বাংলা সুনির্বাচিত কৌতুক Bangla Selected Jokes

হাসলে নাকি আয়ু বাড়ে- তাই হাসুন, মন খুলে হাসুন, কারণ হাসলে হার্ট / হৃদয় / মন ভালো থাকে => আর মন ভালো- তো সবই ভালো।

অধিকাংশ জোকস অনলাইন থেকে সংগৃহীত- শুধুমাত্র আপনাদের আনন্দ বিধানের জন্যই এই প্রচেষ্টা, কাউকে ছোট বা হেয় করার উদ্দেশ্যে নয় ; তাই এ ব্যাপারে কারো কোন আপত্তি থাকলে এডমিনকে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।

* * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা বা কৌতুক পোস্ট করতে পারেন।   মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয় । ধন্যবাদ * * *

*
25) কান টানলেই মাথা আসে

পন্ডিত মশাই একবার মহারাজের কাছে তার ছেলের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে বললেন, আপনার ছেলে মোটেই লেখাপড়া করছে না! পড়ার সময় এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। আরও লেখাপড়ায় মাথা একেবারেই ঘামায় না। রাজা ছেলের ওপর প্রচন্ড রেগে গিয়ে পন্ডিত মশায়কে বললেন, এবার ও যদি পাঠশালায় যায়, বেশ কষে কান টানবেন। মহারাজের কথা শুনে গোপাল সঙ্গে সঙ্গে বলল আপনি যথার্থই বলেছেন, কান টানলেই মাথা আসে। সকলে তখন হেসেই লুটোপুটি।


26) গোপালকে চুরির দায়ে

একদিন রাজবাড়ির লোক গোপালকে চুরির দায়ে ফেলার জন্য জোর চেষ্টা করেছিল এবং গোপালকে ধরে এনে, হাকিমের সুমুখে খাড়া করে দিল। হাকিম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি চুরি করেছ? গোপাল বললে, কেন মিছে কথা বাড়ান। করেছি কিনা সেইটিই তো বিচার করে প্রমাণ করবার ভার আপনার উপরে।


27) মা না এলেও বাবা কিন্তু প্রায়শই আসতেন-

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সব সভাসদদের সামনে গোপালকে জব্দ করার উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘বুঝলে গোপাল, আমার সাথে তোমার চেহারার কিন্তু দারুণ মিল! তা বাবার শাসনামলে তোমার মা কি এদিকে আসতেন-টাসতেন নাকি?’ গদগদ হয়ে গোপাল বলে, ‘আজ্ঞে না রাজামশাই! তবে মা না এলেও বাবা কিন্তু প্রায়শই আসতেন!’


28) মাছি আর কট্টুকু খাবে?

মিষ্টির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় থরে থরে সাজানো মিষ্টি দেখে গোপালের খুব লোভ হয়েছে। কিন্তু ট্যাকে নেই একটি পয়সাও। ভেতরে গোপাল ঢুকে দেখে ময়রার ছোট ছেলেটি বসে আছে। গোপাল শুধায়, ‘কি-রে, তোর বাপ কই?’ ‘পেছনে। বিশ্রাম নিচ্ছে।’ ‘তোর বাপ আর আমি খুব বন্ধু বুঝলি? আমার নাম মাছি। ক’টা মিষ্টি খাই? তোর বাপকে বল, কিচ্ছু মনে করবে না।’ বলেই গোপাল টপাটপ মিষ্টি মুখে পুরতে শুরু করেছে। মিষ্টি নিমিষে শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখে ছেলে চেঁচিয়ে বলে, ‘বাবা, মাছি কিন্তু সব মিষ্টি খেয়ে ফেলছে!’ শুনে পেছন থেকে ময়রা বলে, ‘আরে খেতে দে! মাছি আর কট্টুকু খাবে?’


29) গোপালের জ্যোতিষ চর্চা

গোপালের জ্যোতিষ চর্চার খ্যাতি শুনে দূর গ্রাম থেকে হাত দেখাতে এসেছেন এক ভদ্রলোক। গোপাল খুব ঘটা করে হাত-টাত দেখে বলে, ‘আপনি তো অতি ভাগ্যবান মশাই! হাতে স্পষ্ট দেখছি আপনার দেহাবসান হবে কাশীতে।’ পূণ্যস্থানে মৃত্যু হবে জেনে ভদ্রলোক খুব খুশি মনে ফিরে গেলেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই ভদ্রলোকের ছেলে এসে উপস্থিত। সে তেড়েফুঁড়ে গোপালকে জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি গননা করে বলেছিলেন বাবার মৃত্যু হবে কাশীতে। কই, উনি তো বাড়িতেই মারা গেলেন?’ গোপাল আমতা আমতা করে বলে, ‘আমি কি তাই বলেছি নাকি? আমি বলতে চেয়েছি উনি কাশতে কাশতে মারা যাবেন। তা সেটা ঠিক বলেছি কি-না? বলুন?’


30) আপনার মত বাঁদর আমি আগে কক্ষনো দেখিনি

গোপালকে বলছেন রামবাবু, ‘এখানে বাঁদরের বড্ড উৎপাত। তোমাকে তো দেখতে বেশ বাঁদরের মতোই! ওদের দলে তোমাকে ছেড়ে দিলে কি হবে বলতো? তুমি নিশ্চই কখনো বাঁদর দেখনি?’ ‘আজ্ঞে না! আপনার মত বাঁদর আমি আগে কক্ষনো দেখিনি!’ গোপালের সোজা-সাপ্টা উত্তর।


31) তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো?

গোপালের সাথে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, ‘বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র। তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমত যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!’ ‘তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!’ গোপালের সরল উত্তর।
32) তোমার আগেই আমি স্বর্গে যাব

একজন বৈরাগী গোপালকে চিনত না। সে গোপালের সামনে এসে বলল, “ঈশ্বরের সেবার জন্য আপনি কিছু চাঁদা দেবেন?” গোপাল কিছু না বলে বৈরাগীকে একটা টাকা দিল। টাকাটা পেয়ে বৈরাগী খুশি হয়ে পথ হাঁটতে লাগল। কিছুটা যেতেই গোপাল তাকে ডাকল, “ও বৈরাগী, একবারটি আমার কাছে এসো।” বৈরাগী খুশিমনে তার কাছে আসলে গোপাল বলল, “তোমার বয়স কত?” “আজ্ঞে আঠারো ।” “আমার বয়স পঞ্চান্ন।” “তাতে কি হল?” “এইমাত্র ঈশ্বরের সেবার জন্য যে একটা টাকা নিয়েছ সেটা ফেরত দাও, কারণ তোমার আগেই আমি স্বর্গে যাব এবং ঈশ্বরের সেবার সুবর্ণ সুযোগ পাব।”


33) পাড়ার লোকজন জানুক আমি মোড়ল হয়েছি

গোপাল একবার গ্রামের মোড়ল হয়েছিল। তো একদিন ভোরবেলায় এক লোক এসে ডাকতে লাগল, ‘গোপাল? গোপাল?’ গোপাল ভাঁড় কোনো উত্তর না দিয়ে শুয়েই রইল। এবার লোকটা চিৎকার করে ডাকতে লাগল, ‘মোড়ল সাহেব, মোড়ল সাহেব।’ এবারও গোপাল কোনো কথা না বলে মটকা মেরে শুয়ে রইল। গোপালের বউ ছুটে এসে বলল, ‘কী ব্যাপার, লোকটা মোড়ল সাহেব মোড়ল সাহেব বলে চেঁচিয়ে পড়া মাত করছে, তুমি কিছুই বলছ না!’ গোপাল কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, ‘আহা, ডাকুক না কিছুক্ষণ, পাড়ার লোকজন জানুক আমি মোড়ল হয়েছি।’

* * * এসংক্রান্ত আরও মজার কৌতুক =>> * * *


* * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।