ভক্তসঙ্গে তীর্থ দর্শন, পূণ্যভূমী- তীর্থক্ষেত্র , গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্রের মহিমা ও এসংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ।

গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্র গুলো কোথায় কোথায় অবস্থিত, সেখানে কীভাবে যাবেন? তীর্থক্ষেত্র দর্শনে যেয়ে কোথায় থাকবেন, কি খাবেন ইত্যাদি বিষয়ে ভগবদ্ভক্তদের বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ।

  • শ্রীকৃষ্ণের ক্রীড়াভূমি

    রৈবতক পর্বত

    অদ্ভুত হরি দাস

    ১১১৭ মিটার ( ৩,৬৬৬ ফুট ) উচ্চতা বিশিষ্ট গিরনার পর্বতের চূড়াই হচ্ছে গুজরাটের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। মহাভারত এবং বিভিন্ন পুরাণ থেকে জানা যায় , আগে এই পর্বতের পরিচয় ছিল রৈবতক পর্বত নামে। পাঁচ হাজার বৎসর আগে মনোমুগ্ধকর গুহা ও বনে সমৃদ্ধ এই পার্বত্যভূমি শ্রীকৃষ্ণের সমুদ্র তীরবর্তী দ্বারকা নগরীর পূর্বদ্বার রূপে অলঙ্কৃত ছিল । দ্বারকার প্রজাসকল , যাদবগণ রৈবতক পর্বতের স্বর্গসম উদ্যান ও অপূর্ব অরণ্যকে তাদের উৎসব ক্রীড়াদির আদর্শ স্থানরূপে ব্যবহার করত ।

        জুনাগড় নগরীর ঠিক বহির্ভাগেই এই রৈবতক পর্বত অবস্থিত । ভদোদরার ইসকন মন্দিরের পক্ষ থেকে আমি যখন গুজরাটে শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থ বিতরণের জন্য ভ্রমণ করছিলাম তখন আমি এই রৈবতক পর্বত অঞ্চলে যাই । রাজকোট থেকে যাত্রা শুরু করে আমরা উত্তরে রৈবতক পর্বতের দিকে এগিয়ে যাই । যাত্রাপথে যতই এগোচ্ছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম । যতই আমাদের গাড়ী জুনাগড়ের কাছাকাছি হচ্ছিল ততই পরিবেশ যেন শান্ত , ঘন অরণ্যময় অধ্যয়ন , ধ্যান ও গ্রন্থ বিতরণের আদর্শ স্থান হয়ে উঠছিল ।

        আমাদের সঙ্গে ছিল শোদান বক্সী নামে একজন সদস্য । তিনি আমাদের কল্ব নদীর উচ্চতীর বরাবর যেতে পরামর্শ দিলেন । কল্ব নদী পুরাণে সুবর্ণরেখা নদী নামে পরিচিত । তাঁরই পরামর্শ অনুযায়ী আমরা রৈবতক পর্বতের নিচে রাধাদামোদর মন্দিরের নিকটস্থ একটি আশ্রমে অবস্থান করলাম । যেখানে আমরা প্রতিদিন রাধাদামোদর বিগ্রহ দর্শন করে পর্বতের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতাম ।

        আমাদের আশ্রমে সরযু নামে একটি গাভী ছিল যাকে দেখে আমরা খুব আনন্দ পেতাম । সে প্রতিদিনই রাধাদামোদর মন্দিরে আমাদের আগে গিয়ে . পৌঁছাত আর সেখানে যারা ঘাস বিক্রি করতে আসত তাদের কাছ থেকে ঘাস খেত আমরা রাধামাধবকে নিবেদন করার জন্য ফুলের দোকান থেকে যাওয়ার পথে ফুল কিনে নিতাম । রাধাগোবিন্দ মন্দিরে যাওয়ার আগে আমাদের সুবর্ণরেখার উপর সেতুটি পার হতে হতো আর তখন আমরা পাথরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুবর্ণরেখার সুমধুর জলস্রোতের ধ্বনি শুনতে পেতাম । সেতুর বাম পাশে রয়েছে নদীরই এক অংশরূপে দামোদর কুণ্ড । শোনা যায় , এখানে নরসিংহ মেহেতা নামক এ অঞ্চলের জনৈক বিখ্যাত কৃষ্ণভক্ত এই কুণ্ডে স্নান করতেন । যতবারই আমরা পবিত্র দামোদর কুণ্ডের পাশ দিয়ে গিয়েছি ততবারই তীর্থযাত্রীদের দেখেছি হয় তারা সেখানে স্নান করছেন অথবা শ্রদ্ধার সঙ্গে কুণ্ডের জল মাথায় ছিটোচ্ছেন ।

        রৈবতক পর্বতের কিছুটা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে রাধাদামোদর মন্দিরের বেলীর সামনে পৌঁছাতে হয় যেখানে শ্রীশ্রীরাধামাধবের বিগ্রহ অধিষ্ঠিত রয়েছেন। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে এই বিগ্রহ ১২ হাজার বৎসরের প্রাচীন এবং স্বয়ং প্রকাশিত । বিগ্রহ বাদামী কালোর মিশ্রণময় পাথরে প্রকাশিত হয়েছিলেন । যদিও এই বিগ্রহকে রাধাদামোদর বলা হয়ে থাকে , কিন্তু তাঁরা গদা , চক্র , শঙ্খধারী এবং নিম্ন ডান হাতে আশীর্বাদকারী চতুর্ভুজ লক্ষ্মীনারায়ণ রূপে প্রকাশিত হয়েছেন ।

        মন্দির অভ্যন্তরের মধ্যে , রাধাদামোদর বিগ্রহের বিপরীতে ভক্ত নরসিংহ মেহতার একটি ছোট্ট মূর্তি রয়েছে । প্রধান মন্দিরের পাশেই রয়েছে আরেকটি মন্দির । সেটি ভগবান বলরাম ও তাঁর স্ত্রী রেবতীদেবীর মন্দির । এখানকার বিগ্রহটি অবিকল রাধাদামোদর বিগ্রহের অনুরূপ । আমরা যেদিন প্রথম দর্শন করি সেদিন এই বিগ্রহকে লাল কাপড় আর সাদা শাল দিয়ে খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল ।

        চুরাশিটি স্তম্ভযুক্ত তিনতলা এই মন্দিরটিকে আমরা প্রদক্ষিণ করলাম । আমরা লক্ষ্য করলাম যে , মন্দিরের সম্মুখভাগটি আধুনিক ছাঁচে সংস্কার করা হলেও পেছনে আগেকার সেই পাথরের স্থাপত্য রয়ে গেছে । মূল মন্দিরটি আজ থেকে ৪,৫০০ বৎসর আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রপৌত্র বজ্রনাভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল , যিনি বিশেষতঃ বৃন্দাবনে অনেক মন্দির নির্মাণ করেছিলেন ।

        রাধাদামোদর মন্দিরের নিকটেই রয়েছে চৌষট্টিতম বল্লভাচার্য বৈঠক যেখানে ষোড়শ শতাব্দীর বৈষ্ণবাচার্য বল্লভ কিছু সময়ের জন্য বাস করেছিলেন । এর পেছনেই রেবতী কুণ্ড । এখানে রাজা রেবত , তাঁর কন্যা রেবতীকে নিয়ে বাস করতেন পরে যিনি ভগবান বলরামের পত্নী হন । তিনি অর্থাৎ রেবতী এবং ভগবান বলরাম কখনও কখনও এই ক্ষেত্রে ক্রীড়াবিলাস করতে আসতেন । রেবতী কুণ্ড থেকে ২০ মিটার দূরেই রয়েছে মুচুকুন্দ গুহা । সেখানে শিবের একটি মন্দির রয়েছে । বলা হয়ে থাকে যে , এই সেই গুহা যেখানে কালযবনের পেছনে ধাওয়া করে শ্রীকৃষ্ণ এসেছিলেন , দানব কালযবন ক্ষু মুচুকুন্দের চোখের দৃষ্টিতে ভস্মীভূত হয় । মুচুকুন্দের এই কাহিনী শ্রীমদ্ভাগবত ও অন্যান্য পুরাণে রয়েছে ।

        আমরা যে আশ্রমে ছিলাম সেটি একটি ছোট প্রাচীন আশ্রম । সেখানে পুরোহিত প্রতিদিন সীতা - রাম - লক্ষ্মণ ও হনুমানের বিগ্রহের পূজা করতেন । সেই আশ্রমের সকলেই ছিলেন ভদ্র , শান্ত এবং পরোপকার মনস্ক । আশ্রমটির পারমার্থিক পরিবেশও খুব সুন্দর । কিন্তু আশ্রমটির পেছনেই রয়েছে সুবর্ণরেখা নদীর একটি ছোট পুষ্করিণী , যেখানে জঙ্গল থেকে চিতাবাঘ জল খেতে আসে । এখানে কখনও চিতাবাঘ দ্বারা নিহত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় । আমাদের দলের এক সদস্য একদিন রাতে আশ্রমের উঠোনে একটি চিতাবাঘ দেখেছিল । আমরা যখন আশ্রম কর্তৃপক্ষকে সেই কথা জানালাম তখন তারা আমাদের ভয়ার্ত মুখ দেখে হেসেছিলেন । চিতাবাঘ দেখা তাদের কাছে অস্বাভাবিক কিছু নয় । যেহেতু আশ্রমটি প্রাচীন এবং জঙ্গলের মধ্যস্থলে অবস্থিত তাই কখনও কখনও তাদের রান্নাঘরে কেউটে সাপও প্রবেশ করে বলে তারা জানাল ।

        পরে আমরা রৈবতক পর্বতের কাছাকাছি একটি গ্রামে অবস্থিত এক আশ্রমে চলে গিয়েছিলাম । এই গ্রামটি এখানকার ভবনাথ বা ভগবান শিবের মন্দিরের জন্য বিখ্যাত । স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী একবার ভগবান শিব কৈলাস থেকে এখানে ধ্যানের জায়গা খুঁজতে আসেন । শিবের অনুপস্থিতিতে তাঁর পত্নী পার্বতী অস্বস্তি বোধ করছিলেন । তাই ভগবান বিষ্ণু এবং আরও কয়েকজন দেবতার সাহায্যে অন্বেষণ করে তিনি শিবকে রৈবতক পর্বতের পাদদেশে খুঁজে পেলেন । ভগবান শিব এখানে ভবনাথ বিগ্রহরূপে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং অন্যান্য দেবতাদেরও সেখানে থাকার উপদেশ দিলেন । ভগবান বিষ্ণু রাধাদামোদর রূপে রেবতাচলে ( রেবত পর্বতে ) বাস করলেন । ভগবান ব্রহ্মা মুচুকুন্দ গুহায় বাস করলেন , পার্বতী রৈবতকেই থেকে গেলেন এবং ইন্দ্র ইন্দ্রাচলে ( ইন্দ্র পর্বতে ) তাঁর স্থান খুঁজে নিলেন । অন্যান্য দেবতাগণ রৈবতক পর্বতের আশেপাশে তাঁদের যথাযথ স্থান বেছে নিলেন । ভবনাথ মন্দিরের পেছনেই রয়েছে ফ্রগী কুণ্ড , যেখানে প্রতিবৎসর শিবরাত্রিতে মহোৎসব হয়ে থাকে ।

        প্রতিবৎসর হাজার হাজার মানুষ পঞ্চ দিবস রৈবতক পর্বত পরিক্রমায় অংশগ্রহণ করে থাকেন । কার্তিক মাসের একাদশীর দিন এই পরিক্রমা শুরু হয় । যেহেতু অনেক দেবতার বাসস্থান তাই ভগবান শিব এই স্থানটিকে পবিত্রতম বলে ঘোষণা করেছিলেন ।

        রৈবতক পর্বতের পাদদেশে আমরা প্রায় তিন সপ্তাহ ছিলাম । কিন্তু আবহাওয়া সবসময়ই ছিল মেঘাচ্ছন্ন ও অস্থির । দিগন্তে বিদ্যুৎ চমকের সঙ্গে সঙ্গে ছিল মেঘগর্জন । আমরা পাহাড়ে আরোহণের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন দিনের অপেক্ষায় ছিলাম । পাহাড়চূড়া যেন ছিল ঘন নীল আকাশকে ধরে রাখা এক চুম্বক । অবশেষে আমাদের শেষ দিনগুলোর একটি দিনে আমাদের সুযোগ এল । প্রতিদিনই পাহাড়চূড়ার মন্দির দর্শনের জন্য বহু তীর্থযাত্রী আসেন । একদিন আমরা তাদের সঙ্গ নিলাম ।

        পাহাড়চূড়ায় ওঠার দশ সহস্র সিঁড়ির প্রারম্ভে পথের দু'পাশে স্থানীয় মানুষেরা পূজার উপাচারের নানা পসরা সাজিয়ে বসেছেন । আমরা পাহাড়চূড়ার যত উপরের দিকে উঠছিলাম জিনিসপত্রের দামও তত বাড়ছিল ।

        একটি দোকান থেকে আমরা বাঁশের লাঠি কিনলাম । সাধারণতঃ তীর্থযাত্রীরা এটি ব্যবহার করে পাহাড়ে আরোহণের সুবিধার জন্য । কিন্তু আমরা তা কিনেছিলাম হঠাৎ বন্য পশুর আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য । কেননা পথের দু'পাশে যেরকম ঘন জঙ্গল তাতে যেকোন বন্য পশু আমাদের পথের মাঝে এসে পড়তে পারে । ওঠার সময় দেখলাম , বড় বড় কালো মুখের রূপালি লোমওয়ালা বাঁদরেরা গাছে গাছে খেলছে , এক ডাল থেকে আরেক ডালে ঝাঁপ দিচ্ছে ।

        প্রায় একঘন্টা পথ চলার পর আমরা জঙ্গল ছেড়ে পাথুরে উপত্যকায় প্রবেশ করলাম । বড় বড় পাথরের চারদিকে মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক গহ্বর । হাঁফাতে হাঁফাতে আমরা অবশেষে একটি গেটের সামনে এসে পৌঁছলাম , যার পরেই রয়েছে একটি ছোট উপত্যকা জুড়ে একঝাক জৈন মন্দির । সেখান থেকে আমরা গৌমুখী গঙ্গায় এলাম যেখানে অনেকটা গরুর মুখের মতো একটি জায়গা থেকে ঝর্ণার মতো গঙ্গা জল নেমে আসছিল । এরপর আমরা যে মন্দিরটি দর্শন করলাম সেটি অম্বা দেবীর মন্দির , যেখানে পার্বতী ভগবান শিবের কাছে প্রতিজ্ঞাবশতঃ বসবাস করছিলেন । এটি দ্বাদশ শতকে তৈরী একটি প্রস্তর নির্মিত মন্দির । এখানকার উচ্চতার দূরত্ব থেকে আমরা জৈন মন্দিরসমূহ ও জুনাগড়ের অপূর্ব শোভা দেখতে পাচ্ছিলাম। এই জায়গাটি থেকে পাথুরে পথ কিছুটা নিচুতে নেমে গিয়ে আবার উপরের দিকে উঠে এসে রৈবতক পর্বতের সর্বোচ্চ চূড়ার দিকে চলে গেছে । এখান থেকে অল্প কিছুদূর পর্যন্ত সাদা মার্বেল টাইলস্ যার উপরে শিবের অবতার রূপে কথিত ঋষি গোরক্ষনাথের পদচিহ্ন এবং এখানে তাঁর একটি বিগ্রহও রয়েছে । এখানে আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম ।

        ওখানে কুটির নির্মাণ করে বাস করা এক সাধুর কাছ থেকে এক গ্লাস করে জল পান করার পর আমরা একটু নিচের দিকে প্রভু দত্তাত্রেয়র আশ্রমের দিকে এগিয়ে গেলাম , যেখানে তিনি বারো সহস্র বৎসর গভীর তপস্যা করেছিলেন । আশ্রমটিতে ইট দিয়ে ঘেরা একটি জায়গায় অনেক কাঠ জড় করা । এই জড় করা কাঠের মাঝখানে অনবরত আগুন জ্বলছে । এটি আত্মার অজ্ঞতা দ্বারা আচ্ছন্নতার প্রতীক । এখান থেকে দু'শো সিঁড়ি উপরে নবনির্মিত প্রভু দত্তাত্রেয়র মন্দির যিনি ছিলেন ব্রহ্মা , বিষ্ণু ও শিবের সমন্বয়ক অবতার । ত্রি মস্তক বিশিষ্ট বিগ্রহটি দেখতে খুব সুন্দর । আমরা বিগ্রহের চরণতলে প্রণাম নিবেদন করলে পর পুরোহিত আমাদের নারকেল প্রসাদ ও আশীর্বাদী ফুল প্রদান করলেন ।

        ইতিমধ্যে আবহাওয়া আবার খারাপ হয়েছে । একটু একটু বৃষ্টি পড়ছে । আকাশে মেঘ জমছে । অন্ধকার হয়ে আসছিল । আমরা তাই আবার আমাদের আশ্রমের দিকে ফিরে চললাম ।

        রৈবতক পর্বতের আশ্রমে অবস্থানকালীন সময়ে একদিন শেষ রবিবারে রাধাদামোদর মন্দিরে ঋষি নামক এক পুরোহিত আমাদের ঐ মন্দিরে মধ্যাহ্নের আমরা সানন্দে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রসাদ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানালেন । তারা আমাদের সেদিন বিগ্রহকে নিবেদিত নানাবিধ পদের করলাম । মহাপ্রসাদ সেবা করিয়েছিলেন । অনেক সুন্দর সুন্দর পদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ছিল পায়েস , যা প্রতিদিনই ভগবানকে নিবেদন করা হয় । এছাড়া ছিল চুরমা লাড্ডু নামে এক বিশেষ প্রকার মিষ্টি আর রাইস পুডিং যা ভগবান বলরামকে নিবেদন করা হয়েছিল । আমাদের আহার করিয়ে তারা আমাদের দক্ষিণা প্রদান করলেন এবং সেই সঙ্গে শ্রীবিগ্রহের প্রসাদী শাল উপহার দিলেন । আমাদের কাছে এসবই ছিল শ্রীশ্রীরাধাদামোদরের অপ্রাকৃত কৃপা । ইতিমধ্যে খারাপ আবহাওয়া অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে । পরদিন থেকে আমরা আবার শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থ বিতরণ সেবায় বেরিয়ে পড়লাম । পেছনে পড়ে রইল দেবতাদের লীলাভূমি রৈবতক পর্বত ।

  • পরবর্তী তীর্থস্থান ১৬ ) ডাকোর
  • * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।