ভক্তসঙ্গে তীর্থ দর্শন, পূণ্যভূমী- তীর্থক্ষেত্র , গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্রের মহিমা ও এসংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ।

গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্র গুলো কোথায় কোথায় অবস্থিত, সেখানে কীভাবে যাবেন? তীর্থক্ষেত্র দর্শনে যেয়ে কোথায় থাকবেন, কি খাবেন ইত্যাদি বিষয়ে ভগবদ্ভক্তদের বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ।

  • শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যেখানে এসেছিলেন

    পাণ্ডারপুর

    বেণুধারী দাস ব্রহ্মচারী

    শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ৪৮ বৎসর এই ধরাধামে প্রকট থেকে তাঁর অপ্রাকৃত লীলা বিলাস করেছিলেন । তাঁর জীবনের প্রথম ২৪ বৎসর তিনি নবদ্বীপে শৈশব ও গার্হস্থ্য লীলা প্রকাশ করেছিলেন । তাঁর শেষ ২৪ বৎসর দুইভাবে প্রকাশিত — প্রথমাংশ ৬ বৎসর গমনাগমন ও শেষাংশ ১৮ বৎসর পুরুষোত্তম ধামে অন্তরঙ্গ সঙ্গে কৃষ্ণকথা আস্বাদন ও বিরহ প্রকাশ লীলা প্রকাশ করেন , ৬ বৎসর ভ্রমণ মধ্যে শ্রীমন্ মহাপ্রভু দক্ষিণ ভারত যাত্রা বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ।

    দক্ষিণ গমন প্রভুর অতি বিলক্ষণ ।
    সহস্র সহস্ৰ তীৰ্থ কৈল দরশন ॥
    সেই সব তীর্থ স্পর্শি মহাতীৰ্থ কৈল ।
    সেই জলে সেই দেশের লোক নিস্তারিল ॥
    শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের মধ্যলীলায় ৯ ম পরিচ্ছেদে দক্ষিণ ভারত পর্যটন লীলার বর্ণনা রয়েছে এবং তা বিশেষ বৈশিষ্টপূর্ণ কেননা তিনি সহস্র সহস্র তীর্থ দর্শন করেছিলেন । সেই ছলে তিনি সেই দেশের সমস্ত মানুষদেরও উদ্ধার করেছিলেন । নীলাচল পুরী থেকে বিদ্যানগর — শুরু করে শ্রীমন্মহাপ্রভু দক্ষিণ

        অংশের সমস্ত তীর্থ পর্যটন করে মহারাষ্ট্রের কোলাপুর ও শ্রীলক্ষ্মীদেবীর শ্রীবিগ্রহ দর্শন করেন ।

    তথা হৈতে পান্ডরপুরে আইলা গৌরচন্দ্র ।
    বিঠ্ঠল - ঠাকুর দেখি ' পাইলা আনন্দ ॥

    যেখান থেকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু পান্ডারপুরে যান এবং সেখানে বিল ঠাকুর দর্শন করে মহা আনন্দিত হন । পাস্তারপুর শহর মহারাষ্ট্র প্রদেশে শোলাপুর জেলায় ভীমা নদীর তীরে অবস্থিত । এখানে বিঠল বা বিঠোবাদের নামক নারায়ণ বিগ্রহ রয়েছেন ।

        ভগবান বিঠ্ঠল দেবের আবির্ভাব প্রসঙ্গে বলা হয়েছে — প্রাচীন যুগে পুন্ডলীগ নামে এক ভক্ত পিতামাতার ঐকান্তিক সেবক ছিলেন , তাঁর দীক্ষাগুরু শ্রীকুকুটস্বামীর নির্দেশ মতো তাঁর জীবনকে পিতা - মাতার সেবায় উৎসর্গ করেছিলেন , তাঁর ঐকান্তিক সেবা নিষ্ঠায় ভগবান দ্বারকাধীশ অত্যন্ত প্রসন্ন হয়েছিলেন , তিনি যখন শয়ন কক্ষে পিতামাতার শয়ন সেবায় নিমগ্ন তখন ভগবান তাঁর গৃহে আবির্ভূত হন , ভগবানের অঙ্গছটায় জ্যোর্তিময় গৃহে তিনি ভগবানকে ঠিকমতো দর্শন করতে পারেননি । ভগবান বললেন , পুন্ডলীক , আমি তোমাকে দর্শন দিতে এসেছি । পুন্ডলীক সেবা ছেড়ে যেতে না পারায় তিনি ভগবানকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে একটি ইঁট ছুঁড়ে দেন এবং বলেন ওখানে অবস্থান করুন । সেবা শেষে আমি আপনাকে আহ্বান করব এবং দর্শন করব । মারাঠা ভাষায় ইটকে ' বিট ' বলে এবং ' স্থল ' বা অবস্থান অর্থাৎ ইটের উপর অবস্থান করেছিলেন তাই ( বিট্ + স্থল ) বিঠঠল ভগবান নামে প্রসিদ্ধ । কিছুক্ষণ অবস্থানের পর সেবা সেরে পুন্ডলীক ভগবানকে দর্শন করেন ও স্তবস্তুতি - বন্দনাদি করেন । ভগবান তাঁর ভক্তিতে অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে তাকে কিছু বর প্রদান করতে চাইলে পুন্ডলীক বললেন — আমি আপনার দর্শনেই কৃতার্থ আমি আর কিছুই চাই না । ভগবানের ইচ্ছাক্রমে তিনি চাইলেন প্রভু , আপনি যদি কিছু আমাকে দিতেই চান তাহলে এই বর প্রদান করুন — যে স্বরূপে আমার সামনে আমাকে দর্শন দিচ্ছেন ঠিক সেইভাবেই আমার মা - বাবাকে দর্শন দিন । ভগবান বললেন , তারাতো বিশ্রামে রয়েছে— তাদের ঘুমে বিঘ্ন হোক আমি চাই না । তাহলে প্রভু তাদের জাগরণ পর্যন্ত অবস্থান করুন , পুন্ডলীক বললেন । করুণাময় ভগবান পুন্ডলীকের ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে তা স্বীকার করলেন ও বললেন পুন্ডলীক তুমি আরও কিছু আমার কাছে চাও । পুন্ডলীক বললেন হে প্রভু ! মহারাষ্ট্রের লোক খুবই গরীব , তারা আপনার লীলাস্থলী — বৃন্দাবন - দ্বারকা আদি স্থানে দর্শনে যেতে পারে না । তাই তাদেরকে আপনি এখানে আপনার বৃন্দাবন দ্বারকা লীলাদি প্রকাশ করে তাদের দর্শন দিয়ে ধন্য করুন । ভক্তবৎসল ভগবান তাও স্বীকার করলেন — বললেন তথাস্তু ৷ তাই ভগবান বিঠ্ঠল দেবজী এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন কখন জীবগণ আমার দর্শনে আসবে । বর্তমান মন্দিরটি যেস্থানে অবস্থিত রয়েছে সে স্থানকে অভিন্ন দ্বারকাপুরী বলা হয় , সেস্থানে ভগবানের ঐশ্বর্য মন্ডিত রাজসেবা সাধিত হয়। আর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে যে পুন্ডলীকের সামনে তিনি যে স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন সেই স্বয়ম্ভু বিগ্রহ আজও পূজিত হচ্ছেন , ঐ স্থান থেকে স্থলপথে ৩ কিলোমিটার ও জলপথে ১ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর নামে এক গ্রাম অবস্থিত তা ভগবানের বৃন্দাবন লীলাস্থান বলে পরিচিত , সেখানে ভগবানের বংশী নাদনস্থান । বংশীধ্বনি শ্রবণে আকৃষ্ট ব্রজভূমির মতোই গোপ - গোপী গাই - বাছুরের বহু পদচিহ্ন সহ ভগবানের পদচিহ্ন বিশেষভাবে দর্শনীয় । তাছাড়াও বৃন্দাবনের অনুকরণে এখানে ভগবানের বহু লীলা সম্পাদিত হয়েছিল । ওখানে নারদজীর মন্দির , ভক্ত শ্রীজনাবাইর সমাধি ও শ্রীগোপালজী মন্দির খুবই প্রসিদ্ধ এবং সেখানে ভগবানের অনন্ত লীলা কথা শ্রবণীয় কাহিনীও রয়েছে । পুন্ডলীককে বর দিয়ে ভগবান এখানে তাঁর বৃন্দাবন ও দ্বারকা লীলাদি প্রকাশ করেছিলেন ।

        এখানে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে , পিতামাতার সেবা করে একজন কিভাবে ভগবানকে প্রসন্ন করতে পারে বা তাঁকে পেতে পারে ? ভগবান ইচ্ছাময় স্বরাট্ পুরুষ তিনি কাউকে কৃপা করলে করতে পারেন । তবে এর পিছনে একটি ইতিহাস শোনা যায় — একবার নারদজী দ্বারকা দর্শনে গিয়ে দেখেন ভগবান দ্বারকাধীশ , তিনি কিছুটা অপ্রসন্ন ও উদাসীন ভাবে অবস্থান করছেন । নারদজী তাঁর কারণ জানতে চাইলে ভগবান বললেন আমি এই জগতে মনুষ্যলীলা সম্পাদন করতে এসে সমস্ত কিছুই কর্তব্য সম্পাদন করেছি ( যদিও ভগবানের কোনও কর্তব্য নেই তথাপি তাঁর লীলাভিনয় মাত্র ) কিন্তু আমি আমার পিতা - মাতার সেবা করতে পারলাম না , এটাই আমার দুঃখের কারণ । বিশেষ করে কারাগারে দেবকী - বসুদেবের স্মৃতি জাগরণ করে ভগবান এতটাই মর্মাহত হয়ে পড়লেন তিনি নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলেন না । শ্রীনারদজী বললেন , ঠিক আছে , এজগতে এমন এক ব্যক্তি , যে পিতামাতার সেবা করে তার জীবনকে ধন্য করেছে তাকে দর্শন করলেই আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হবে । আর নারদজী তার সন্ধান হিসেবে পান্ডারপুরের পুন্ডলীকের কথা বললেন । আর সেই জন্যই ভগবান এখানে পুন্ডলীকের গৃহে পিতা - মাতার সেবা দেখে স্থির হয়ে দর্শন করে খুবই প্রসন্ন হয়েছিলেন ।

        আর একটি কারণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে — একবার শ্রীমতী রাধারাণী দ্বারকায় ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার বাসনায় এসেছিলেন । ভগবান নিভৃতে রাধারাণীর সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন । আর নারদজী সেই সংবাদ রুক্মিনী দেবীর কাছে প্রকাশ করায় তিনি খুবই অপ্রসন্ন হন এবং তৎক্ষণাৎ তিনি গৃহ ( দ্বারকা ) পরিত্যাগ করে পিত্রালয়ে উপস্থিত হয়ে পিতার কাছে অভিযোগ তোলেন ৷ কন্যা রুক্মিনীকে সান্ত্বনা দিয়ে পিতা বললেন , তুমি গৃহে ফিরে যাও , কেননা কন্যা বিবাহ পরে শ্বশুরালয়ের অধীন , আর স্বামী - স্ত্রীর টুকিটাকী একটু আধটু সেটা মিটিয়ে নাও । রুক্মিনী পিতৃবাক্যে সেস্থান ত্যাগ করলেন , কিন্তু তিনি দ্বারকায় ফিরলেন না । তিনি এস্থানে এসে ডিভিরবনে মান করে থাকলেন। ভগবান দ্বারকাধীশ তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্যও এস্থানে এসেছিলেন ।

        মুখ্য দর্শনীয় হিসেবে ভগবান বিঠ্ঠল দেবের দুই স্বয়ম্ভু বিগ্রহ বিশেষ দর্শনীয় , আরও রয়েছে ভীমানদীর তীরবর্তী পুন্ডলীক আশ্রম , তার সেবাস্থলী রুক্মিনী মন্দির , সত্যভামার মন্দির , শ্রীমতী রাধারাণীর মন্দির , শ্রীশ্রীদ্বারকাধীশের মন্দির , নামদেবজীর সমাধি , দামুশেঠজীর সমাধি , চোখামেলার সমাধি , সন্ত শ্রীকান্থো পাত্রা বেশ্যার সমাধি ও বহুদেবদেবী মন্দির রয়েছে । মন্দির গাত্রে ভগবানের অবতারগণের বহুচিত্র অঙ্কিত ও মন্দির দর্শন করা যায় ।

        ভগবান বিঠ্ঠলদেব ভক্ত পুন্ডলীককে যে রূপে দর্শন দিয়েছিলেন সেই স্বয়ম্ভু বিগ্রহ সেই রূপে আজও ভক্তদের তিনি দর্শন দিচ্ছেন । তিনি পীতাম্বর পরিহিত , নূপুর শোভিত তাঁর দুই পদযুগল , কোমরে বন্ধনী , দুই হস্তে বংশী ও গদা শোভিত , তাঁর বিশালবক্ষে শ্রীবৎস চিহ্ন অঙ্কিত , কর্ণে কুন্ডল , তিলক শোভিত সুদৃশ্য ললাট , মস্তকে শিখিপুচ্ছ শোভিত হাস্যোজ্জ্বল শ্রীমুখমন্ডল শ্রীদ্বারকানাথ শ্রীবিঠঠল দেবের শ্রীবিগ্রহ অতীব মনোহর । আর একটি বিশেষত্ব এই যে প্রত্যেকে ভগবানের শ্রীচরণ স্পর্শ প্রণাম ও স্তব - স্তুতি করেন এবং বহুক্ষণ দর্শনের সুবিধা রয়েছে । ত্রিভুবনে তিনি ত্রিভঙ্গ ললিত ( অর্থাৎ একপায়ে ওর করে অন্য পদে নৃত্য ভঙ্গিতে ) রূপে তিনি দর্শনীয় , এখানে ভিন্নতা , কেবল তিনি দুই পদে ভর করে সমান ভাবে দণ্ডায়মান । কোমরে হাত রেখে তিনি অপেক্ষারত - দর্শনাভলাষী ভক্তদের দর্শনদানের জন্য , তিনি অপেক্ষারত যে জীব আমাকে দর্শন করতে আসবে এবং আমাকে দর্শন করে তারা তাদের ত্রিতাপ জ্বালা থেকে মুক্ত হবে । তাই ভক্তবৃন্দ যারাই দর্শনে আসেন তারাই দর্শন শেষে কান ধরে লাফাতে লাফাতে ( কেউ কেউ কান্না করতে করতে ) ক্ষমা প্রার্থনা করে বলতে থাকেন — প্রভু আপনি কতই করুণাময় আমাদের জন্য আপনার অবস্থান । আমি মূর্খ এ সংসারে পড়ে আপনাকে ভুলে রয়েছি । তাই আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি যে , আপনার কাছে আমার দেরীর জন্য ও বিগত পাপ কর্মের জন্য আমাকে ক্ষমা করুন । বহু বহু দর্শনার্থী এভাবে ভগবানকে নিত্য দর্শন , স্তব , স্তুতি পূজা ও প্রণাম করে ভগবান বিঠঠল দেবের কৃপালাভে কৃতার্থ হচ্ছেন ।

        মায়াবাদী শ্রীপাদ শঙ্করাচার্য এখানে এসেছিলেন এবং তিনি ভগবানের করুণা বিশেষভাবে প্রাপ্ত হয়েছিলেন — তিনি মায়াবাদ ভুলে গিয়ে ভগবানের মহিমাবর্ণনা করে তিনি সুন্দর স্তোত্র রচনা করেছেন যা পাণ্ডরঙ্গা নামে পরিচিত । মারাঠি ভাষায় সেই স্তোত্র মারাঠি ভক্তরা সকলেই কীর্তন করেন । তার বর্ণনামধ্যে একজায়গায় বলা হয়েছে — ভগবান বিঠঠলদেব দুইহাত কোমর বন্ধনীতে রেখে দাঁড়িয়ে আছেন কারণ — যে ভক্ত ভগবানের সেই স্বরূপ দর্শন করবে তার কাছে এই দুষ্পার ভবসমুদ্র এক কোমর হয়ে যাবে । সাধুগুরু বৈষ্ণবগণের করুণায় আমরা কয়েকজন ব্রহ্মচারী ভক্ত সেই করুণাময় বিঠঠলদেবের দর্শনে কৃতার্থ হয়েছিলাম ।

        দৈনন্দিন অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতি একাদশীতে লোক সমাগম বেশী হয় । তন্মধ্যে শয়ন , উত্থান , চৈত্র ও মাঘ একাদশীতে ( ৪ টি ) বিশেষ অনুষ্ঠানোপলক্ষে ( প্রায় ৫/৬ লক্ষ ) যাত্রী নদীয়ান করে ভগবান দর্শন করেন । অভিন্ন গঙ্গা ভীমানদী ভগবানের মন্দিরকে কেন্দ্র করে শহরের পাশ দিয়ে অর্ধচন্দ্রের ন্যায় প্রবাহিত হচ্ছে । তাই বর্তমান নদীটি চন্দ্রভাগা বলে প্রসিদ্ধা পুণ্যসলিলা চন্দ্রভাগার স্নান ও ভগবানের দর্শন এক দুর্লভ দর্শন যা মনুষ্যজীবনে অবশ্য করনীয় । শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর লিখেছেন—

    গৌর আমার যে সব স্থানে করিল ভ্রমণ রঙ্গে ।
    সেসব স্থান হেরিব আমি প্ৰণয় ভকত সঙ্গে ॥

    শ্রীগৌর মহাপ্রভুর পদাঙ্কিত ভূমিসকল গৌরপ্রেমী ভক্তের সঙ্গে স্পর্শ , দর্শন তাঁর মহিমা শ্রবণ - কীর্তন করে ধন্যাতিধন্য হওয়া উচিত । শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ভগবান বিঠঠলদেব দর্শন করে বহুনৃত্য কীর্তন করলেন ।

        প্রেমাবেশে কৈল প্রভু বহুত কীর্তন - নৰ্তন ।

    মহাপ্রভু এখানে বহুদিন অবস্থান করেছিলেন প্রত্যহ ভীমানদীতে স্নান করে ভগবানকে দর্শন করে প্রেমাপুত হতেন ।

        ভীমানদী স্নান করি , করে বিঠ্ঠল দর্শন ।
    তারপর এখানে শ্রীরঙ্গপুরীর সঙ্গে মিলিত হন এবং তাঁর কাছে মহাপ্রভুর বড়ভাই শ্রীবিশ্বরূপ শঙ্করারণ্যের এইস্থানে সিদ্ধিপ্রাপ্তি সংবাদ প্রাপ্ত হন । তাঁর পূর্বে নিত্যানন্দ প্রভু এখানে শ্রীশঙ্করারণ্যের সঙ্গে মিলিত হন এবং শ্রীশঙ্করারণ্য তাঁকে শক্তি সঞ্চার করেন । এইভাবে পান্ডরপুর ( বর্তমান পাত্তারপুর ) এর অনস্ত মহিমা অনন্তলীলা কথা রয়েছে আমি সংক্ষেপে কিছু শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মহিমা কীর্তন করে নিজেকে শোধন করলাম ।

        প্রভুর তীর্থযাত্রা - কথা শুনে যেই জন ।
    চৈতন্যচরণে পায় গাঢ় প্রেমধন ॥

    শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর তীর্থযাত্রার কথা যিনি শ্রবণ করেন , তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রীপাদপদ্মে গভীর প্রেমরূপ মহাসম্পদ লাভ করেন । খুদুয়াড়ী অথবাঁ শোলাপুর ষ্টেশন থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে এই পাস্তারপুর শহর । ভীমানদীর পশ্চিমপাড়ে শ্রীবিঠঠল মন্দির অবস্থিত এবং তার পূর্বপাড়ে আমাদের ইসকন মন্দির রয়েছে ও সেখানে একটি ছোট গেষ্টহাউসও রয়েছে ।

  • পরবর্তী তীর্থস্থান ১৩ ) নাসিক
  • * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।