2) তিন পাগলের অংক
দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর তিন পাগলকে নিয়ে বসেছেন চিকিৎসক।
চিকিৎসক: বলো তো, ৩ কে ৩ দিয়ে গুণ করলে কত হয়?
প্রথম পাগল: ৩৯৮
হতাশ চিকিৎসক দ্বিতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।
দ্বিতীয় পাগল: মঙ্গলবার
হতাশ হয়ে চিকিৎসক তৃতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।
তৃতীয় পাগল: ৯
‘ভেরি গুড! এবার বলো তো, তুমি এটা কীভাবে বের করলে।’ খুশি হয়ে বললেন চিকিৎসক।
তৃতীয় পাগল: খুবই সহজ! ৩৯৮ থেকে মঙ্গলবার বিয়োগ করেছি!
4) কানের মধ্যে টিকটিকি
চিকিৎসক-রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রোগী: স্যার, আমার কানের মধ্যে একটি টিকটিকি ঢুকে গেছে।
চিকিৎসক: কখন?
রোগী: সকাল আটটার দিকে।
চিকিৎসক: আরে, এখন দুপুর ১২টা বাজে! আপনি আগে আসেননি কেন?
রোগী: আমি ভেবেছিলাম, সকাল ছয়টার দিকে আমার কানে যে পোকাটা ঢুকেছিল, মাছি ওটাকে খেয়েই বের হবে। কিন্তু এখন দেখছি মাছি-টিকটিকি কোনোটাই বেরোচ্ছে না।
7) ওষুধ গেলানো
রোগী: বাসার পাশের রাস্তায় কুকুরগুলো রোজ রাতে নিয়ম করে হল্লা করে। কিছুতেই ঘুমাতে পারি না।
ডাক্তার: এই ঘুমের বড়িটা নতুন এসেছে। খুব ভালো কাজ দেয়।
রোগী ওষুধ নিয়ে চলে গেল। কিন্তু এক সপ্তাহ বাদেই ফিরে এসে বলল, ‘এখনো আমার ঘুমের সমস্যা হচ্ছে।’
ডাক্তার প্রশ্ন করে, কিন্তু ওষুধটা তো বেশ ভালো। অনেকেরই কাজ হয়েছে।
রোগী: তাতে কি, সারা রাত কুকুরগুলোকে ধাওয়া করে একটা যদিও ধরতে পারি, কিছুতেই বদমাশটাকে ওষুধ গেলানো যায় না।
8) কোন রকম অবশ বা অজ্ঞান করা লাগবে না
স্বামী, স্ত্রী ডেন্টিস্টের চেম্বারে গিয়েছেন।
স্বামীঃ আমি একটা দাঁত তুলতে চাই। কোন রকম অবশ বা অজ্ঞান করা লাগবে না, কারণ আমার খুব তাড়া আছে। জাস্ট তুলে ফেলুন, যত তাড়াতাড়ি পারেন।
ডেন্টিস্টঃ আপনি একজন খুব সাহসী মানুষ, একটু দেখান, কোন দাঁতটা তুলতে হবে। স্বামীটি তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, “তোমার মুখ খুলো, এবং ডাক্তারকে দেখাও কোন দাঁতটা তুলতে হবে!”
10) দীর্ঘজীবন লাভের উপায়
ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রোগী: আচ্ছা ডাক্তার সাহেব, দীর্ঘজীবন লাভের কোনো উপায় আছে?
ডাক্তার: বিয়ে করে ফেলুন।
রোগী: এতে দীর্ঘজীবন লাভ হবে?
ডাক্তার: না। তবে আপনার দীর্ঘজীবন লাভের ইচ্ছাটা মরে যাবে।
11) কীভাবে উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করে
এক রোগী ডাক্তারের কাছে গেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর—
ডাক্তার: আপনার তো উচ্চরক্তচাপ আছে।
রোগী: মনে হয় এটা আমার পরিবার থেকেই এসেছে।
ডাক্তার: এটা আপনার বাবার দিক, না মায়ের দিক থেকে এসেছে বলুন তো?
রোগী: নাহ! এটা আমার বউয়ের পরিবার থেকে এসেছে।
ডাক্তার: বলেন কী? এটা কীভাবে হলো?
রোগী: একদিন তাদের সঙ্গে মিশলেই দেখবেন তাঁরা কীভাবে উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করে।
12) হাতের লেখা
রোগী: বাহ্! ডাক্তার সাহেব, আপনার হাতের লেখা খুব সুন্দর তো!
ডাক্তার: দয়া করে লজ্জা দেবেন না। আমি জানি আমার পেশার পক্ষে এটা সত্যিই লজ্জার।
13) লিস্ট বানাব
ডাক্তার: একটা দুঃসংবাদ আছে, রহমান সাহেব। আপনার জলাতঙ্ক হয়েছে।
রোগী: আমাকে এক টুকরো কাগজ আর একটা কলম দিতে পারেন?
ডাক্তার: উইল করবেন বুঝি?
রোগী: উহুঁ, কাকে-কাকে কামড়াতে চাই তার একটা লিস্ট বানাব।
14) ৪টা থেকে ৬টা
বল্টু প্রতিদিন বিকেলে এসে ডাক্তারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে আর হাঁ করে তাকিয়ে মেয়ে দেখে। বেশ কিছুদিন লক্ষ্য করার পর ডাক্তারবাবু একদিন এসে বল্টু'কে জিজ্ঞেস করলো..
ডাক্তারঃ কী ব্যাপার মশাই, আপনি প্রতিদিন বিকেলে এসে আমার চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে এভাবে মেয়ে দেখেন কেন? ব্যাপার কী?
বল্টুঃ আরে ডাক্তারবাবু, আপনিই তো লিখে রেখেছেন... মহিলাদের দেখার সময়ঃ বিকাল " ৪টা থেকে ৬টা "