44) একটা ভালো একটা খারাপ খবর
ডাক্তারঃ আহমেদ সাহেব, আপনার জন্য দুটো খবর আছে। একটা ভালো একটা খারাপ, কোনটা শুনতে চান?
রোগীঃ খারাপটাই আগে শোনা যাক।
ডাক্তারঃ খারাপ খবরটা হল, আপনার দুটো পাই কেটে বাদ দিতে হবে।
রোগীঃ আর ভালো খবর?
ডাক্তারঃ ভালো খবরটা হল, পাশের বেডের ভদ্রলোক আপনার জুতো জোড়া কিনে নেবেন বলেছেন
45) আপনার ফিস মেটাতে
এক রোগী ডাক্তারের কাছে এসেছেন তাঁর পাওনা মেটাতে। ডাক্তার সাহেব তাঁর পাওনা বুঝে নিয়ে আনন্দের সাথে অন্যান্য রোগীদের শুনিয়ে বললেন, কি, আমি ঠিক বলি নি, আপনি দু’ মাসের মধ্যে হাঁটতে পারবেন?
রোগীঃ হ্যাঁ, তা বলেছিলেন, আমি হেঁটেই এসেছি আপনার কাছে। কারণ আপনার ফিস মেটাতে গতকাল আমার গাড়িটা বিক্রি করতে হয়েছে।
46) আমি তাঁর উত্তরাধিকারী
আপনার চিকিৎসায় বিশেষ উপকৃত হয়েছি, ডাক্তার সাহেব।
- কিন্তু আমি তো আপনার চিকিৎসা করি নি।
- আপনি আমার চাচার চিকিৎসা করেছিলেন, আর আমি তাঁর উত্তরাধিকারী।
47) মাত্র দু’ টাকায় দাঁত তোলা হয়’
মাত্র দু’ টাকায় দাঁত তোলা হয়’ – এই সাইনবোর্ড দেখে হাড় কিপটে এক বুড়ো ভিতরে ঢুকল। ডাক্তারখানায় বেশ ভিড়। অনেক্ষণ অপেক্ষার পর তার ডাক এল। কিন্তু একটা দাঁত তোলার পর ডেন্টিস্ট বিরক্ত হয়ে বলল, যান আপনার দাঁত আর তুলব না। দিন চল্লিশ টাকা।
- চল্লিশ টাকা কেন?
- আপনার চেঁচানি শুনে আমার উনিশ জন রোগী পালিয়ে গেছে। তাঁদের একটা করে দাঁত তুললেও আমি পেতাম আটত্রিশ টাকা।
48) উন্নতি? বড্ড স্লো!
ডাক্তারঃ নার্স, আপনার রোগী কেমন উন্নতি করছে?
নার্সঃ উন্নতি? বড্ড স্লো! এতদিনেও ‘আপনি’ থেকে তুমিতে নামতে পারে নি।
49) ভয়ের কিছু নেই।
ভয়ের কিছু নেই। চট করে আপনার দাঁত তুলে দেব।
- না, না, ডাক্তার সাহেব, আমার ভীষণ ভয় করছে। যন্ত্রণায় আমি মরেই যাব।
- ঠিক আছে এই নিন, খানিকটা ব্র্যান্ডি খেয়ে নিন। (ব্র্যান্ডি খাওয়ার পর)
- কি, এখন সাহস বেড়েছে তো?
- নিশ্চয়ই বেড়েছে। এখন দেখি কোন শালা আমার দাঁত তুলতে আসে। হাত লাগাতে আসুক, বাপের নাম ভুলিয়ে দেব। এক ঘুঁসিতে দাঁত ফেলে দেব।
50) তাহলে একটা দুঃসংবাদই দিতে হচ্ছে
গাইনোকোলজিস্ট অনেক্ষণ ধরে রোগীকে পরীক্ষা করে বললেন, মিসেস রেহানা, আপনাকে একটা সুসংবাদ দিচ্ছি।
- মিসেস নয়, বলুন মিস।
- ও, আমাকে ক্ষমা করবেন, তাহলে আপনাকে একটা দুঃসংবাদই দিতে হচ্ছে।
51) ঘন ঘন পিপাসা পায়।
ডাক্তারঃ অপারেশনের সময় সার্জন ভুলে পেটের ভিতর স্পঞ্জ রেখে দিয়েছিলেন বললেন; এখন আপনার কী অসুবিধা হয়?
রোগীঃ ঘন ঘন পিপাসা পায়।
52) রোগ নির্ণয় করতে অসুবিধা হচ্ছে
ডাক্তারঃ রোগটা ঠিক নির্ণয় করতে অসুবিধা হচ্ছে। নেশাটেশার জন্যই এরকম মনে হচ্ছে।
রোগীঃ ঠিক আছে ডাক্তার সাহেব। যখন ভালো থাকবেন, তখন না হয় আসব।
53) ডাক্তারের চেম্বারে
মেয়ে : বাইরে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে ওকে ভিতরে আসতে বলি।
ডাক্তার : আপনি ভয় পাবেন না। আমি খুব ভদ্র মানুষ।
মেয়ে : না ডাক্তার সাহেব আপনি বুঝতে পারেননি। বাইরে আপনার নার্স আছে। আর আমার বয়ফ্রেন্ড ভদ্র মানুষ না!