজ্জার ত্বরিত উত্তর। 


24) আর এ হচ্ছে আমি

একদা শিষ্যদের নিয়ে মেলায় গেলেন হোজ্জা। এক জায়গায় দেখতে পেলেন তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। খেলায় অংশগ্রহণ করে প্রথম তীরটি নিক্ষেপ করলেন হোজ্জা। কিন্তু তীর গিয়ে পড়ল মাত্র কয়েক হাত দূরে। সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে দেখে হোজ্জা বললেন, "আসলে এমনটি ঘটে সে মানুষের ক্ষেত্রে যে নিজেকে সবসময় ছোট ভাবে।"
আবারও তীর নিক্ষেপ করেন হোজ্জা। নির্ধারিত জায়গার উপর দিয়ে বেশ দূরে গিয়ে পড়ে তীরটি । এবারও হাসতে থাকে জনতা। "..এমনটি ঘটে যে মানুষ উদ্ধত আত্মবিশ্বাসে ভুগে, তার ক্ষেত্রে।" আবারও তীর নিক্ষেপ করেন হোজ্জা, ঠিক জায়গামত বিদ্ধ হয় এবার। হোজ্জা শান্ত গলায় বলেন, "আর এ হচ্ছে আমি।"


25) আজকে সপ্তাহের কোন দিন

হোজ্জাকে একদিন একজন রাস্তায় থামিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আজকে সপ্তাহের কোন দিন?’ জবাবে হোজ্জা বললেন, ‘আমি এই এলাকায় নতুন। জানি না এখানকার মানুষেরা সপ্তাহের কোন দিনটি মেনে চলে।’


26) হোজ্জা একজন চোরাচালানি

গাধার পিঠে চেপে হোজ্জা প্রায়ই ইরান, গ্রিস চলে যান। প্রতিবারই গাধার পিঠে দুই বোঝা খড় চাপিয়ে নিয়ে যেতেন এবং ফিরে আসতেন পায়ে হেঁটে। প্রতিবার তাঁকে তল্লাশি করা হতো বেআইনি সামগ্রীর খোঁজে। কিছুই পাওয়া যেত না। ‘কী নিয়ে যান আপনি, হোজ্জা?’ ‘আমি একজন চোরাচালানি।’ কয়েক বছর পর হোজ্জার অবস্থা আরও রমরমা। মিসরের উদ্দেশে রওনা দিলেন। সেখানে একদিন এক সীমান্তরক্ষী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। ‘বলুন হোজ্জা, কী করে গ্রিস ও ইরানের আইন ফাঁকি দিয়ে গেলেন আর এখানেও বেশ ভালোই আছেন, কী চোরাচালান করতেন যে কখনোই ধরা যেত না?’ ‘গাধা।’


27) রাস্তায় দাঁড়িয়ে জড়বুদ্ধির মতো আচরণ

হাটবারের দিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে জড়বুদ্ধির মতো আচরণ করতেন হোজ্জা, ফলে নির্বোধ ভেবে মানুষ তাকে মুদ্রা দান করত। কিন্তু তার সামনে দুটি মুদ্রা তুলে ধরা হলে, সর্বদাই তিনি ছোট মুদ্রাটি গ্রহণ করতেন, যতবারই, যেভাবেই দেয়া হোক না কেন। একদিন সদাশয় এক ব্যক্তি তাকে বললেন, "নাসিরুদ্দীন, তুমি তো বড় মুদ্রাটা নিতে পার। এতে তোমার দ্রুত বেশ কিছু টাকা-পয়সা জমে যাবে আর মানুষও আগের মতো তোমাকে নিয়ে তামাশা করতে পারবে না।" "হুমম, আপনি যা বলছেন তা হয়তো ঠিক হতে পারে। কিন্তু আমি ভাবছি, আমি যদি সবসময় বড় মুদ্রাটা গ্রহণ করি, তাহলে মানুষ আমাকে তাদের চেয়েও নির্বোধ ভেবে যে আনন্দটা পায়, সে আনন্দটা আর পাবে না, ফলে দান হয়তো একেবারেই বন্ধ করে দিবে।" হোজ্জা জবাব দেন।


28) আমার ঘুম হারিয়ে গেছে

মধ্যরাতে হোজ্জা রাস্তা দিয়ে একা একা হেঁটে যাচ্ছিলেন। গার্ড তাঁকে জিজ্ঞেস করল, ‘এত রাতে রাস্তায় কী করছেন, হোজ্জা?’ ‘আমার ঘুম হারিয়ে গেছে, তাকে খুঁজতে এসেছি।’


29) তোমাদের মধ্যে কোন জন মারা গেছে

হোজ্জার গ্রামে যমজ ভাই ছিল। একদিন শোনা গেল, ওই যমজ ভাইদের একজন মারা গেছে। রাস্তায় ওই যমজ তাদের একজনকে দেখে হোজ্জা দৌড়ে গেলেন তার দিকে। জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কোন জন মারা গেছে-তুমি না, তোমার ভাই?’


30) আয়না ছাড়াই আপনাকে দেখতে বাধ্য হয়েছে

একদিন বাদশা হোজ্জাকে বললেন, ‘হোজ্জা, কাল থেকে আমি আর আয়নায় নিজের চেহারা দেখব না। আমার চেহারা যে এত বিচ্ছিরি, তা এত দিনে জানলাম।’
জবাবে হোজ্জা বললেন, ‘হুজুর, মাফ করবেন, আয়নায় নিজেকে দেখে বলছেন আপনি দেখতে বিচ্ছিরি। কিন্তু এই এত দিন সবাই আয়না ছাড়াই আপনাকে দেখতে বাধ্য হয়েছে।’


31) হোজ্জা তাঁর বন্ধুকে চিঠি লিখছিলেন

হোজ্জা তাঁর বন্ধুকে চিঠি লিখছিলেন। একজন উৎসুক প্রতিবেশী চুপিচুপি হোজ্জার পেছনে এসে চিঠিতে কী লেখা হচ্ছে, তা পড়তে থাকে। এদিকে হোজ্জার সামনে ছিল একটা আয়না। ওই আয়নাতেই হোজ্জা লোকটাকে দেখতে পেলেন। তিনি পুরো ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে চিঠি লিখতে লাগলেন: ‘অনেক কিছুই লেখার ছিল। কিন্তু পারলাম না। ঠিক এই মুহূর্তে একজন অভদ্র ও নির্লজ্জ লোক আমার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি পড়ছে—’ লোকটা রেগেমেগে অভিযোগ করল, ‘হোজ্জা, আপনি এসব কী লিখছেন? আমি কখন আপনার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি পড়েছি?’ জবাবে হোজ্জা বললেন, ‘তুমি যদি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি না পড়তে, তাহলে জানলে কী করে চিঠিতে আমি কী লিখেছি?’



* * * এসংক্রান্ত আরও মজার কৌতুক =>> * * *


* * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।