ভক্তসঙ্গে তীর্থ দর্শন, পূণ্যভূমী- তীর্থক্ষেত্র , গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্রের মহিমা ও এসংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ।

গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্র গুলো কোথায় কোথায় অবস্থিত, সেখানে কীভাবে যাবেন? তীর্থক্ষেত্র দর্শনে যেয়ে কোথায় থাকবেন, কি খাবেন ইত্যাদি বিষয়ে ভগবদ্ভক্তদের বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ।

  • শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব লীলাস্থলী

    শ্রীমায়াপুর

    সনাতনগোপাল দাস ব্রহ্মচারী

    ১৪০৭ শকাব্দে ( ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে , ৮৯২ বঙ্গাব্দে ফাল্গুণী পূর্ণিমা শনিবারে মায়াপুর নামক স্থানে মহান ব্রাহ্মণ জগন্নাথ মিশ্র ও শচীদেবীর দশম সন্তানরূপে প্ৰচতন্য মহাপ্রভু আবির্ভূত হন । তিনি এই মায়াপুরে ২৪ বছর বসবাস লীলাবিলাস করেছেন ।

       

    উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান সমূহ


       শ্রীধর অঙ্গন-- শ্রীমায়াপুরের ঈশান প্রান্তে , রাজাপুর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের কাছে শ্রীধর ঠাকুরের বাস্তভিটা । শ্রীধর ঠাকুর ছিলেন ব্রজলীলায় কুসুমাসব সখা দরিদ্র সরল শ্রীধর ঠাকুর রোজ রোজ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে কলা , মোচা , থোড় , লাউ দিতেন । তাঁর কলা বাগান ছিল গৃহে রোজ রাত্রে উচ্চকণ্ঠে হরিনাম জপ করতেন । শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ভক্তদের সঙ্গে সংকীর্তন করতে করতে এসে এখানে বিশ্রাম নিতেন ।

       চাঁদকাজীর সমাধি - কংসের অবতার চাঁদকাজী তৎকালীন শাক্ত ব্রাহ্মণদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে হরিনাম সংকীর্তনের বিরোধিতা করলেও নৃসিংহদেবের ভয়ে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কাছে আত্মসমর্পণ করেন । বামনপুকুর অভিন্ন মথুরা ধাম। এখানে চাঁদকাজীর বাড়ি ছিল । চাঁদকাজীর সমাধির ওপর মহাপ্রভুর রোপিত প্রাচীন চাঁপাগাছটি এখনও বিদ্যমান ।

        বল্লাল ঢিবি-- বল্লাল সেনের রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ নিদর্শন রয়েছে ।

       বল্লালদিঘি — সত্যযুগে ভগবানের শক্ত্যাবেশ অবতার পৃথু মহারাজ পৃথিবীর উঁচুনীচু ভূমি সমতল করবার জন্য লোক নিযুক্ত করেন । এই স্থানে লোকেরা মাটি খনন করলে চতুর্দিক থেকে এক দিব্য জ্যোতির্ময়ী প্রভা উত্থিত হল । লোকেরা রাজাকে সে কথা বললে সেই আশ্চর্য জ্যোতি দর্শন করে তিনি ধ্যানে উপবিষ্ট হলেন । ধ্যানযোগে জানলেন , কলিযুগে শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধার ভাবকান্তি অঙ্গীকার করে এই স্থানে অবতীর্ন হবেন । রাজা পৃথু এই স্থানের মাহাত্ম্য গুপ্ত রাখবার জন্য একটি মনোহর বিস্তৃত কুণ্ড নির্মাণ করালেন । নাম হল পৃথুকুণ্ড । বাসিন্দাগণ স্বচ্ছ ও স্বাস্থ্যপ্রদ পৃথুকুণ্ডের জল পান করে বিশেষ পরিতৃপ্তি লাভ করতে লাগল । কালক্রমে পৃথুকুণ্ড বিলুপ্ত হয় ।

        কলিযুগে বাংলার রাজা বল্লালসেনের পুত্র লক্ষ্মণসেন নিজ পিতৃপুরুষের মঙ্গল কামনায় এই স্থানে পুনরায় দিঘি খনন করলেন । নাম হল বল্লাল দিঘি । বর্তমানে বল্লালদিঘি ধানজমিরূপে দৃশ্যমান ।

        মুরারিগুপ্ত ভবন – বল্লাল দিঘির পূর্বপাড়ে হনুমানের অবতার শ্রীল মুরারিগুপ্ত বাস করতেন । বর্তমানে এখানে রামসীতার মন্দির বিদ্যমান । শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মুরারিগুপ্তকে কৃষ্ণনাম করতে নির্দেশ দিলে তার মুখে কেবল রাম নাম এবং শ্রীরামচন্দ্রকেই স্মরণ হচ্ছিল । মনোদুঃখে সেজন্য কাঁদতে থাকলে তার সামনে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শ্রীরামচন্দ্ররূপে প্রকাশিত হয়ে বললেন , ' তুমি তো হনুমান । তুমি রাম নাম কেন ছাড়বে ? মুরারিগুপ্ত ঠাকুর দেখলেন শ্রীরামচন্দ্র তার দুই পাশে লক্ষ্মণ ও সীতাদেবী , আবার নিজেকে হনুমান দেখে প্রেমে গড়াগড়ি গেলেন । বর্তমানে এখানে সীতারাম লক্ষ্মণ বিগ্রহ পূজিত হচ্ছেন।

        শ্রীচন্দ্রশেখর ভবন— চন্দ্রশেখর আচার্য শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মেসোমশাই । স্নেহময়ী মাসী সর্বজয়া দেবী । বাল্যকালে মহাপ্রভু এখানে খেলা করতেন , কৃষ্ণলীলা নাটক অভিনয় করতেন ।

        নাটকের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ব্যবস্থা মেসোমশাই করতেন । ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের শ্রীগুরুদেব শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর এই স্থানেই “ শ্রীচৈতন্য মঠ ” প্রতিষ্ঠা করেছেন । মন্দির মধ্যে শ্রীশ্রীগৌর - গান্ধর্বিকা গিরিধারী বিরাজমান । মন্দিরের চতুর্দিকে সাত্বত পুরাণ - কথিত শুদ্ধ চার বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের আচার্যগণের বিগ্রহ বিদ্যমান । শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর এখানেই শতকোটি নামযজ্ঞ করেন । তাঁর গুরুদেব শ্রীল গৌরকিশোর দাসবাবাজীর সমাধি , রাধাকুণ্ড , শ্যামকুণ্ড , গোবর্ধন , তমাল - কেলিকদম্ববৃক্ষ , তাঁর সমাধিমন্দির ও ভজনকুটির বিদ্যমান ।

        শ্ৰীঅদ্বৈত ভবন — এখানে শ্রীল অদ্বৈত আচার্য প্রভু দুর্দশাগ্রস্ত কলিহত জীবের উদ্ধার সাধনের নিমিত্ত গঙ্গা জল ও তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পাঞ্চরাত্রিক বিধান অনুসারে অর্জুন করে শ্রীকৃষ্ণকে হুংকার দিয়ে আহ্বান করেন । তাঁর আহ্বানে মর্ত্যে শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু আবির্ভাব হল । এই স্থানেই অদ্বৈত আচার্যের টোলে মহা বিশ্বরূপ পড়তেন । সঙ্গে অদ্বৈত আচার্য কৃষার নিমগ্ন থাকতেন ।

        শ্রীগদাধর অঙ্গন- অদ্বৈত আচার্যের ভবনের কাছেই মাধব মিশ্য বাস করতেন। তাঁর পুত্র গদাধর ছিলেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাল্যসাথী । গদাধর অত্যন্ত শান্তপ্রকৃতির ছেলে । একসময় শচীমাতা বলেছিলেন , ' গদাধর , আমি নিমাইকে সামলাতে পারি না । তুমি বাবা , ওর সঙ্গে সর্বদা থাকো । নিমাই সন্ন্যাসী হয়ে চলে গেলে গদাধরও সন্ন্যাস হয়ে নীলাচলে থাকেন । গৌর - গদাধর বিগ্রহ এখানে বিরাজমান ।

        শ্রী শ্রীবাস অঙ্গন – প্রতিদিন শ্রীশ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও নিত্যানন্দ প্রভু এখানে ভক্তসঙ্গে সংকীর্তন করেন । নদীয়াশাসক চাঁদকাজীর লোক এসে সংকীর্তন বন্ধ করার নির্দেশ জারি করে । ভক্তদের খোল তারা ভেঙে দিয়েছিল । তার সংকীর্তন আন্দোলন শুরু হল । শ্রীবাস ঠাকুরের বিষ্ণুর খাটে মহাপ্রভু উপবেশন করে ভক্তনের বরদান করতেন , নৈবেদ্য গ্রহণ করতেন । মহাপ্রকাশ লীলা করতেন । এ স্থান সংকীর্তন রাসস্থলীরূপে চিহ্নিত । একদিন সংকীর্তনকালে শ্রীবাস ঠাকুরের এক পুত্র মারা যায় । মহাপ্রভু গৃহমধ্যে প্রবিষ্ট হয়ে মৃত দেহে আত্মা ফিরিয়ে আনলে , সেই শ্রীবাসপুত্র বলতে থাকেন , “ হে প্রভু , বহু জন্ম আমি এই ব্রহ্মাণ্ডে কত পিতামাতা গ্রহণ করেছি , কত সুখ দুঃখ ভোগ করেছি । আমার পরম সৌভাগ্যের ফলে আমি এরকম ভক্ত পিতা - মাতা পেয়েছি । তাঁর গৃহে আপনি পরমেশ্বর স্বয়ং নৃত্য কীর্তন করছেন । আপনি জানেন যে আমার এই জন্মের মেয়াদ শেষে হয়ে গেছে । অতএব আমি পরমানন্দে আপনার মুখে কীর্তন শুনে ও আপনাকে দর্শন করে আপনার পরম ধামে যাত্রা করছি । ” এই বলে সেই জীবাত্মা আবার চলে গেল । তার কথা শুনে শ্রীবাস অঙ্গনের সমবেত নরনারী গৌরপ্রেমে ক্রন্দন করতে লাগল । মৃতশিশুর সৎকার হলে শ্রীশ্রীগৌর নিতাই পুত্রবিরহী শ্রীবাস ঠাকুর ও তাঁর পত্নী মালিনীদেবীকে বললেন , আমরাই তোমাদের পুত্ররূপে থাকব ।

        শ্রীজগন্নাথ মিশ্র ভবন ( যোগপীঠ ) – এটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান । ১৪০৭ শতকে ফাল্গুনী পূর্ণিমা শনিবার সন্ধ্যাকালে ( ১৪৮৬ খৃঃ ১৮ ফেব্রুয়ারী ) চন্দ্রগ্রহণ সময়ে অগণিত লোক গঙ্গাস্নান করতে গিয়ে মহাহরিধ্বনি করছিলেন , সেই সময়ে শচীমাতার কোলে গৌরহরির জন্ম হয় । জন্মস্থানে নিমগাছ এবং জগন্নাথ মিশ্র ও শচীদেবী নিমাইকে কোলে নিয়ে উপবিষ্ট আছেন । নিমগাছের পাশেই ক্ষেত্রপাল শিব বিরাজমান । এই যোগপীঠ মন্দিরে গৌরসুন্দর , বিষ্ণুপ্রিয়া-লক্ষ্মীপ্রিয়া , রাধামাধব , পঞ্চতত্ত্ব বিগ্রহ বিরাজমান । জগন্নাথ মিশ্র সেবিত শালগ্রাম বিদ্যমান । অপর মন্দিরে গৌর গদাধর ও সংকটনাশন লক্ষ্মীনৃসিংহদেব রয়েছেন । পাশেই গৌরকুণ্ড । ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের স্মৃতি মন্দির ।

        মহাপ্রভু ঘাট — যোগপীঠ থেকে পশ্চিম দিকে ' মহাপ্রভু ঘাট ' ছিল । দুটি শিমূল গাছ দেখা যায় । গঙ্গা খাদ দেখা যায় । বর্তমানে নীচু ধানজমি । এখানে গঙ্গাদেবীকে যমুনার মতো সৌভাগ্যবতী করেছেন । এই ঘাটের দক্ষিণ দিকে বৃদ্ধশিব ঘাট ছিল । মাধাই ঘাট - মহা ঘাটের যাট হাত উত্তরে এই ঘাট ছিল । ' নবদ্বীপবাসীর চরণে আমি মহা অপরাধী এই দুঃখে মাধাই কাঁদতে থাকলে , তার অপরাধ - মোচনের জন্যে নিত্যানন্দ প্রভু প্রতিদিন তাকে স্বহতে গঙ্গার এই ঘাটটি পরিষ্কার করতে নির্দেশ দেন । বারকোণা ঘাট — মাধাই ঘাটের কুড়ি হাত উত্তর দিকে বারকোণা ঘাট ছিল । মহাপ্রভুর নির্দেশে বিশ্বকর্মা এই ঘাট নির্মাণ করেছিলেন । এখানে ইসকন মন্দিরে শ্রীশ্রী নৃসিংহদেবগ্রাহ পাঁচটি শিবলিঙ্গ পুজিত হতেন । এই ঘাটে একদিন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তার ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছিলেন । সেই সময় কেশব কাশ্মিরী নামে সরস্বতীদেবীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত দিগ্বিজয়ের উদ্দেশ্যে নবদ্বীপে এসে উপস্থিত হলে বড় বড় পণ্ডিতেরা লুকিয়ে পড়েন । কিন্তু এখানে নিমাই পণ্ডিতের সন্ধান পেলেন । মহাপ্রভু বললেন , আপনি দয়া করে গঙ্গামাহাত্ম্য বর্ণনা করুন । তিনঘণ্টা যাবৎ সুগম্ভীর সংস্কৃত ছন্দে গঙ্গামাহাত্ম্য তিনি বর্ণনা করলেও মহাপ্রভু বহু রকমের ভুল চিহ্নিত করলেন । এই বারকোণা ঘাটে কেশব কাশ্মিরী পণ্ডিতের সমস্ত দর্প চূর্ণ হয়ে যায় । তারপর দুঃখিত পণ্ডিত শ্রীসরস্বতীদেবীর নির্দেশে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পাদপদ্মে আত্মসমর্পণ করে হরিনামে ব্রতী হন ।

        শুক্লাম্বর কুটির — বারকোণা ঘাটের কাছে শুক্লাম্বর ব্রহ্মচারী নামে এক দরিদ্র ভিক্ষুক বাস করতেন । শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ব্রহ্মচারীর ভিক্ষার ঝোলা থেকে কঁাচা চাল নিয়ে পরমানন্দে খেতে থাকলে শুক্লাম্বর ব্রহ্মচারী বলেছিলেন , আবাছা বালক

        অনুপযুক্ত চাল খাওয়া ঠিক নয় । কিন্তু মহাপ্রভু ভক্তের দ্রব্য প্রীতমনে কেড়ে কেড়ে খান । ছোট্ট কুটির হলেও মহাপ্রভু কয়েকজন ভক্ত সংগে শুক্লাম্বরের রান্না অম্ল - ভোজন করে সেখানে বিশ্রাম নেন ।

        নাগরিয়া ঘাট- বারকোণা ঘাটের উত্তর দিকে এই ঘাট ছিল । গঙ্গানগর গ্রামে ঘাট নাগরিয়া ঘাট ।

        গঙ্গানগর — এই স্থানে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বাল্যকালে গঙ্গাদাস পণ্ডিতের গৃহে এসে ব্যাকরণ শাস্ত্র পড়াশুনা করতেন । সত্য যুগে এ স্থানে ভগীরথ গঙ্গাকে নিয়ে এলে গঙ্গার জলধারা এখানে স্থির হয়ে থাকে । ভগীরথ সাগর অভিমুখে চলার জন্য প্রার্থনা জানালে মা গঙ্গা বলেন ' এখন মাঘমাস ফাল্গুন মাসেই আমার প্রভুর জন্ম উৎসব । সেই উৎসব দেখে তবে যাব । ভগবানের লীলা অতীত , বর্তমান , ভবিষ্যত ধরে আমরা বিচার করলেও তার চিন্ময় লীলা জড়জাগতিক সময় হিসাবের ঊর্ধ্বে । বর্তমানে এ স্থান ধানচাষ এলাকা ।

        কুসুমকানন — শ্রীগদাধর পণ্ডিত এই স্থানে নানা সুগন্ধি ফুল চয়ন করতেন । মালা তৈরি করে শ্রীগৌরসুন্দরকে পরাতেন । বর্তমানে এখানে শ্রীশ্রীগৌরগদাধর মন্দির বিদ্যমান ।

        নন্দন আচার্য ভবন — শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু অবধূত রূপে নানাতীর্থ ভ্রমণের পর মায়াপুরে এই স্থানে এসে থাকলেন । শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভুর মায়াপুরে সর্বপ্রথম এবং বিগলিত প্রেমময় মিলন স্থান । একদিন মহাপ্রভুর মহাপ্রকাশকালে অদ্বৈত আচার্য প্রভু ছল করে এখানে লুকিয়ে থাকলে অন্তর্যামী মহাপ্রভু তার লুকানো বিষয়টি শ্রীবাস অঙ্গনে প্রকাশ করে তাকে ডাকালেন । এখানে বর্তমানে শ্রীশ্রীগৌর - নিতাই পূজা বিদ্যমান ।

       

    ইসকন মন্দিরে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান সমূহ

        ক) প্রভুপাদের ভজন কুটির- সারা ভারত পর্যটনকারী শ্রীশ্রীগৌরনিতাই এখানে সেরিত হচ্ছেন ও দিনরাত অখণ্ড হরিনাম কীর্তন চলছে । মায়াপুরে বিশ্ব পারমার্থিক রাজধানী গঠনের প্রথম সূত্রপাত হল এই ছোট্ট কুটির খানি । শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ বিদেশী অনুগামীদের নিয়ে জঙ্গলময় বড় বড় মশা ও সাপের স্থানে এইখানে আস্তানা গড়েছিলেন ।

        খ ) প্রভুপাদের পুষ্পসমাধি মন্দির- কারুকার্য খচিত দেওয়ালগুলিতে রয়েছে পৌরাণিক লীলাচিত্র । সমাধির সামনে উচ্চ ফোয়ারা সমন্বিত পুষ্করিনী । এই পুষ্পসমাধিতে ভেতরে অষ্টধাতুর প্রভুপাদ মূর্তি । চারপাশে গুরুপরম্পরার মুর্তি । নিচে প্রেক্ষাগৃহে ভক্তিকথা চিত্র দেখানো হয় । উপরে প্রভুপাদজীবনী মিউজিয়াম রয়েছে । উপর তলায় গিয়ে শ্রীমায়াপুরের দৃশ্য দর্শন করা যায় ।

        গ ) শ্রীমায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির- এই মন্দিরে নিত্য নবসাজে সজ্জিত সুদৃশ্য অষ্টসখী পরিবৃত শ্রীশ্রীরাধামাধব , শ্রীনৃসিংহদেব এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অষ্টধাতুময় শ্রীপঞ্চতত্ত্ব বিগ্রহ বিরাজমান । প্রতিদিনই বহু দর্শনার্থীর উদ্দণ্ড নৃত্য কীর্তন আনন্দে আরতিময় শ্রীমন্দিরটি ভরপুর থাকে ।

        ভক্তিবিঘ্ন বিনাশক প্রহ্লাদনাথ শ্রীনৃসিংহদেব প্রতিদিনই আগন্তুক ভক্তদের শ্রীচরণ স্পর্শ দিয়ে কৃপা করে থাকেন ।

        শ্রীশ্রীপঞ্চতত্ত্ব অর্থাৎ দুবাহু প্রসারিত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং তার দুই পাশে নিত্যানন্দ প্রভু ও গদাধর পণ্ডিত এবং দুই ধারে অদ্বৈত প্রভু ও শ্রীবাস ঠাকুর সারা বিশ্বের মানুষকে হরিনাম কীর্তন করে জন্ম সার্থক করতে উদার আহ্বান করছেন।

        শ্রীশ্রীরাধামাধবের দুই দিকে ললিতা , বিশাখা , চম্পকলতা , চিত্রা , তুঙ্গবিদ্যা , ইন্দুলেখা , রঙ্গদেবী ও সুদেবী — এই পরমপ্রেষ্ঠ সখীরা সযত্নে রাধামাধবের প্রীতিবিধান করে আনন্দময় সেবায় নিযুক্ত হওয়ার জন্য জগতের মানুষকে প্রেরণা প্রদান করছেন ।

        ঘ ) শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর জীবনী ও শিক্ষা সম্বন্ধীয় প্রদর্শনী — সুন্দর মডেলগুলি দর্শন করে মন জুড়িয়ে যাবে ।

        ঙ ) গুরুকুল – শিশুদের জন্য গুরুকুল বিদ্যালয় রয়েছে । খেলাধুলা , ছবি আঁকা , ইংরেজী , বাংলা , অঙ্ক ইত্যাদি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা দেওয়া হয় । তাছাড়াও আছে দুটি ইংলিশ ও বাংলা মিডিয়াম স্কুল ।

        চ ) গোশালা — বিভিন্ন জাতের গাভী রয়েছে । গো পালনের জন্য বিভিন্ন ঘাসের চাষ করা হয় । গোদুগ্ধ ভগবদ্ সেবায় এবং ভক্তসেবায় নিয়োজিত হয় । গোমূত্র থেকে গোঅর্ক মহৌষধ তৈরি করা হয় । গোবরের ঘুঁটে থেকে দাঁত মাজন , গোবর সার দিয়ে জমি উর্বর করা হয় ।

       

    অন্যান্য তথ্য


       অতিথিভবন ও ধর্মশালা — বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের গৌরধাম দর্শনে এসে আশ্রয় পাওয়ার উদ্দেশ্যে গড়ে উঠেছে বড় বড় অতিথিশালা — গদাভবন , বংশীভবন , শঙ্খভবন , চক্রভবন , পদ্মভবন , গৌরনিতাই ধর্মশালা , হরেকৃষ্ণ ধর্মশালা , নিত্যানন্দ কুটীর , গৌরাঙ্গ কুটীর ইত্যাদি ।

        আপনি যদি শ্রীধাম মায়াপুরে রাত্রিযাপন করতে চান তাহলে কোনো হোটেলে বা যেখানে সেখানে না থেকে ইসকন অতিথিভবন বা ধর্মশালায় যোগাযোগ করুন ; রাত্রিযাপনের সুন্দর এবং নিরাপদ ব্যবস্থা আছে । ইসকন অতিথিভবনে স্থানের অভাব থাকলে স্থানীয় বিভিন্ন গৌড়ীয় মঠের অতিথিভবনে রাত্রিযাপন করাও নিরাপদ ।

        মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা — শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর ধামে এসে কোনো প্রকার আমিষখাদ্য গ্রহণ করা অত্যন্ত অপরাধজনক । বাহিরের হোটেলে পেঁয়াজ - রসুনযুক্ত আমিষ জাতীয় অপরিষ্কার অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করবেন না । আপনাদের সুবিধার জন্য ইসকন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রকারের সুস্বাদু প্রসাদের ব্যবস্থা রেখেছেন ।

        ( ক ) শ্রীশ্রীরাধামাধবের রাজভোগ : দুপুর ১ টায় এই মহাপ্রসাদ মন্দিরে পাওয়া যায় । এই মহাপ্রসাদের জন্য পুজারী বিভাগে সকাল ৯-১০টার মধ্যে যোগাযোগ করতে হয় ।

        ( খ ) সুলভ ভোজনালয় : এখানে বেলা ১১ টা থেকে ২ টার মধ্যে অন্ন প্রসাদ পরিবেশন করা হয় । যাত্রীগণ মেনগেটের কাছে সুলভ কুপন সংগ্রহ করবেন । শুক্রবার ও শনিবার বিকাল ৫ টায় বিনামুল্যে খিচুড়ি প্রসাদ দেওয়া হয় ।

        ( গ ) গেস্ট হাউস প্রসাদ : গদা ভবনে দুপুর ১ টায় এবং রাত ৮.৩০ অন্ন প্রসাদ পরিবেশন করা হয় । এই মহাপ্রসাদের জন্য গদা ভবন রিসেপশন অফিসে কমপক্ষে দেড়ঘণ্টা আগে থেকে কুপন নিতে হয় ।

        ( ঘ ) ইসকন ফুড রিলিফ্ : প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় এবং বিকাল ৫ টায় সমাগত যাত্রীদের বিনামূল্যে খিচুড়ি প্রসাদ পরিবেশন করা হয় শ্রীশ্রীরাধামাধব মন্দিরের সম্মুখ প্রান্তরে । তাছাড়াও গৌরপূর্ণিমা , জন্মাষ্টমী , নন্দোৎসব , গোবর্ধন পূজা ইত্যাদি বিশেষ দিবসগুলিতে সারাদিন ধরে আগত দর্শনার্থীদের মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয় ।

        ( ঙ ) রাধামাধবের কেক লাড্ডু প্রসাদ : মন্দিরে প্রবেশ করার ডানদিকে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা এবং বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে কেক লাড্ডু খাজা ইত্যাদি শুকনো মহাপ্রসাদ পাওয়া যায় ।

        ( চ ) গোবিন্দ ভোজনালয় প্রসাদ : যাত্রীদের সুবিধার জন্য সকাল ৭.৩০ থেকে দুপুর ২ টা এবং বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এই রেষ্টুরেন্ট খোলা থাকে ।

        পূজা – শ্রীবিগ্রহের পুজো দিতে হলে মূল মন্দিরে শ্রীশ্রীরাধামাধবের বামদিকে একটি ডেস্কের নিকট উপবিষ্ট ভক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করুন । সেখানে আপনার কাছ থেকে পূজার জন্য নৈবেদ্য বা ভিক্ষামূল্য গ্রহণ করা হবে এবং পূজার প্রসাদ আপনাকে দেওয়া হবে । কিংবা মন্দির মধ্যেই স্টল থেকে ফুল মালা বা ফল নৈবেদ্য সংগ্রহ করে পূজা দিতে পারবেন ।

       
  • কয়েকটি বিশেষ দর্শনীয় স্থানে প্রবেশের নির্ধারিত সময়সূচী

    দর্শনীয় স্থান খোলার সময়
    শ্রীল প্রভুপাদ পুষ্পসমাধি মন্দির ভোর ৪ টা - দুপুর ১ টা, বিকেল ৩.৩০ - রাত ৮.৪৫
    শ্রীল প্রভুপাদ মিউজিয়াম সকাল ৯.৩০ টা - দুপুর ১ টা , বিকেল ৩.৩০ - রাত ৮.৪৫
    শ্রীশ্রীচন্দ্রোদয় মন্দির ভোর ৪.১৫-৫.১৫ . সকাল ৭ টা - দুপুর ১ টা , বিকাল ৪ টা - রাত ৮.৩০
    শ্রীশ্রীচেতনামহাপ্রভুর জীবনী প্রদর্শনী সকাল ৫.৩০-৬.৩০ , সকাল ১০ টা - দুপুর ১, টা বিকাল ৪ টা সন্ধ্যা ৬ টা
  • শ্রীমায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরের অনুষ্ঠান সূচী

    পূজার্চনার সময়সূচী সাধারণ সময় শীতকাল
    মঙ্গল আরতি ভোর ৪.৩০ ভোর ৪.৩০
    নৃসিংহদেবের আরতি ভোর ৪.৫৫ ভোর ৪.৫৫
    তুলসী পূজা ভোর ৫.১০ ভোর ৫.১০
    রাজবেশ দর্শন সকাল ৭.০০ সকাল ৭.০০
    শ্রীল প্রভুপাদের পূজা সকাল ৭.৩০ সকাল ৭.৩০
    শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ সকাল ৮.০০ সকাল ৮.০০
    রাজভোগ আরতি দুপুর ১২.০০ দুপুর ১২.০০
    ধুপ আরতি বিকাল ৪.০০ বিকাল ৪.০০
    তুলসী আরতি সন্ধ্যা ৬.১৫ সন্ধ্যা ৫.৪৫
    সন্ধ্যারতি সন্ধ্যা ৬.৩০ সন্ধ্যা ৬.০০
    নৃসিংহদেবের আরতি সন্ধ্যা ৭.৩০ সন্ধ্যা ৭.১৫
    শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতা পাঠ সন্ধ্যা ৭.৪৫ সন্ধ্যা ৭.৩০
    শয়ন আরতি রাত ৮.৪৫ রাত ৮.৩০
  • শ্রীমায়াপুর ঘাট থেকে পরপর দর্শনীয় সুদৃশ্য মন্দির

    সুদৃশ্য মন্দিরময় এলাকা শ্রীধাম মায়াপুরের দক্ষিণ প্রান্তে সরস্বতী এবং পশ্চিম প্রান্তে গঙ্গার স্নিগ্ধ সলিলরাশি দিয়ে ঘেরা । দক্ষিণপ্রান্তে শ্রীমায়াপুর ঘাট থেকে উত্তর প্রান্তে রাজাপুর পর্যন্ত দর্শনীয় মন্দিরসমূহ—
    মন্দির প্রতিষ্ঠাতা আচার্য সেবিত শ্রীবিগ্রহ
    ১। শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিদয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজ শ্রীক্ষেত্রপাল শিব
    ২। শ্রীরূপানুগ ভজনাশ্রম শ্রীমদ্ ভক্তিবিলাস ভারতী গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধাশ্যামসুন্দর
    ৩। শ্রীপরমহংস গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ ভক্ত্যালোক পরমহংস মহারাজ শ্রীশ্রীগৌরগদাধর
    ৪। শ্রীগৌরাঙ্গ গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিসৌরভ ভক্তিসার গোস্বামী মহারাজ শ্রীষড়ভূজ গৌরাঙ্গ
    ৫। শ্রীগোপীনাথ গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিপ্রমোদ পুরী গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধাগোপীনাথ
    ৬। শ্রীসারস্বত গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিশরণ শান্ত গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধাগোবিন্দ
    ৭। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিকমল মধুসুদন গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ
    ৮। শ্রীচৈতন্য ভাগবত মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিবিচার যাযাবর গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধাগোপীনাথ
    ৯। শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিদয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধামদনমোহন
    ১০। শ্রীশ্রীগৌর - নিত্যানন্দ মন্দির ( নন্দনাচার্যভবন ) শ্রীমদ্ ভক্তিসারঙ্গ গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীগৌরনিতাই
    ১১। ইসকন শ্রীমায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ শ্রীশ্রীরাধামাধব, শ্রীপঞ্চতত্ত্ব , শ্রীনৃসিংহদেব
    ১২। শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় সেবাশ্রম শ্রীমদ্ ভক্তিপ্রপন্ন পরিব্রাজক গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধামদনগোপাল
    ১৩। শ্রীচৈতন্য মিশন শ্রীমদ্ ভক্তিবৈভবপুরী গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধারাসবিহারী
    ১৪। শ্রীসন্ত গোস্বামী গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিকুমুদ সন্ত গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধাদামোদর
    ১৫। শ্রীচৈতন্য ইন্‌ষ্টিটিউট শ্রীমদ্ ভক্তিশরণ নারায়ণ গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধাশ্যামসুন্দর
    ১৬। শ্রীগৌর গদাধর আশ্রম ( কুসুমকানন ) শ্রীমদ্ রসানন্দ বন গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীগৌরগদাধর
    ১৭। ইরূপভাগবত গোস্বামী গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ অমলকৃষ্ণ ব্রহ্মচারী শ্রীজগন্নাথদেব
    ১৮। গ্রীসারস্বত গৌড়ীয় ভ্রমণ আশ্রম শ্রীমদ্ ভক্তিকুসুম শ্রমণ গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধামদনমোহন
    ১৯। শ্রীরূপানুগ গৌড়ীয় মঠ শ্রীমদ্ ভক্তিবিজয় সাগর গোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ
    ২০। শ্রীযোগপীঠ ( নিমাইয়ের জন্মস্থান ) শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ শ্রীগৌরাঙ্গ, শ্রীশ্রীরাধামাধব, শ্রীশ্রীগৌর - গদাধর
    ২১। শ্রীবাস অঙ্গন ( খোলভাঙ্গা ডাঙ্গা ) শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ শ্রীপঞ্চতত্ত্ব
    ২২। শ্রীচৈতন্য মঠ ( মহাপ্রভুর মাসির বাড়ী ) শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ শ্রীগৌর - গান্ধর্বিকা - গিরিধারী
    ২৩। শ্রীমুরারিগুপ্ত শ্রীপাট শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ শ্রীরাম - সীতা - লক্ষ্মণ
    ২৪। ভক্ত চাঁদকাজীর সমাধি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর রোপিত শ্রীগোলোক চাঁপাগাছ
    ২৫। ইসকন রাজাপুর শ্রীশ্রীজগন্নাথ মন্দির শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ শ্রীশ্রীজগন্নাথ - বলদেব - সুভদ্রা
  • শ্রীমায়াপুর আসার পথ - নির্দেশ

    গাড়িতে — ' ন্যাশনাল হাইওয়ে ৩৪ ’ ধরে বহরমপুর যাবার পথে কৃষ্ণনগর ছাড়িয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার যাবার পর পথের বাঁ দিকে শ্রীমায়াপুর রোডে মোড় ফিরুন । এই পথে আপনি সোজা শ্রীধাম মায়াপুরে এসে পৌঁছোবেন ।

        ট্রেনে – শিয়ালদহ স্টেশন থেকে কৃষ্ণনগর জংশন । সেখান থেকে বাস , স্কুটার - রিক্সা বা ট্যাক্সি পাবেন ‘ নবদ্বীপ ঘাট ' পর্যন্ত । সেখান থেকে জলঙ্গী নদীর অপর পারে শ্রীধাম মায়াপুর ।

        হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠলে নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে নামতে হবে । সেখান থেকে রিক্সা করে নবদ্বীপ খেয়া ঘাটে এসে গঙ্গা পার হলেই শ্রীধাম মায়াপুর । বিশেষ দ্রষ্টব্য : শ্রীধাম মায়াপুর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে হলে “ শ্রীমায়াপুর দর্শন ” নামে গ্রন্থটি সংগ্রহ করুন ।

  • পরবর্তী তীর্থস্থান ২৯ ) কুম্ভমেলা
  • * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।